শেষ কলকাতার প্রতিরোধ। ছবি: আইপিএল
স্টুয়ার্ট ব্রড হওয়া হল না শিবম মাভির। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটেই ব্রডকে এক ওভারে ৬ ছক্কা হাঁকিয়ে ছিলেন যুবরাজ সিংহ। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে এক ওভারে মাভি খেলেন ৫ ছক্কা।
লোকেশ রাহুলদের ইনিংসের ১৯তম ওভারের প্রথম তিন বলে ছয় মারলেন মার্কাস স্টোইনিস। চতুর্থ বলে তিনি বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়লেন শ্রেয়স আয়ারের হাতে। শেষ দু’বল আবার গ্যালারিতে পাঠালেন জেসন হোল্ডার। ৩০ রান দিয়ে ম্যাচের রাশটাই আলগা করে দিলেন মাভি। লখনউ সেই সুযোগে রান বাড়িয়ে নিয়ে কলকাতার সামনে লক্ষ্য রাখল ১৭৭ রানের। জবাবে কলকাতার ইনিংস গুটিয়ে গেল ১০১ রানে।
লখনউয়ের ইনিংসের শুরুতে ঝড় তোলেন কুইন্টন ডি’কক। প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ২৯ বলে ৫০ করলেন ৩টি ছয় এবং ৪টি চারের সাহায্যে। অধিনায়ক রাহুল শুরুতেই রান আউট হলেও তার প্রভাব পড়তে দিলেন না তিন নম্বরে নামা দীপক হুডা। তিনি করলেন ২৭ বলে ৪১ রান। মারলেন ২টি ছয়, ৪টি চার। লখনউয়ের মাঝের ব্যাটাররা অবশ্য তেমন রান পেলেন না। ক্রুণাল পাণ্ড্য (২৭ বলে ২৫), আয়ুষ বাদোনিরা (১৮ বলে অপরাজিত ১৫) ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারলেন না।
ভাল বল করলেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইনরা। রাসেল ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট। তাঁর শিকার ক্রুণাল এবং দীপক। নারাইন ২০ রান খরচ করে আউট করলেন কককে। টিম সাউদি ভাল বল করলেন। কিউয়ি জোরে বোলার ২৮ রান দিয়ে হোল্ডারের উইকেট নিলেন।
১৮ ওভারের শেষে লখনউয়ের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৪২। খেলার রাশ ছিল কলকাতার হাতেই। কিন্তু সেই রাশই কার্যত লখনউকে উপহার দিয়ে বসলেন মাভি। ১৯ ওভারের শেষে রাহুলদের সরান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৭২। শেষ ওভারে সাউদি নিয়ন্ত্রিত বোলিং না করলে কলকাতার লক্ষ্য আরও বেশি হত। সাউদির ওভারে উঠল মাত্র ৪ রান। ২ উইকেট হারাল লখনউ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেল কলকাতা। স্কোর বোর্ডে রান ওঠার আগেই ফিরলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার বাবা ইন্দ্রজিৎ। তৃতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে কলকাতার প্রথম একাদশে এসে তিনিও ভরসা যোগাতে পারলেন না এখনও। দ্রুত আউট হলেন অধিনায়ক শ্রেয়সও (৬)। ফের ব্যর্থ অ্যারন ফিঞ্চ (১৪ বলে ১৪)। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক সম্ভবত তাঁর রানের ব্যাটটি অকল্যান্ডেই রেখে এসেছেন। রান পেলেন না আগের দিনের জয়ের অন্যতম নায়ক নীতীশ রানাও (২)। আগের দিনের নায়ক রিঙ্কু সিংহও (১০ বলে ৬) লখনউয়ের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হলেন। ছয় নম্বরে নেমে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে আন্দ্রে রাসেল। মাত্র ১৯ বলে ৪৫ রান করলেন ৫টি ছয় এবং ৩টি চারের সাহায্যে। কিন্তু তাঁর প্রয়াস দলকে জয় এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে আউট করলেন আবেশ খান। একই ওভারে অনুকূল রায়কে সাজঘরে ফিরিয়ে আইপিএলে কলকাতার সপ্তম পরাজয় নিশ্চিত করেন। শেষ দিকে নারাইন খানিকটা চেষ্টা করেন দলের ইনিংসকে গতি দিতে। কিন্তু তা ফলের উপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। তিনি ১২ বলে ২২ রান করে আউট হওয়ার পর আর বেশিক্ষণ টিঁকল না কলকাতার ইনিংস। মাত্র ১৪.৩ ওভারে ১০১ রানেই শেষ হল কলকাতার ইনিংস।
লখনউয়ের সফলতম বোলার আবেশ খান। মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। ৩১ রানে ৩ উইকেট জেসন হোল্ডারের। দুষ্মন্ত চামিরা, রবি বিষ্ণোই, মহসিন খানরা নিলেন একটি করে উইকেট। তাঁদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে প্রতিযোগিতার প্লে-অফ পর্ব থেকে আরও দূরে সরে গেল কলকাতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy