লখনউয়ের বিরুদ্ধে জিততেই হবে কলকাতাকে ফাইল চিত্র
খাতায় কলমে গ্রুপের শেষ ম্যাচ। কিন্তু শুধু লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারালেই প্রথম চারে জায়গা পাকা হবে না। প্লে-অফে উঠতে তার পরেও অপেক্ষা করতে হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। কারণ এখনও পর্যন্ত শুধু গুজরাত টাইটান্স প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে। বাকি তিনটে জায়গার জন্য লড়ছে সাতটি দল। তবে সবার আগে কলকাতাকে জিততে হবে শক্তিশালী লখনউয়ের বিরুদ্ধে।
লিগ তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে লোকেশ রাহুলের লখনউ। ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তাদের। কিছুটা পিছনে ছয় নম্বরে রয়েছে কলকাতা। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২। অর্থাৎ কলকাতা জিতলেও লখনউকে টপকাতে পারবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে। যে ভাবে খেলা চলছে তাতে ১৪ পয়েন্ট পেয়েও কোনও দল প্লে-অফে যেতে পারে।
শেষ দুই ম্যাচ জিতেছেন শ্রেয়স আয়াররা। ফলে আত্মবিশ্বাস বেশি থাকবে তাঁদের। অন্য দিকে শেষ দুই ম্যাচে হারতে হয়েছে লখনউকে। দলের ব্যাটিং ডোবাচ্ছে রাহুলদের। তিন ম্যাচ আগে এই কলকাতাকেই শেষ বার হারিয়েছিল রাহুলরা। তার পর থেকে লিগ তালিকায় অনেক বদল হয়েছে। আত্মবিশ্বাসী শ্রেয়সরা তাই কিছুটা এগিয়ে লখনউয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন। তবে আইপিএলে কোনও ম্যাচের ফল আগে থেকে বোঝা যায় না। খেলার সাড়ে তিন ঘণ্টায় যে দল নিজেদের স্নায়ুর চাপ সামলাতে পারবে তারা জিতবে।
আগের দুই ম্যাচে কলকাতার ওপেনিং জুটিতে ফিরেছিলেন বেঙ্কটেশ আয়ার ও অজিঙ্ক রহাণে। কিন্তু চোটের কারণে আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন রহাণে। অর্থাৎ ফের নতুন জুটি দেখা যাবে। তবে কি ফের অ্যারন ফিঞ্চ ঢুকবেন দলে? না কি স্যাম বিলিংসকে ওপেন করতে পাঠানো হবে? সুনীল নারাইনকেও ওপেনে পাঠিয়ে চমক দিতে পারে নাইট ম্যানেজমেন্ট।
কলকাতাকে ম্যাচ জিততে হলে লখনউয়ের টপ অর্ডারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আউট করতে হবে। এ বারের আইপিএলে লখনউয়ের সব থেকে সফল তিন ব্যাটার লোকেশ রাহুল, কুইন্টন ডিকক ও দীপক হুডা। আগের বার কলকাতাকে যখন লখনউ হারিয়েছিল সেই ম্যাচেও ভাল খেলেছিলেন ডিকক। কিন্তু গত কয়েকটি ম্যাচে দলের টপ অর্ডার ফর্মে নেই। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে অন্তত দু’উইকেট পড়ে গেলে চাপে পড়ছে লখনউ। সেটা করতে হবে কলকাতাকেও। এখন দেখার শেষ ম্যাচে জিতে প্লে-অফের আশা কলকাতা বাঁচিয়ে রাখতে পারে কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy