শ্রেয়সের মুখে এ কথা শোনার পর অনেকে প্রশ্ন তুলছেন প্রথম একাদশ বেছে নেওয়া একেবারেই ক্রিকেটীয় কাজ, সেখানে দলের সিইও, বা অন্য কোনও কর্তার ভূমিকা থাকা কি উচিত? অতীতে বিভিন্ন দলের ক্ষেত্রে এই নিয়ে ছোট-বড় নানা সমস্যাও হয়েছে।
ছবি: টুইটার থেকে
ভুল করে মনের কথা বলে ফেললেন শ্রেয়স আয়ার? মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৫২ রানে হারিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক বলেন, “দল গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা নেন সিইও।”
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জিততেই হত কলকাতাকে। সোমবার হেরে গেলে প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে যেত তারা। জিতে এখনও লড়াইয়ে রইল কলকাতা। তবে বাকি সব ম্যাচ জিতলেও যে প্লে-অফে যেতে পারবে, সে নিশ্চয়তা নেই। এমন একটা ম্যাচে দলে পাঁচটি বদল করে কলকাতা। এ বারের আইপিএলে বার বার প্রথম একাদশে বদল করেছে তারা। ১২টি ম্যাচে মোট পাঁচ ধরনের ওপেনিং জুটি খেলেছে তাদের। দলের প্রথম একাদশে স্থিরতা নেই কলকাতার।
সোমবার এক ওভারে তিন উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। রবি শাস্ত্রী সেই সময় বলেন, “ভাগ্য ভাল প্যাট কামিন্সকে খেলিয়েছে। কে জানে বেঞ্চ গরম করে কী লাভ হচ্ছিল। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক, বিশ্বমানের বোলার, তাকে বসিয়ে রেখেছিল!” ১৮ এপ্রিল রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল কামিন্সকে।
দলের প্রথম একাদশে বার বার বদল করা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় শ্রেয়সকে। তিনি বলেন, “এটা খুব কঠিন। আইপিএল খেলতে যখন সবে শুরু করেছি, সেই সময় আমাকেও এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল। আমরা কোচের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সিইও উপস্থিত থাকেন দল নির্বাচনে। উনি দল নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। দল থেকে বাদ যাওয়া ক্রিকেটারকে ম্যাকালাম নিজে গিয়ে জানায় তারা খেলছে না। সবাই সেই সিদ্ধান্ত খুশি মনেই মেনে নেয়। সকলে যে ভাবে মাঠে নেমে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকে, তাতে অধিনায়ক হিসেবে আমি গর্বিত।”
শ্রেয়সের মুখে এ কথা শোনার পর অনেকে প্রশ্ন তুলছেন প্রথম একাদশ বেছে নেওয়া একেবারেই ক্রিকেটীয় কাজ, সেখানে দলের সিইও, বা অন্য কোনও কর্তার ভূমিকা থাকা কি উচিত? অতীতে বিভিন্ন দলের ক্ষেত্রে এই নিয়ে ছোট-বড় নানা সমস্যাও হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কেকেআরে ক্ষমতার কেন্দ্রটা তা হলে কার হাতে? শ্রেয়স কি নিজে দল বেছে নিতে পারছেন? কোচের স্বাধীনতা রয়েছে? কর্তা দল নির্বাচনে নাক গলালে সেটা কোচ, অধিনায়ককে অপমান করা নয়?
আবার এ কথাও ঠিক, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মালিক পক্ষের মতামত থাকেই। সেটা ক্রিকেটীয় দিক হোক বা অর্থনৈতিক, সব ক্ষেত্রেই অনেক সময় মালিক পক্ষের হস্তক্ষেপ ঘটে। কিন্তু তাতে সমস্যা তৈরি হয় না? শ্রেয়সের কথায় অবশ্য মনে হয়নি, তিনি এর জন্য দলের সমালোচনা করছেন। আবার তিনি যে বিষয়টিকে খুব ইতিবাচক ভঙ্গিতে দেখেছেন তা-ও নয়।
কলকাতার প্রতিটি ম্যাচে বেঙ্কি মাইসোরের উপস্থিতি লক্ষণীয়। শাহরুখ খান, জুহি চাওলাদের সে ভাবে দেখা যাচ্ছে না, তাদের সন্তানরাও নিয়মিত নন, এমন অবস্থায় শ্রেয়সদের পাশে রয়েছেন বেঙ্কি।
শ্রেয়স যদিও দলের জয় নিয়ে খুশি। তিনি বলেন, “আমরা যে ভাবে খেলেছি তাতে আমি গর্বিত। দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জিতেছি। সবাই জেতার জন্য মুখিয়ে ছিল। আগের ম্যাচগুলো আমাদের তেমন ভাল ছিল না। পর পর হারতে থাকলে সেটা মাথায় ঘুরতে থাকে। আমি যে খুব খুশি তা বলছি না, তবে এই জয়ের ধারা ধরে রাখতে চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy