কী ভাবে নিজেকে বদলালেন হার্দিক ছবি আইপিএল
রবিবার আইপিএল ফাইনালে গুজরাত টাইটান্সকে ট্রফি দিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। এর পরেই আলোচিত হচ্ছে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর পরিণত মানসিকতার কথা। জনপ্রিয় বলিউডি পরিচালকের কফির শোয়ে গিয়ে যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তার থেকে এই হার্দিক অনেক আলাদা। এই হার্দিক নিজের দ্বিতীয় সংস্করণ, যিনি এখন অনেক বেশি ধীরস্থির, শান্ত, পরিণত। সমালোচনাকে যিনি পাত্তা দেন না, নিজের কাজটা করতেই বেশি আগ্রহী।
কয়েক বছরে নিজেকে আমূল বদলে নিয়েছেন হার্দিক। কিন্তু এই বদল সহজে আসেনি। অনেক সময়, পরিশ্রম ব্যয় করতে হয়েছে এর পিছনে। কফির শোয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া তাঁর জীবনের কঠিনতম অধ্যায়। কী করে সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন হার্দিক, সেই কথা শুনিয়েছেন তাঁর ছোটবেলার কোচ জিতেন্দ্র সিংহ।
২০১৯ সালে ওই ঘটনার পর সটান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল হার্দিককে। পর দিন সকালে যখন ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তখন দেখেন সোফায় চোখে রোদচশমা পরে বসে আছেন হার্দিক। ঘরে থাকা অন্য এক ব্যক্তিকে জিতেন্দ্র জিজ্ঞাসা করেন, হার্দিক রাতে ঘুমিয়েছেন কি না। নেতিবাচক উত্তর শুনেই হার্দিকের পাশে গিয়ে বলেন, “টেনশন কোরো না। খুব তাড়াতাড়ি ভারতীয় দলে ফিরবে। যা হয়ে গিয়েছে তা ভুলে যাও। ওটা নিয়ে ভেবে কোনও লাভ নেই। কাল সকালে স্টেডিয়ামে দেখতে চাই তোমাকে। এ বার হাসো।”
কিছু দিনের জন্যে ক্রিকেট থেকে ছাত্রের মনকে সরিয়ে নিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। বলেছেন, “আমরা নিজেদের মধ্যে খেলার জন্যে একটা ব্যাডমিন্টন কোর্ট বুক করেছিলাম। খেলার মধ্যে মজা ফিরিয়ে আনা এবং প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি করার জন্যেই এটা করেছিলাম। চাইছিলাম ও ঘাম ঝরাক। খোলা মনে কিছু দিন থাকার পর ও বুঝতে পারল নিজে একজন ক্রীড়াবিদ এবং খেলাটাই ওর আসল কাজ। কোনও চ্যাট শোয়ে মন্তব্য করা নয়।”
বিতর্কের পর নিজেকে আমূল বদলাতে চেয়েছিলেন হার্দিক। নিজেই নিজের লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছিলেন। জিতেন্দ্র বলেছেন, “একদিন এসে ও বলল, কোচ, আমার ব্যাপারে এরপর থেকে আর কোনও নেতিবাচক কথা আপনি শুনতে পাবেন না। সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছে। ওর বাবা বেঁচে থাকলে আজ গর্বিত হতেন।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy