আইপিএল জিতে কোন লক্ষ্যের কথা বললেন হার্দিক ফাইল চিত্র
প্রথম বার আইপিএলে অধিনায়ক হয়েই কামাল করেছেন হার্দিক পাণ্ড্য। গুজরাত টাইটান্সকে ট্রফি জিতিয়েছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে মুগ্ধ সুনীল গাওস্করের মতো প্রাক্তন তারকারাও। হার্দিককে এখন থেকেই ভারতীয় টি২০ দলের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসাবে ভাবছেন তাঁরা। আর হার্দিক কী ভাবছেন? আইপিএল জেতায় খুশি তিনি। দলকে সফল ভাবে নেতৃত্ব দিতে পেরেও খুশি। কিন্তু উচ্ছ্বসিত নন। কারণ, তাঁর লক্ষ্য আলাদা। ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর লক্ষ্য নিয়েই নিজেকে তৈরি করছেন হার্দিক। অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপ। সেখানে ভাল খেলতে চান তিনি। জিততে চান বিশ্বকাপ।
আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে হার্দিক বলেন, ‘‘আমি দায়িত্ব নিতে ভালবাসি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করি। তাই এই আইপিএল জয় আমার কাছে বিশেষ মুহূর্ত। পাঁচ বার ফাইনালে উঠে পাঁচ বার জিতলাম। কিন্তু আমার একটাই লক্ষ্য রয়েছে। আর সেটা হল দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা। ভারতের হয়ে ভাল খেলতে চাই। তার জন্য পরিশ্রম করছি। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি সফল হব।’’
গত বছর ছবিটা ছিল অন্য রকম। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে টি২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে ছিলেন হার্দিক। গ্রুপ পর্বের খেলায় সুযোগও পান। কিন্তু ব্যর্থ হন। ব্যাটে রান পাননি। পিঠের সমস্যায় বলও করতে পারেননি। মাঠে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, সম্পূর্ণ সুস্থ নন তিনি। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হন বিরাট কোহলীরা। তার দায় খানিকটা হলেও হার্দিকের উপর চাপিয়েছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। সম্পূর্ণ সুস্থ না থাকা স্বত্বেও কেন হার্দিককে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তার জন্য সমালোচনা হয়েছিল নির্বাচকদেরও।
টি২০ বিশ্বকাপের পরেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন হার্দিক। বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে গিয়ে সুস্থ হয়েছেন। অনুশীলন করেছেন। এ বারের আইপিএলের নিলামের আগে হার্দিককে কিনেছে গুজরাত। শুধু অধিনায়ক হিসাবে নয়, ব্যাটে-বলেও নিজের জাত চিনিয়েছেন হার্দিক। আইপিএলের পারফরম্যান্সের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে হার্দিককে ফের দলে নেওয়া হয়েছে। টি২০ বিশ্বকাপের দলেও যে তিনি সুযোগ পাবেন তা এক প্রকার নিশ্চিত। আগের টি২০ বিশ্বকাপে তাঁকে নিয়ে যে সমালোচনা হয়েছিল তারই হয়তো জবাব দিতে চাইছেন হার্দিক। তার জন্য বিশ্বকাপের থেকে ভাল মঞ্চ আর কীই বা হতে পারে।
টি২০ ক্রিকেটকে চার-ছক্কার খেলা বলা হয়। কিন্তু হার্দিক মনে করেন, এক জন বা দু’জন ভাল ব্যাটার কয়েকটা ম্যাচে হয়তো দলকে জেতাতে পারবে। কিন্তু আইপিএলের মতো লম্বা প্রতিযোগিতা জেতার জন্য দরকার শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ। নিলামে সে দিকেই লক্ষ্য রেখেছিলেন তাঁরা। হার্দিক বলেন, ‘‘আশিস নেহরা ও আমি ঠিক করেছিলাম শক্তিশালী এবং অভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ তৈরি করব। তার ফলও পেয়েছি। প্রতি ম্যাচে অন্তত কিছু রান কম দিয়েছে আমাদের বোলাররা। টি২০-তে ১০-২০ রানই হার-জিতের ফয়সালা করে দেয়। সেটা আমাদের পক্ষে গিয়েছে। তাই আমরা জিতেছি।’’
এ বারের আইপিএলে প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন হার্দিকের স্ত্রী নাতাশা স্তানকোভিচ। হার্দিকদের হয়ে গলা ফাটিয়েছেন। ফাইনালে গুজরাত জেতার পরে তিনি মাঠে নেমে হার্দিকের সঙ্গে উল্লাসে যোগ দিয়েছেন। স্ত্রী ও পরিবার তাঁর সব থেকে বড় শক্তি বলে জানিয়েছেন হার্দিক। তিনি বলেন, ‘‘নাতাশা আমার লড়াইয়ের সাক্ষী। আমি কতটা পরিশ্রম করেছি সেটা ও জানে। তাই আমি সফল হওয়ায় ওর এতটা আনন্দ হয়েছে। দাদা ক্রুণালও সব সময় আমাকে সমর্থন করেছে। আইপিএল জেতার পরে যখন ফোনে ওর সঙ্গে কথা বললাম, তখন ও কাঁদছিল। পরিবার আমার পাশে না থাকলে এই লড়াইটা আমি করতে পারতাম না।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy