বাটলার দ্রুত আউট হওয়া মানেই রাজস্থানের ব্যাটিং ভিত নড়বড়ে হয়ে যাওয়া। শুরুতে বাটলারকে ফেরানোই মূল লক্ষ্য থাকবে নাইটদের।
অকুতোভয়: শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে মরিয়া রাসেল। ফাইল চিত্র
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হারের পরেই হোটেলে ফিরে ৩৪তম জন্মদিন পালিত হয় আন্দ্রে রাসেলের। সেই পার্টির শেষেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিধ্বংসী অলরাউন্ডার শপথ নেন, শেষ পাঁচ ম্যাচেই দলের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দেবেন।
সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচ নাইটদের। শুধুমাত্র আগামী প্রতিপক্ষ নয়। সামনের সব ক’টি ম্যাচই একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ খেলে তিনটি জিতেছে কেকেআর। হেরেছে ছ’টি। ১৪ ম্যাচের আইপিএলে অন্তত আট ম্যাচ জিতলে প্লে-অফের রাস্তা পাকা হয়ে যায়। কোনও বার সাত ম্যাচ জিতেও প্লে-অফ খেলা যায়, কিন্তু এ বারের আইপিএল দশ দলের। যে দল যত বেশি ম্যাচ জিতে থাকবে, তাদের প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা ততই বেশি। তাই কেকেআর শেষ পাঁচটি ম্যাচ জিতলে পরেই প্লে-অফের দরজা খোলা থাকতে পারে।
রবিবার ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে দু’টি বলও হারিয়ে দেন রাসেল। নেট থেকে বড় শট নেওয়ার ফলে প্র্যাক্টিস এরিনা থেকে উড়ে বল পড়ে রাস্তায়। সোমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম থেকে মেরিন ড্রাইভে তিনি বল ফেলতে পারেন কি না তা সময়ই বলবে। রাসেল যদিও বলে দিয়েছেন, ‘‘শেষ পাঁচটি ম্যাচে সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে। শেষ বল
পর্যন্ত লড়াই করব।’’
শেষ সাক্ষাতে রাজস্থানের বিরুদ্ধে আর অশ্বিনের ক্যারম বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছিলেন রাসেল। করেছিলেন শূন্য রান। ফিরতি সাক্ষাতে রান করার সেই অপূর্ণ ইচ্ছে পূরণ করার লক্ষ্যেই নামবেন ‘‘ড্রে রাস।’’
রাজস্থানের বিরুদ্ধে কেকেআর দলে কোনও পরিবর্তন করবে কি না বলা যাচ্ছে না। শ্রেয়স আয়ার শেষ ম্যাচের দিনই বলেছেন, ‘‘এই কম্বিনেশন ভাঙার ইচ্ছে নেই। আসলে আমরা দলে এত পরিবর্তন করে ফেলেছি যে, এখনও পর্যন্ত ঠিক মতো একাদশই বাছতে পারিনি।’’ সুনীল গাওস্কর থেকে যুবরাজ সিংহ, সমালোচনা করেছেন কেকেআরের দলগঠন নিয়ে। প্যাট কামিন্সের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে বসে থাকতে হচ্ছে ডাগ-আউটে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে তাঁকে কি
প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে? সেই উত্তর একমাত্র আছে শ্রেয়স আয়ার ও ব্রেন্ডন
ম্যাকালামের কাছে।
রাজস্থান যদিও শেষ ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে খুব একটা স্বস্তিতে নেই। নাইটদের বিরুদ্ধে জয়ের ছন্দে ফিরে আসার জন্য মরিয়া তাঁরা। সঞ্জু স্যামসন বলেই দিয়েছেন, ‘‘কলকাতা বরাবরই ভাল দল। শেষ ম্যাচ জিতেছি বলে হাল্কা ভাবে নেওয়া যাবে না। ওরা এখন মরিয়া। প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্য ঝাঁপাবে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’’
নাইটদের সব চেয়ে বড় লক্ষ্য জস বাটলারের উইকেট। কমলা টুপির তালিকায় শীর্ষে তিনি। মরসুমে তিনটি সেঞ্চুরি এসে গিয়েছে তাঁর ব্যাটে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও করেছেন হাফসেঞ্চুরি। উমেশ যাদব, সুনীল নারাইনরা তাঁকে দ্রুত ফেরাতে পারেন কি না সেটাই দেখার। বাটলার দ্রুত আউট হওয়া মানেই রাজস্থানের ব্যাটিং ভিত নড়বড়ে হয়ে যাওয়া। শুরুতে বাটলারকে ফেরানোই মূল লক্ষ্য থাকবে নাইটদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy