আইপিএলে সাফল্য পেলেও পছন্দের খাবার খেতে পাচ্ছেন না শামি। ছবি: আইপিএল।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়রা স্বস্তিতে। আইপিএলে অনবদ্য ছন্দে রয়েছেন মহম্মদ শামি। ভারতের গরমে শুকনো উইকেটে কথা বলছে তাঁর বল। ছন্দ ধরে রাখতে পারলে ওভালের ২২ গজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারেন তিনি। কিন্তু আপাতত মন ভরে খেতে পারছেন না বাংলার এই জোরে বোলার।
শামির পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও। সোমবার গুজরাত টাইটান্স-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের পর শামিকে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘কী খাও তুমি?’’ উত্তরে বাংলার জোরে বোলার বলেন, ‘‘গুজরাতে আছি। এখানে আমার খাবার পাওয়া যায় না।’’ বলেই হেসে ফেলেন শামি। হাসেন শাস্ত্রীও।
আইপিএলে প্রায় প্রতি ম্যাচে কী ভাবে সাফল্য পাচ্ছেন তা-ও শাস্ত্রীকে জানিয়েছেন শামি। ভারতীয় দলের কোচ থাকার সুবাদে শাস্ত্রী ভালই জানেন বোলার শামির শক্তি এবং দুর্বলতা। তবু শাস্ত্রী জানতে চান এই সাফল্যের রহস্য। শামি বলেন, ‘‘চেষ্টা করছি বলটা পিচের সঠিক জায়গায় একটু বেশি জোরে ফেলতে। নিজের শক্তির কথা মাথায় রাখছি। সঠিক লাইনে বল করার চেষ্টা করছি। নতুন বল ভাল ভাবে ব্যবহার করার জন্যও একই লাইনে বল রাখছি। এটাই আমাকে সাফল্য দিচ্ছে। উইকেট আগের ম্যাচের মতোই ছিল। মাঝের ওভারগুলোয় মোহিত শর্মা দারুণ বল করেছে। রশিদ খান এবং নুর আহমেদের কথাও বলব। সবাই ভাল বল করায় সুবিধা হয়েছে।’’
সোমবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২১ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন বাংলার জোরে বোলার। আইপিএলে বেগনি টুপির লড়াইয়ে রয়েছেন শীর্ষে। এখনও পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচে ২৩টি উইকেট নিয়েছেন শামি। এই দৌড়ে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ গুজরাতেরই সতীর্থ রশিদ খান। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডারও ১৩টি ম্যাচ খেলে ২৩টি উইকেট পেয়েছেন। উইকেট নেওয়ার লড়াইয়ে প্রথম পাঁচে একমাত্র জোরে বোলার শামি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy