আইপিএল জেতার সুযোগ রয়েছে সব দলের সামনেই। ছবি: আইপিএল।
জমে উঠেছে আইপিএলের লড়াই। পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে-পিছিয়ে থাকলেও প্রতিযোগিতার প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে সব দলের সামনে। একমাত্র গুজরাত টাইটান্সের শেষ চারে জায়গা প্রায় নিশ্চিত। বাকি সব দলের সামনেই কঠিন লড়াই লিগ পর্বের বাকি ম্যাচগুলিতে।
১১টি ম্যাচ খেলে হার্দিক পাণ্ড্যদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সঙ্গে খেলা বাকি রয়েছে গুজরাতের। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা হার্দিকদের দরকার একটি জয়। তা হলেই প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলবেন তাঁরা।
১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। তাদের দু’টি খেলা বাকি দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে। একটি ম্যাচ রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে। বাকি তিনটি ম্যাচের দু’টি জিতলেই প্লে-অফে জায়গা পাকা হয়ে যাবে চেন্নাইয়ের। একটি ম্যাচ জিতলে ধোনিদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের দিকে।
মঙ্গলবার বিরাট কোহলিদের হারিয়ে রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তাঁদের সংগ্রহ ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। মুম্বইয়েরও তিনটি খেলা বাকি। রোহিতদের প্রতিপক্ষ গুজরাত টাইটান্স, লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করতে হলে রোহিতদের বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। দু’টি ম্যাচ জিততে পারলেও সুযোগ থাকবে রোহিতদের। তবে অন্য দলের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাঁদের।
পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ১১ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে খেলা বাকি ক্রুণাল পাণ্ড্যদের। প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করতে হলে বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে লখনউকে। দু’টি ম্যাচ জিতলে অন্য দলের ফলের উপর নির্ভর করবে লখনউয়ের প্লে-অফ ভাগ্য।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ১১টি ম্যাচের পর সঞ্জু স্যামসনের দলের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। কলকাতা নাইট রাইডার্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি রাজস্থানের। তাদের বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। তা হলে প্লে-অফ যাওয়ার আশা বেঁচে থাকবে সঞ্জুদের। একটি ম্যাচ হারলেই এ বারের মতো আশা শেষ হয়ে যাবে গত বারের রানার্সদের।
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১১টি ম্যাচে কলকাতারও সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। লিগ পর্বে নীতীশ রানাদের খেলতে হবে আরও তিনটি ম্যাচ। সেই ম্যাচগুলিতে কলকাতার প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্লে-অফে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে কেকেআরকে বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। একটি ম্যাচ হারলেই ছিটকে যাবে দু’বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। কারণ তিনটি ম্যাচ জেতার পরেও কলকাতাকে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলির ফলের দিকে।
সপ্তম স্থানে রয়েছে কোহলিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। তাঁদেরও ১১টি ম্যাচের পর ১০ পয়েন্ট। রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে বাকি তিনটি ম্যাচ জেতা ছাড়া উপায় নেই কোহলিদেরও। একটি ম্যাচ হারা মানেই বিদায় নিশ্চিত। বাকি সব ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফে ওঠার জন্য অন্য দলগুলির ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বেঙ্গালুরুকে।
অষ্টম স্থানে রয়েছে শিখর ধাওয়ানের পঞ্জাব কিংস। তাঁদেরও ১১টি ম্যাচে সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। লিগ পর্বে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে দু’টি খেলা বাকি রয়েছে তাঁদের। খেলতে হবে রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গেও। ধাওয়ানদেরও বাকি তিনটি ম্যাচই জেতার পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলির ফলের দিকে।
রাজস্থান, কলকাতা, বেঙ্গালুরু এবং পঞ্জাবের ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটের বিচারে পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থানে রয়েছে তারা। তাই প্লে-অফে ওঠার লড়াই বেশ তীব্র। শুধু নিজেদের বাকি ম্যাচগুলি জিতলেই নিশ্চিত থাকার অবকাশ নেই কারও।
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১০টি ম্যাচ খেলার পর ব্রায়ান লারার দলের ঝুলিতে রয়েছে ৮ পয়েন্ট। তাদের খেলা বাকি চারটি। লিগ পর্বের বাকি ম্যাচগুলিতে হায়দরাবাদের প্রতিপক্ষ লখনউ সুপার জায়ান্টস, গুজরাত টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাকি চারটি ম্যাচই জিততে হবে হায়দরাবাদকে। তার পরও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলির ফলের দিকে। এক পয়েন্ট নষ্ট হলেও বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি ক্যাপিটালস রয়েছে পয়েন্ট তালিকায় একদম শেষে। নেট রান রেটের বিচারে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে দিল্লি। বাকি চারটি খেলা। চেন্নাই সুপার কিংস এবং পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দু’টি করে ম্যাচ খেলতে হবে ডেভিড ওয়ার্নারদের। প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাকি সব ম্যাচ জিততে হবে। এবং অবশ্যই অন্য দলগুলির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
অর্থাৎ, মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও দলই আইপিএলের প্লে-অফ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। আবার কোনও দলই লড়াই থেকে ছিটকে যায়নি। প্রতি ম্যাচের ফলই বদলে দিতে পারে দলগুলির সম্ভাবনা। আরও কঠিন করতে পারে চ্যালেঞ্জ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy