এ বারের আইপিএলে গুজরাত টাইটান্স তাঁকে কিনেছে ১৫ কোটি টাকায়। দলের অধিনায়ক তিনি। অথচ এই হার্দিক পাণ্ড্যর জীবন আইপিএলের আগে অন্য রকম ছিল। ২০১৫ সালে তাঁকে ন্যূনতম মূল্য ১০ লক্ষ টাকায় কেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তার আগে নাকি তাঁর কাছে ১০০০ টাকাও ছিল না। এখনও সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে বরোদার এই ক্রিকেটারের।
পুরনো দিনের কথা বলতে গিয়ে হার্দিক বলেন, ‘‘মুম্বই আমাকে কেনার তিন মাস আগে পর্যন্ত আমার কাছে ১০০০ টাকাও ছিল না। ম্যাচ খেলে যে টাকা পেতাম তা খরচ হয়ে যেত। মুম্বই ১০ লক্ষ টাকায় আমাকে কেনার পরে প্রথমে কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। বাবা-মা আমাদের জন্য এত কষ্ট করেছ। তাই সেই টাকা ওদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম।’’
আরও পড়ুন:
হার্দিক ও ক্রুণালের বাবা হিমাংশু পাণ্ড্যর গাড়ির ঋণ দেওয়ার ব্যবসা ছিল। কিন্তু ছেলেরা যাতে ভাল করে অনুশীলন করতে পারে তার জন্য পরিবার নিয়ে সুরাত থেকে বরোদায় চলে আসেন তিনি। সেখানে কোনও রকমে সংসার চলত। দুই ভাই স্থানীয় প্রতিযোগিতায় খেলে ৪০০-৫০০ টাকা রোজগার করতেন। সেই টাকা খরচ হত খেলাতেই।
বরোদার হয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটার হিসাবে নাম হয়েছিল হার্দিকের। তার পরেই তিনি মুম্বই দলের নজরে পড়েন। তাঁকে ২০১৫ সালে ১০ লক্ষ টাকায় কেনে মুম্বই। ২০১৮ সালে হার্দিককে ধরে রাখতে ১১ কোটি টাকা খরচ করতে হয় রোহিত শর্মার দলকে। অর্থাৎ মাত্র ৩ বছরে তাঁর দাম ১১০ গুণ বেড়েছিল। আইপিএল অভিষেকের পরের বছরই ভারতের হয়ে অভিষেক হয় এই ডান হাতি অলরাউন্ডারের। এ বার আইপিএলে বাড়তি দায়িত্ব হার্দিকের কাঁধে। নতুন দায়িত্ব তাঁর খেলার আরও উন্নতি করবে বলে মনে করছেন তিনি।