বোলিং বিভাগের ব্যর্থতায় মুখ খুললেন দলের মেন্টর গ্যারি কার্স্টেন। ফাইল ছবি।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটানস এ বছরের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত তেমন ভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই পরে ব্যাট করে জিতেছে তারা। অন্য দুটিতে প্রথমে ব্যাট করে বোলারদের ব্যর্থতায় ম্যাচ হারতে হয়েছে। এ বার বোলিং বিভাগের ব্যর্থতায় মুখ খুললেন দলের মেন্টর গ্যারি কার্স্টেন।
ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “গত বছরের আইপিএলে আমরা প্রথমে ব্যাট করে চারটি এবং পরে ব্যাট করে ছ’টি ম্যাচ জিতেছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা একটি ম্যাচও প্রথমে ব্যাট করে জিততে পারিনি। গত বছর আমাদের বোলিং বিভাগ সুবিন্যস্ত ছিল। এ বছর চোটের কারণে অনেক বোলারকে আমরা পাইনি। তবে পেশাদার দল হিসেবে আমরা দ্রুত এই ব্যাপারটার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছি।”
তবে দলের তরুণ ও নির্ভরযোগ্য ভারতীয় ব্যাটসম্যান শুভমন গিলেরও প্রশংসা করেছেন কার্স্টেন। পাঁচ ম্যাচে ২২৮ রান করে গিলই এখন গুজরাতের সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী। “ও এখন আরও পরিণত হয়েছে। আমরা সকলেই জানি ও ভারতীয় দলেরও একজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। দলের উপরের দিকে ব্যাটিংয়েও ভরসা দিচ্ছে। ও নিজের দক্ষতা দিয়ে খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ওর স্বচ্ছ চিন্তাভাবনার সুফল আমরা পাচ্ছি,” বলেন কার্স্টেন। তিন বছর পর স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে দলে ফিরেছেন মোহিত শর্মা। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরাও হন মোহিত। তাঁর প্রশংসায় মুখরিত প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার কার্স্টেন, “আমার কাছে মোহিত প্রেরণার অন্য নাম। গত বছর আইপিএলে ও একজন নেট বোলার ছিল। অনবদ্য পেশাদারি দক্ষতায় ক্রিকেটের মূলস্রোতে আবার ফিরে এসেছে। সবাই দেখল শেষ দু’ ম্যাচে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে ৩৪ বছরের মোহিত।”
চোট পেয়ে আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন। তাঁর জায়গা নিয়েছেন তামিলনাড়ুর ২১ বছরের তরুণ সাই সুদর্শন। পাঁচ ম্যাচে ১৭৬ রান করে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে কার্স্টেন বলেন, “উইলিয়ামসনের জায়গায় সাই নিজেকে দুর্দান্ত ভাবে মানিয়ে নিয়েছে। আমরা এ বছর ওকে আরও খেলার সময় দিচ্ছি। ও নিজেকে প্রমাণও করছে। মানসিক ভাবেও নিজেকে খেলার উপযোগী করে তুলেছে।”
অন্যদিকে রশিদ খান বৃহস্পতিবার গুজরাত টাইটানসের প্রধান কোচ আশিস নেহরা ও মেন্টর গ্যারি কার্স্টেনের প্রশংসা করেন। সংবাদ সংস্থাকে তিনি এই নিয়ে বলেছেন, “গ্যারির সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা খুবই আনন্দদায়ক। ওঁর সংস্পর্শে আমার ব্যাটিংয়ের অনেক উন্নতি ঘটেছে। আশিস ভাইও বলেছে আমি দলে অলরাউন্ডারের ভূমিকাই পালন করব। প্রয়োজনে আমি উপরের দিকে ব্যাটও করতে পারি।” এখনও পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরেছেন রশিদরা। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, “আমরা দ্রুত এই হার থেকে শিক্ষা নিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy