শতরানের পর বেয়ারস্টো। ছবি: আইপিএল
শুক্রবারের ইডেন গার্ডেন্স দেখল ইতিহাস। ২৬১-র মতো পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করে কেকেআরকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়ে গেল পঞ্জাব কিংস। জনি বেয়ারস্টো শতরান করলেন। প্রভসিমরন সিংহ এবং শশাঙ্ক সিংহ যোগ্য সঙ্গত দিলেন। কেকেআরের হারের পাঁচটি কারণ খুঁজে বার করল আনন্দবাজার অনলাইন।
কেকেআরের জঘন্য বোলিং
যে দল ২৬১ রান তুলে হারে, সেই দলের বোলিং নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল। শুক্রবার কেকেআরের বোলিং ঠিক ততটাই খারাপ। সুনীল নারাইন বাদে কোনও বোলার দশ তো দূর, ওভার প্রতি ১৫ রানের কম খাননি। সবচেয়ে কম হর্ষিত রানা চার ওভারের মধ্যে প্রতি ওভারে ১৫.২০ রান খেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আন্দ্রে রাসেল। তিনি ওভারপ্রতি ১৮ রান করে খেয়েছেন।
ভুল ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার
আর কত বার ভুল ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামানোর খেসারত দেবে কেকেআর, তা তারা নিজেরাই বলতে পারবে। এ দিন নামানো হল অনুকূল রায়কে। তিনি ২ ওভারে ৩৬ রান দিলেন। তিনি কী ‘ইমপ্যাক্ট’ ফেললে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আগের ম্যাচে সূযশ শর্মার ক্ষেত্রেও একই জিনিস দেখা গিয়েছিল। অন্য দলগুলি যেখানে বুদ্ধি দিয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামাচ্ছে, সেখানে কেকেআর একের পর এক ভুল করে চলেছে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পঞ্জাবের ব্যাটিং
পঞ্জাবের ব্যাটিং নিয়ে কোনও কথাই ওঠার নয়। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একই গতিতে রান তাড়া করে গেল তারা। মাথায় এত রানের বোঝা নিয়েও যে কেউ এ ভাবে মারতে পারে, তা না দেখলে বিশ্বাস করাই যেত না। জনি বেয়ারস্টো দলে ফিরে নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গেলেন। প্রভসিমরন সিংহ যোগ্য সঙ্গত দিলেন। শেষ দিকে শশাঙ্ক সিংহের কোনও তুলনাই হয় না। আগের ম্যাচগুলোতে যে তাঁর ইনিংস ‘ফ্লুক’ ছিল না, তা প্রমাণ করে দিলেন তিনি।
কেকেআরের ব্যাটিংয়ে শেষের দিকে রান না ওঠা
দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইনের সৌজন্যে কেকেআরের শুরুটা প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই ভাল হচ্ছে। কিন্তু পরের দিকে রানের গতি বজায় থাকছে না। এ দিন যেমন হল দুই ওপেনার ফেরার পর। ১১, ১২ এবং ১৪তম ওভারে সাত রান করে উঠল। ওই সময় যে গতিতে রান তুলছিল কেকেআর, তাতে এই তিনটি ওভারে আরও বেশি রান উঠলে আরও বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখা যেত। সেটা তুলতে গিয়ে সমস্যা হতেই পারত পঞ্জাবের।
বেঙ্কটেশ আয়ারের মন্থর ব্যাটিং
২০২১ সালে সাতটি ম্যাচে ভাল খেলে কেকেআর-কে ফাইনালে তোলা এবং গত মরসুমে একটি শতরান বাদে কেকেআরে বেঙ্কটেশ আয়ারের উল্লেখযোগ্য অবদান কী আছে, তা ভাবতে গেলে মাথা চুলকোতে হতে পারে। এ দিন তিনি এত ধীরে রান করলেন যে ছন্দটাই নষ্ট হয়ে গেল। যেখানে বাকি ব্যাটারেরা দুশো বা তার বেশি স্ট্রাইক রেটে রান করলেন, সেখানে বেঙ্কটেশের স্ট্রাইক রেট দেড়শোর কিছু বেশি। মাঝের দিকে বেশ কিছু বল নষ্ট করলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy