অসাধ্যসাধন করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাইকে তাদেরই ঘরের মাঠে গিয়ে হারিয়ে দিল তারা। অতীতে এই উদাহরণ খুব বেশি নেই। কলকাতা জিতল ৬ উইকেটে। প্লে-অফের দৌড়ে এখনও টিকে থাকল তারা। কলকাতার জয়ের পাঁচ কারণ খুঁজল আনন্দবাজার অনলাইন:
১) চেন্নাই ওপেনারদের জুটি গড়তে না দেওয়া। চেন্নাইয়ের এ বার বড় ভরসা তাদের দুই ওপেনার। বিশেষ করে ডেভন কনওয়ে। প্রতিটি ম্যাচেই বড় রান করে তিনি চেন্নাইকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। কলকাতার বিরুদ্ধে তাঁরা খাপ খুলতে পারলেন না। দলের ৩১ রানের মাথায় ফেরেন রুতুরাজ। কনওয়েও বেশি ক্ষণ টেকেননি।
২) নিয়ন্ত্রিত বোলিং। অনেক দিন পর কলকাতার বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রিত একটা প্রবণতা দেখা গেল। খুব বেশি রান গলাতে দেখা গেল না কাউকেই। মাঝের দিকের ওভারগুলোতে চেন্নাই সে ভাবে রান তুলতে পারেনি। নেপথ্যে কলকাতার বোলাররাই।
৩) সুনীল নারাইনের ছন্দে ফেরা। নয় ম্যাচ পরে উইকেট পেলেন নারাইন। এত বড় খরা আগে আইপিএলে তাঁর কখনও আসেনি। কিন্তু চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক মাঠে ছন্দে ফিরলেন। অম্বাতি রায়ডু এবং মইন আলি, দু’জনকেই বোকা বানিয়ে বোল্ড। তার থেকেও বড় ব্যাপার, চার ওভারে দিলেন মাত্র ১৫ রান!
আরও পড়ুন:
৪) মাঝের সারিতে রিঙ্কু-নীতীশের ইনিংস। অল্প রান তাড়া করতে নেমেও পর পর উইকেট পড়ে গিয়েছিল কলকাতার। কিন্তু বরাবরের মতোই সেই অভাব ঢেকে দিলেন নীতীশ রানা এবং রিঙ্কু সিংহ। এই মরসুমে যে কাজ তাঁরা বার বার করে আসছেন।
৫) টসে হারা। টসে জিতে ধোনি জানালেন, পিচ ধীরগতির বলেই ব্যাট নিচ্ছেন। নীতীশের মুখেও একই কথা। জিতলে ব্যাট করতেন। আদপে টসে হারা শাপে বর হল। কারণ চেন্নাইয়ের ইনিংসের সময় যে পিচ ধীরগতির ছিল, তাই পরের দিকে অনেকটা সহজ হয়ে গেল। ফলে শট খেলতে অসুবিধা হল না।