প্রত্যায়ী: ভারতে প্রস্তুতি নিতেও এসেছিলেন সল্ট। —ফাইল ছবি।
আইপিএলের প্রথম মরসুমে ছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসে। ৯ ম্যাচে ২১৮ রান করায় খুব একটা নজরে পড়েননি কারও। বর্তমানে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন। ১১ ম্যাচে তাঁর রানসংখ্যা ৪২৯। ব্যাটিং গড় ৪২.৯০। সুনীল নারাইনের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে নাইটদের মনোভাবই পাল্টে দিয়েছেন। তিনি, ফিল সল্ট। আইপিএলের প্লে-অফে তাঁকে পাচ্ছে না নাইট শিবির। ইংল্যান্ড দলে যোগ দেওয়ার আগে সেরা ছন্দে দেখে যেতে চান নাইটদের। আনন্দবাজারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করে গেলেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
প্রশ্ন: আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলেছেন গত বছর। এ বার কলকাতা নাইট রাইডার্সে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। আপনার এই উন্নতির নেপথ্যে কারণটা কী?
ফিল সল্ট: বিশেষ কোনও কারণ সত্যি নেই। কলকাতা নাইট রাইডার্স আমার উপরে বড় দায়িত্ব দিয়েছে। সেই দায়িত্বটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। তা ছাড়া এক জন ক্রিকেটার ধীরে ধীরে উন্নত হয়ে ওঠে। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। আলাদা কিছু করতে হয়নি।
প্রশ্ন: পাকিস্তান সুপার লিগে খেলেছেন। এখন আইপিএল খেলছেন। দু’টি লিগের মধ্যে পার্থক্য কী?
সল্ট: ক্রিকেটীয় দিক থেকে দেখতে গেলে দু’টি লিগের পার্থক্য অনেক। এখন কেকেআরের হয়ে খেলছি। দলের সকলের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। আশা করি, আইপিএল জিতব।
প্রশ্ন: আপনার সঙ্গে সুনীল নারাইনকে ওপেন করানোর সিদ্ধান্তকে কি গম্ভীরের মাস্টারস্ট্রোক বলা যায়?
সল্ট: নারাইনকে পাঠানো অবশ্যই মাস্টারস্ট্রোক। ও তো সেভাবে ওপেন করত না। নারাইনকে শুধুমাত্র পাওয়ারহিটার হিসেবে দেখাও ভুল। ও খুব ‘স্মার্ট’ ব্যাটসম্যান। প্রত্যেক বল মারার জন্য ঝাঁপায় না। বলের মান অনুযায়ী চার ও ছক্কা হাঁকায়। ওর সঙ্গে ওপেন করার ফলে আমার উপর থেকেও অনেকটা চাপ কমে গিয়েছে। নারাইনের তাণ্ডবই আমাকে অনুপ্রাণিত করে বড় শট খেলতে। আমার সঙ্গে ওকে ওপেন করতে পাঠানোর জন্য নাইট ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ দিতে চাই।
প্রশ্ন: ওপেনিংয়ে আপনি বিধ্বংসী। শুরু থেকেই চার, ছক্কার বৃষ্টি দেখা যায় আপনি ব্যাট করতে নামলে। আপনার প্রিয় কোনও ক্রিকেটার আছেন যাঁকে দেখে বড় শট খেলার জন্য উজ্জীবিত হন?
সল্ট: আলাদা করে কারও নাম বলা খুব কঠিন। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানদেরই বরাবর দেখে এসেছি। ছোটবেলা থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং পছন্দ করতাম। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আমার অন্যতম প্রিয় ক্রিকেটার। অ্যাডাম গিলক্রিস্টকেও অসাধারণ লাগত। ইংল্যান্ডের ক্রেগ কিয়েসওয়েটারও প্রিয় ক্রিকেটারদের মধ্যে এক জন। অনুপ্রেরণা বলতে গেলে এঁরাই।
প্রশ্ন: সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জস বাটলারও ভাল ছন্দে। তাঁর সঙ্গে ওপেন করতে হতে পারে। বিশ্বকাপ নিয়ে কী ভাবছেন?
সল্ট: গত বারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে নামব এ বার। বাটলারের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করি, ওর সঙ্গে ওপেন করার সুযোগ পাব বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডের প্রত্যেক ক্রিকেটারই পারফর্ম করছে। বিশ্বকাপে একই ছন্দ বজায় রাখার চেষ্টা করব।
প্রশ্ন: মিচেল স্টার্ককে নেটে খেলছেন। ওঁর বোলিংয়ে কোনও গলদ লক্ষ্য করেছেন? স্টার্কের বোলিং নিয়ে বিশেষ কোনও পরামর্শ দিতে চান?
সল্ট: স্টার্ক কিংবদন্তি। ওকে কী পরামর্শ দেব? ওর সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কথাও হয় না। গল্ফ নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা করি। বাকি ক্রিকেটের বাইরের বিষয় নিয়েই কথা হয়। লখনউ ম্যাচের পরের দিন বিমানে ফেরার সময় স্টার্কের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। ঠিক সময় কলকাতায় পৌঁছতে পারিনি ঠিকই। খুবই হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। তবে বিমানে ভাল মুহূর্তও কাটিয়েছি।
প্রশ্ন: ভারতীয় পিচের সঙ্গে তো অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে ইংল্যান্ডে। কী ভাবে নিজেকে মানিয়ে নিলেন এই পরিবেশে?
সল্ট: ভারতে আমি বেশ কয়েক বার এসেছি। শুধুমাত্র ম্যাচ খেলতেই নয়। প্রশিক্ষণ নিতেও এসেছি। এই পরিবেশ আমার কাছে নতুন কিছু নয়। লাল বলের খেলা হলে অবশ্যই ঘূর্ণি পিচে ম্যাচ হত। কিন্তু আইপিএলে এখনও পর্যন্ত কোনও পিচে বিরাট টার্ন পাইনি। ভাগ্যিস ঘূর্ণি পিচে খেলতে হচ্ছে না।
প্রশ্ন: টেস্ট ক্রিকেটে এখনও অভিষেক হয়নি। কিন্তু আপনি মনে করেন না, বাজ়বল ক্রিকেটের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন?
সল্ট: বাজ়বলের আসল মানে আদৌ কী, আমি জানি না। বলা যায়, ইংল্যান্ডের টেস্ট দল অন্যদের চেয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমিও এ ভাবেই খেলার চেষ্টা করি। ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে সুযোগ পেলে সেই সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে না। আগ্রাসী ক্রিকেটই আমার অস্ত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy