সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ চলতি আইপিএলে তাদের প্রথম জয় তুলে নেওয়ার পরে অভিনব উপহার পেলেন উমরান মালিক। তরুণ ভারতীয় ফাস্ট বোলারের হাতে ভাঙা বেল তুলে দেন তাঁর দলের সতীর্থ রাহুল ত্রিপাঠী। সানরাইজ়ার্সের জয়ের দুই নায়ক ছিলেন তাঁরা।
উমরান মাঝের দিকে দু’টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি দুরন্ত বলে বাঁ হাতি হরপ্রীত ব্রারকে বোল্ড করেন তিনি। হরপ্রীতের স্টাম্প গড়াতে থাকে। উমরান জোরে বোলিংয়ের জন্য ইতিমধ্যেই ক্রিকেট বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছেন। নিয়মিত ভাবে ঘণ্টায় দেডশো কিলোমিটার গতিবেগে বল করছেন। হরপ্রীতকে বোল্ড করা ওই বলটিতে তিনি উইকেটের বেল-টাই ভেঙে ফেলেন। সেই ভাঙা বেল ম্যাচের পরে উমরানের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন রাহুল ত্রিপাঠী। সানরাইজ়ার্সের হয়ে ব্যাটিংয়ের সর্বোচ্চ রান করেন ত্রিপাঠীই। ৪৮ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ম্যাচের পরে আইপিএলের ওয়েবসাইটে কথোপকথনে অংশ নেন দু’জনে। তখন উমরানের কাছে ত্রিপাঠী জানতে চানস এ ভাবে প্রায়ই তিনি বেল ভেঙেছেন কি না। উমরানের উত্তর শুনে স্তব্ধ হয়ে যান রাহুল ত্রিপাঠী। জম্মু-কাশ্মীরের ফাস্ট বোলার জানান, সানরাইজ়ার্স বা ভারতের হয়ে খেলার সময়ে প্রায়ই তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। এমনকি, টেনিস বলেও নাকি স্টাম্প ভেঙেছেন তিনি! উমরানের কথায়, ‘‘সম্ভবত এক বার টেনিস বলে আমি উইকেট ভেঙেছিলাম। আইপিএলে এই নিয়ে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বার বেল ভাঙলাম। গত আইপিএলেও দু’এক বার এমন ঘটনা ঘটিয়েছি। ভারতের হয়ে খেলার সময়েও বেল ভেঙেছে আমার বলে।’’
উমরানের ফাস্ট বোলিং দেখার সুযোগ এর পরেই পাচ্ছেন কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা। নাইট রাইডার্স তাদের পরের ম্যাচ খেলবে ইডেনে সানরাইজ়ার্সের বিরুদ্ধে। তার আগে নিজের বোলিং নিয়ে খুশি তরুণ ফাস্ট বোলার। বলছেন, ‘‘সঠিক জায়গায় বল করতে পারছি, তাই আমি খুশি। শেষের দিকের ওভারে স্লোয়ার বা ইয়র্কার করার চেষ্টা করব। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করে যেতে হবে।’’ সতীর্থ ত্রিপাঠীরও প্রশংসা করেন উমরান।
উমরানের সব চেয়ে বড় প্রশংসা এসেছে ডেল স্টেনের কাছ থেকে। কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার এখন সানরাইজ়ার্সের বোলিং কোচ। স্টেন বলছেন, ‘‘ভবিষ্যতে সানরাইজ়ার্সের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে উমরানের।’’ তাঁর কথায়, ‘‘উমরান খুব, খুব জোরে বল করতে পারে। আমি খুব বেশি ওকে বোঝাতে যাই না। চাই, উমরান ওর মতো উড়ে বেড়াক। শুধু লাইন-লেংথ ঠিক রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কয়েকটা পরামর্শ দিই।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)