কী ভাবে বছরের পর বছর সাফল্য ধরে রাখে চেন্নাই? দিল্লিকে হারিয়ে সেই রহস্য ব্যাখ্যা করেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ফাইল ছবি।
আইপিএলে মোট ১৪ বার খেলছে চেন্নাই সুপার কিংস। এর মধ্যে তারা প্লে-অফে উঠেছে ১২ বার। ট্রফি জিতেছে চার বার। পাঁচ বার রানার্স। নিঃসন্দেহে আইপিএলের সবচেয়ে ধারাবাহিক দলের নাম চেন্নাই। গত বার নবম স্থানে শেষ করেও এ বার ফের প্লে-অফে তারা। কী ভাবে বছরের পর বছর সাফল্য ধরে রাখে চেন্নাই? দিল্লিকে হারিয়ে সেই রহস্য ব্যাখ্যা করেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
ধোনি বলেছেন, “বিরাট যে কোনও রেসিপি আছে এর পিছনে তা নয়। আমরা চাই সেরা ক্রিকেটারদের বেছে নিতে এবং ওদের পছন্দের সময়ে খেলতে দিতে। যে জায়গায় ওদের সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, সেই জায়গাতেই ওদের খেলাই। পাশাপাশি, ওদের দুর্বল জায়গাগুলোকে মজবুত করার চেষ্টা করি।”
খুব ভাল দল না গড়লেও দলের ক্রিকেটাররা কেন সাফল্য পান, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন ধোনি। তাঁর কথায়, “এমন কাউকে আমরা খুঁজি যাঁরা দলকে সবার আগে রাখে। এই ধরনের চরিত্রই আমাদের দরকার। দূর থেকে সেটা বোঝা মুশকিল। আমরা চাই ক্রিকেটাররা দলের পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিক। যদি ওদের থেকে ১০ শতাংশ পাওয়া যায়, তা হলে আমরা সেটা ৫০ শতাংশে নিয়ে যাব।”
ধোনির সংযোজন, “দলের জন্যে যদি আাপনি কিছু করেন তা হলে আমাদের মানসিকতা সঙ্গে সেটা মিলে যাবে। ম্যানেজমেন্ট খুবই ভাল। সাপোর্ট স্টাফরাও। সব সময় আমাদের বলেন চিন্তা না করতে এবং যা করছি সেটাই করে যেতে। কিন্তু ভাল ক্রিকেটার দলে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।”
দলের দুই জোরে বোলার তুষার দেশপান্ডে এবং মাথিশা পাথিরানাকে নিয়েও গর্বিত ধোনি। বলেছেন, “ডেথ বোলিংয়ের সময় আত্মবিশ্বাস খুব বড় ব্যাপার। তুষারকে দেখুন, কী ভাবে ডেথ বোলিংয়ে উন্নতি করেছে। চাপের মুখে কত বার আপনি পরিকল্পনা কাজে লাগাচ্ছেন, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আত্মবিশ্বাসী হলে পরিকল্পনা কাজে লাগানোর ক্ষমতা বেড়ে যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy