প্রস্তুতী: ইডেনে নাইটদের অনুশীলনে রাসেল। নিজস্ব চিত্র।
মাস্টারমশাই আন্দ্রে রাসেল। ছাত্র বেঙ্কটেশ আয়ার। বিষয়, ছক্কাবৃষ্টি।
কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দেওয়ার মরসুমে এই বিষয়ে ভাল নম্বর পেয়েই পাশ করতেন বেঙ্কটেশ। কিন্তু সম্প্রতি তিনি কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন। অঙ্কে ভাল হতে গেলে যেমন নিয়মিত সেই বিষয় নিয়ে বসতে হয়। তেমনই ছক্কা হাঁকাতে গেলে প্রয়োজন নিয়মিত অনুশীলন। শিক্ষক হিসেবে তিনি এমন একজনকে পেয়েছেন, যাঁর জনপ্রিয়তা ক্রিকেটমহলে অপরিসীম।তিনি রাসেল।
বেঙ্কটেশ নেটে যখন ব্যাট করছিলেন, তার কাছে গিয়ে দাঁড়ান রাসেল। উপলব্ধি করেন, বড় শট খেলার সময় ব্যাটের ঠিক জায়গায় লাগছে না বল। পাশাপাশি বেঙ্কটেশ অনেক বেশি সোজা শট খেলার চেষ্টা করছেন। যা ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। রাসেল তাঁকে বুঝিয়ে দেন, কী ভাবে সোজা বলও মিডউইকেটের দিকে অনায়াসে তুলে ছক্কা হাঁকানো যায়।
রাসেলের কথা অনুযায়ী বেঙ্কটেশ সেই শট মারার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হওয়ার পরে রাসেল নিজে নেটে ঢুকে বেশ কয়েকটি ছক্কা হাঁকিয়ে দেখিয়ে দেন বেঙ্কটেশকে। তার পর থেকে আর সমস্যা হতে দেখা যায়নি বেঙ্কটেশের। মেন্টর গৌতম গম্ভীর এসে রাসেলের পিঠ চাপড়ে দেন। অঙ্গভঙ্গি দেখে মনে হল, তাঁর কাজটা হাল্কা করে দিয়েছেন ‘ড্রে রাস’।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ২২৩ রান করেও হারে কেকেআর। রবিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয়ের ছন্দে ফিরতে মরিয়া মিচেল স্টার্করা। শেষ ম্যাচে আবারও ব্যর্থ হন অস্ট্রেলীয় পেসার। রান দেন হর্ষিত রানাও। সি ভি বরুণও ভাল জায়গায় বল রাখতে পারেননি। একমাত্র সুনীল নারাইনের বলে সে ভাবে মারতে পারেননি জস বাটলাররা। এ দিন নাইটদের বোলিং কোচ বি অরুণ বিশেষ অনুশীলন করালেন বিরাটকোহলিকে আটকাতে।
এক সময় আরসিবির বোলিং কোচ ছিলেন অরুণ। বিরাট অধিনায়ক থাকাকালীন ভারতীয় দলেরও বোলিং কোচ ছিলেন তিনিই। তৈরি করেছেন মহম্মদ সিরাজের মতো পেসারকে। রবিবার ইডেনে তাঁর ছাত্রই বিপক্ষ শিবিরের মূল পেসার। আর ব্যাট হাতে বিরাট ছাড়া কেউ রানই পাচ্ছেন না। বিরাট-ঝড় থামানোর মহড়াই এ দিন দেখা যায় ইডেনে।
অরুণ মার্কার দিয়ে চারটি স্পট তৈরি করেন পিচে। একটি রাখেন ইয়র্কার লেংথে। একটি গুড লেংথে। একটি মার্কার স্পিনারদের জন্য। চতুর্থ মার্কার রাখা হয় খাটো লেংথের বোলিংয়ের জন্য। সেই লেংথ অনুযায়ী বল করে যেতে হয় স্টার্ক, হর্ষিতদের। শুরুতে নতুন বল তুলে দেওয়া হয় দুই পেসারের হাতে। তাঁদের গুড লেংথে বল ফেলে যেতে হয়। প্রায় ২০টি করে বল করেন নতুন বলে। তার পরেই তুলে দেওয়া হয় পুরনো বল। শুরু হয় ইয়র্কার ও খাটো লেংথে বল করার মহড়া। নারাইন, বরুণ, সূযশ শর্মারা টানা এক জায়গায় বল করে যান। আরসিবি-কে আটকাতে গেলে সব চেয়ে আগে ফেরাতে হবে তাদের ওপেনিং জুটিকে। বিরাট ও ফ্যাফ ডুপ্লেসি ছাড়া বিপক্ষের কেউই ছন্দে নেই। বিরাট, ফ্যাফকে ফেরানোর মরিয়া চেষ্টাই ফুটে ওঠে নাইটদের অনুশীলনে।
শুক্রবারই শহরে পা রাখেন বিরাট কোহলিরা। আরসিবির ক্রিকেটারেরা যদিও আসেন দুপুর ২.৩০-র বিমানে। বিরাট আসেন মুম্বই থেকে। তাই বিকেল ৪.১৫-র বিমানে শহরে পা রাখেন তিনি। ইডেনে আরসিবি খেলবে সবুজজার্সি পরে।
কেকেআরের মেন্টর গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে বিরাটের সম্পর্ক যে কিছুটা হলেও ঠিক হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় বেঙ্গালুরুর প্রথম সাক্ষাতে। দেখা যায়, কোহলিকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন গম্ভীর।
কেকেআরের ইউটিউব চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর জানিয়েছেন, সব সময় তিনি রেগে থাকেন না। তাঁর কথায়, ‘‘লোকে আমাকে মাঠে দেখে। যেখানে আমি মজা করতে যাই না। মাঠের বাইরে আমিও হাসি।’’ সঞ্চালক তখন বলেন, ‘‘আপনার হাসিটা সুন্দর। মাঝে মধ্যে হাসতেও তো পারেন।’’ গম্ভীরের সাফ উত্তর, ‘‘আমার স্ত্রীও এমন ভাবে বলে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy