তিন বছর বন্ধ থাকার পরে এ বারই আইপিএলে আবার হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে খেলা শুরু হয়েছে। —ফাইল চিত্র
আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম গুজরাত টাইটান্স ম্যাচের পরে আর ১৩টি ম্যাচ বাকি রয়েছে। কিন্তু প্লে-অফে কোন চারটি দল যাবে তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। যা পরিস্থিতি তাতে ১০টি দলই প্লে-অফে যেতে পারে। তবে কয়েকটি দলের কাছে শেষ চারে যাওয়া নিজের হাতে। অন্য দলগুলিকে বাকিদের উপর তাকিয়ে থাকতে হবে।
গুজরাত টাইটান্স: ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট। লিগ তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। তাঁদের দু’টি খেলা বাকি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারাতে পারলে পয়েন্ট তালিকায় ২০ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে গুজরাত। আর একটি ম্যাচ জিতলেই তাদের প্লে-অফ পাকা হয়ে যাবে।
চেন্নাই সুপার কিংস: ১২ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন। বাকি দু’টি ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে। জিতলে ১৯ পয়েন্ট হবে ধোনিদের। আর একটি জিতলেই প্লে-অফ প্রায় পাকা চেন্নাইয়ের।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। রোহিত শর্মাদের খেলা বাকি লখনউ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। এই দু’টি ম্যাচ জিতলে ১৮ পয়েন্ট হবে মুম্বইয়ের। নিশ্চিত হয়ে যাবে প্লে-অফ।
রাজস্থান রয়্যালস: ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। কেকেআরকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে ভাল ভাবে উঠে এসেছে রাজস্থান। তাদের বাকি দু’টি ম্যাচ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। এই দু’টি ম্যাচ জিতলে ১৬ পয়েন্ট হবে সঞ্জু স্যামসনদের। তাতে অবশ্য নিশ্চিত হবে না প্লে-অফ। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের দিকে।
লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে লখনউয়ের সামনে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। অর্থাৎ, সর্বাধিক ১৭ পয়েন্ট হতে পারে লখনউয়ের। তা হলে নিশ্চিত হয়ে যাবে প্লে-অফ।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। বিরাট কোহলিদের বাকি রয়েছে আর তিনটি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও গুজরাত টাইটান্সকে হারালে ১৬ পয়েন্ট হবে তাঁদের। তার পরেও বাকি ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে কোহলিদের।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। বাকি আর দুই ম্যাচ। চেন্নাই সুপার কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারালে ১৪ পয়েন্ট হবে কেকেআরের। বাকি সব দলের ম্যাচের উপর নির্ভর করছে তাদের ভাগ্য। কিন্তু এখনও অঙ্কের বিচারে সুযোগ রয়েছে কেকেআরের।
পঞ্জাব কিংস: ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দু’টি ও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ খেলবেন শিখর ধাওয়ানরা। তিনটি ম্যাচ জিতলে তাঁরা পৌঁছবেন ১৬ পয়েন্টে। তাতেও প্লে-অফ নিশ্চিত হবে না পঞ্জাবের।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট। এখনও সব থেকে বেশি চারটি ম্যাচ বাকি রয়েছে হায়দরাবাদের। লখনউ সুপার জায়ান্টস, গুজরাত টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। সর্বাধিক ১৬ পয়েন্ট পৌঁছতে পারে হায়দরাবাদ।
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট। পয়েন্ট তালিকায় সবার নীচে রয়েছে দিল্লি। এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি তাদের। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দু’টি ও একটি চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে। তিনটি ম্যাচ জিতলে সর্বাধিক ১৪ পয়েন্ট হতে পারে দিল্লির। তার পরেও শেষ চার নিশ্চিত হবে না দিল্লির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy