অইন মর্গ্যান।
ইংল্যান্ডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে বড় কারণ আইপিএল! এ কথা জানিয়েছেন স্বয়ং অইন মর্গ্যান। গত বছর যাঁর নেতৃত্বে প্রথম বার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড।
একটি অনুষ্ঠানে মর্গ্যান জানিয়েছেন, কী ভাবে তিনি প্রায় জোর করে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যান্ড্রু স্ট্রসকে রাজি করিয়েছিলেন সে দেশের ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র দিতে। কারণ, ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের ক্রিকেট অধিনায়ক বুঝেছিলেন, বিশ্বকাপের মতো চাপ নেওয়ার মঞ্চ একমাত্র আইপিএলেই পাওয়া যেতে পারে।
ক্রিকেট আভিজাত্যে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট বরাবরই একটা জায়গা ধরে রেখেছে। টেকনিক ভাল করার জন্য বিভিন্ন দেশের ব্যাটসম্যানরা ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটে খেলে গিয়েছেন যুগযুগ ধরে। এবং, এখনও খেলছেন। বোলাররাও এখানে সেরা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের তৈরি করার সুযোগ পান। ভারতের অজিঙ্ক রাহানে এবং আর অশ্বিনও কাউন্টি ক্রিকেটে খেলেছেন। অতীতে খেলে গিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা। কিন্তু এখন মর্গ্যানের কথা থেকে পরিষ্কার, ক্রিকেট কী ভাবে বদলে যাচ্ছে। নিজেদের তৈরি করতে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের আসতে হচ্ছে ভারতে আইপিএল খেলতে!
মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘আইপিএলে খেলার পরিকল্পনায় সায় দেয় স্ট্রস। আমিই ওকে চাপ দিয়ে রাজি করিয়েছিলাম। কারণ, বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সময় যে চাপটা নিতে হয়, তা কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টের পাওয়া যায় না।’’
অতীতে আইপিএলে খুব কমই নিয়মিত ভাবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের খেলতে দেখা গিয়েছে। খেললেও তাঁদের অনেককেই মাঝপথে চলে যেতে হয়েছে। গত বারও স্ট্রস একটু সংশয়ে ছিলেন ক্রিকেটারদের ছাড়ার ব্যাপারে। যে কথা জানিয়েছেন মর্গ্যানই। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের কথায়, ‘‘স্ট্রস আমার কাছে জানতে চেয়েছিল, ওখানে খেললে পার্থক্যটা কী হবে? আমার ব্যাখ্যাটা ছিল, বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে খেলার চাপটা খুব বেশি। তা ছাড়া আইপিএলে খেলা মানেই সেই ক্রিকেটারের উপরে প্রত্যাশাটা অনেক বেড়ে যাবে। সেই চাপটাও সামলাতে হয়। সে চাপ এড়ানো যায় না এবং তা থেকে বার হওয়ার রাস্তা খুঁজে নিতে হয় ক্রিকেটারদেরই।’’
মর্গ্যানদের কৌশলে যে কাজ হয়েছে, তা বিশ্বকাপ ফাইনালেই বোঝা গিয়েছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেট ইতিহাসের সব চেয়ে উত্তেজক ফাইনাল দু’বার টাই (এক বার সুপার ওভারে) হওয়ার পরে নিউজ়িল্যান্ডকে বেশি বাউন্ডারি মারার নিয়মে হারায় ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এখন আইপিএলকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন মর্গ্যান। বলেছেন, ‘‘আইপিএল কোনও ভাবেই আত্মতুষ্টি আসতে দেয় না। এই প্রতিযোগিতায় খেললে অনেক ভাবে উপকৃত হওয়া যায়।’’ তিনি এও বলেন, ‘‘আইপিএল খেলে আমাদের মানসিকতার অনেক পরিবর্তন হয়েছিল। আশা করব, এর পরেও ভারতীয় ক্রিকেট আমাদের স্বাগতই জানাবে। কারণ, আমরা আইপিএলকে ব্যবহার করেই নিজেদের ক্রিকেটার তুলে আনার চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy