ডিন্ডা, মনোজ, লক্ষ্মী। কেকেআরে বাংলার ক্রিকেটাররা এখন স্মৃতি।
কলকাতা নাইট রাইডার্স কি সত্যিই কলকাতার? বাংলার? নাকি, হালফিল সাড়া ফেলে দেওয়া ‘বহিরাগত’ শব্দটারই ক্রিকেটীয় সংস্করণ হল কেকেআর?
শাহরুখ খান-জুহি চাওলার ফ্র্যাঞ্চাইজির এ বারে দলটার দিকে এক ঝলক তাকান। অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক চেন্নাইয়ের। কুলদীপ যাদব উত্তরপ্রদেশের। শুভমন গিল পঞ্জাবের। নীতিশ রানা দিল্লির। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ কর্নাটকের। সারা ভারতের ক্রিকেটারই পাওয়া যাবে খুঁজলে। পাওয়া যাবে না শুধু বাংলার কোনও ক্রিকেটারকে।
অথচ, এমন নয় যে বাংলার ক্রিকেটাররা আইপিএল গ্রহে ব্রাত্য। প্রত্যেক মরসুমেই অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দেখা যায় বঙ্গ ক্রিকেটারদের। যাঁরা নিয়মিত না খেললেও সুযোগ ঠিকই পান। পারফর্মও করেন। কিন্তু, তা বাকি সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই। এ বারও ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ শামি, শ্রীবৎস গোস্বামী, ঈশান পোড়েল, শাহবাজ আহমেদরা খেলবেন আইপিএলে। কারও গায়ে উঠবে সানরাইজার্সের কমলা জার্সি, কেউ পরবেন পঞ্জাবের লাল জার্সি, কেউ আবার ড্রেসিংরুমের পাশের চেয়ারে পাবেন বিরাট কোহালিকে। কিন্তু বেগুনি-সোনালি জার্সিতে কাউকেই দেখা যাবে না আমিরশাহিতে।
মরুভূমির দেশে এ বারের আইপিএল অবশ্য মোটেই ব্যতিক্রমী ছবি তুলে ধরছে না। অনেক বছর ধরেই কলকাতা নাইট রাইডার্সে বঙ্গ ক্রিকেটার কমতে শুরু করেছে। বাংলার দল, কলকাতার প্রতিনিধিত্ব করলেও তাতে বাংলা বা কলকাতার কোনও প্রতিনিধি থাকছেন না। আর ক্রমশ এটাই নিয়মে পরিণত হয়েছে।
দীনেশ কার্তিকের কেকেআর দল। যাতে নেই বাংলার কেউ। —ফাইল চিত্র।
যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অশোক ডিন্ডা। এক যুগ আগে কেকেআরের জার্সিতে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলা বাংলার পেসার বললেন, “কলকাতার দলে বাংলার কোনও ক্রিকেটার নেই। জানি না এটা কেন। তার মানে কি বাংলার কোনও ক্রিকেটার আইপিএল খেলার যোগ্য নয়? সেটা বুঝতে পারছি না। সমস্যা হল, এরা নিলামে বাংলার কারও জন্য বিডই করে না। বেঙ্কি মাইসোর শুধু দক্ষিণের ছেলেদের টিমে নিতে চায়। মাঝে মাঝে এমন কারও জন্য নিলামে ঝাঁপায় যে কারণটাই মাথায় আসে না। এ বার যেমন প্যাট কামিন্সকে অত টাকা দিয়ে নিল। আমি জানি না কামিন্স কতটা কী করতে পারবে।”
নাইট রাইডার্সের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল ডিন্ডার। কিন্তু এখন সেখানে শুধুই অভিমান আর যন্ত্রণা। বললেন, “আমি কেকেআর দলটাকে নিজের মনে করি না। কেকেআরের হয়ে অনেক উইকেট নিয়েছি, নিজেকে নিংড়ে দিয়ে বল করেছি। কিন্তু এক বারও নিলামে আমার জন্য বিড করেনি ওরা। আমাকে নিতে চায়নি। আমার চেয়ে অনেক বাজে ক্রিকেটারকেও বেশি টাকায় নিয়েছে, খেলিয়েছে। জানি না কেন বাংলার ক্রিকেটারদের কেকেআরের হয়ে খেলা হয় না। প্রথম তিন বছর যখন দাদা ক্যাপ্টেন ছিল, তখন কেকেআরে বাংলার ক্রিকেটাররা ছিল। তার পর থেকে কেকেআরে কলকাতার প্লেয়ার কমতে থাকল। প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে হোম প্লেয়ার থাকে। শুধু এখানে থাকে না।” বোলিংয়ের আগুনে স্পেলই যেন করলেন মোবাইলে, “আমাদের ক্রিকেটাররা অন্য দলে দাপিয়ে খেলেছে। ১০-১২ বছর ধরে আমি, মনোজ, ঋদ্ধিরা খেলছি। শ্রীবৎসও খেলছে প্রথম থেকে। শামিও খেলছে। এখানে প্লেয়ার নেই, এমন তো নয়। কেকেআর যদিও মনে করে না যে, কলকাতা বা বাংলায় ক্রিকেটার আছে। দেখুন আমরা পেশাদার। এখানে সুযোগ না পেলে অন্য কোথাও খেলব, খেলেওছি। নিজের কথা বলছি না। কিন্তু, বাংলার উঠতি ক্রিকেটারদের তো এখানে সুযোগ পাওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন: ফিটনেস বাড়াতে অভিনব কসরত অশ্বারোহী জাড্ডুর
স্থানীয় ক্রিকেটার দলে থাকলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও যে লাভ সেটাই ব্যাখ্যা করলেন তিনি। ‘নৈছনপুর এক্সপ্রেস’ বললেন, “হোম প্লেয়ার রাখা মানে অ্যাডভান্টেজ। তারা সারা বছর ধরে ওই উইকেটে খেলছে। সেই সম্পর্কে একটা ধারণা আছে। ওই মাঠ সম্পর্কেও একটা ধারণা আছে। হাওয়া কোথা দিয়ে যায়, বাতাসের পক্ষে মারব না বিরুদ্ধে মারব, বল কখন সুইং হবে, অনেক রকম ব্যাপার থাকে। এগুলো লোকাল প্লেয়াররা যত বুঝবে, বাইরের কেউ ততটা বুঝবে না। ধরুন, আমার বাড়ি। কোথায় ড্রয়িংরুম, কোথায় কিচেন, কোথায় বেডরুম, কোথায় টয়লেট, কোথায় সুইচ বোর্ড, কোথায় জলের বোতল থাকে— সব আমার জানা। কিন্তু আমায় যদি অন্য লোকের ঘরে যেতে হয়, তবে খুঁজতে হবে সব কিছু। মাঠও তাই। তার নানা অ্যাঙ্গেল, উইকেটের চরিত্র, কতটা মোচড়া মারলে বল ধরবে— এগুলো ছোট ছোট ব্যাপার হলেও মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেকেআর সেটা বোঝে না। বোঝে না লোকাল প্লেয়ার দলে নিলে স্থানীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের আবেগও সঙ্গী হয়। হোম অ্যাডভান্টেজ তো এগুলোই।”
কেকেআরের স্ট্র্যাটেজিতে বাংলার রঞ্জিজয়ী অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিস্মিত। তিনি উদাহরণ টানছেন অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। বললেন, “অন্য রাজ্যের লোকাল প্লেয়াররা যে যে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আছে, তার তুলনায় এই ফরম্যাটে বাংলায় অনেক ভাল ক্রিকেটার রয়েছে। যারা বাংলার হয়ে রঞ্জিতে খেলছে তার বাইরেও অনেক প্রতিভা আছে। যারা কি না টি-টোয়েন্টি খুব ভাল খেলে। আমাদের দুর্ভাগ্য, কেকেআর তাদের খোঁজ নেয় না বা বৈমাতৃসুলভ আচরণ করে। বা, মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের মতো ব্যবহার করে। আমি মালিক, যা খুশি করতে পারি, হাবভাব এমনই। এতে বাংলার অনেক তরুণ, যারা এই ফরম্যাটে ভাল খেলে, তারা বঞ্চিত হচ্ছে। আর বাংলার যে ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলছে তারা কেকেআরে নেই। আমাকে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি দেখিয়ে দিন তো যাতে কি না একটাও লোকাল প্লেয়ার নেই!”
এমন নয় যে মনোজ, ঋদ্ধি, শামিরা কখনও ‘করব, লড়ব, জিতব রে’ গাননি। তাঁরাও গলা মিলিয়েছেন এই সুরে। কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। অন্য রাজ্যের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে যে সহনশীলতা দেখিয়েছে নাইট কর্তৃপক্ষ, তা দেখা যায়নি বঙ্গ ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে। বরং সুযোগের অপেক্ষায় থেকেছেন তাঁরা। ছেঁটে ফেলার সেই নির্মমতা থেকে রেহাই পাননি এমনকি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও!
নাইট রাইডার্সের জার্সিতে দেবব্রত দাস। —ফাইল চিত্র।
সম্বরণ বললেন, “প্রথমত, এটা অপমানজনক। দ্বিতীয়ত, এতে ক্ষতি হচ্ছে বাংলার ক্রিকেটারদেরই। এই যে ঈশান পোড়েল। ওকে বাইরে পঞ্জাবের হয়ে খেলতে হচ্ছে। যখন নিলাম হয়, তখন বাংলার অন্তত ১৫টা প্লেয়ারের দিকে তো চোখ থাকবে। তার মধ্যে দু’জনকে নেওয়া হোক। বা, অন্তত এক জনকে নেওয়া হোক। কিন্তু কেকেআর তো মনে হয় নিলামে বাংলার ক্রিকেটারদের নামের তালিকাই সঙ্গে রাখে না। এটা অপমানজনক তো বটেই, তার সঙ্গে দুর্ভাগ্যেরও। এখানকার তরুণরা উপেক্ষিত হচ্ছে। যা দুঃখজনক। কষ্টেরও। আর এটা দিনের পর দিন হচ্ছে। প্রথম কয়েক বছরের পর এমনই চলছে। যা মানা মুশকিল।”
২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত কেকেআর কোচিং স্টাফের অংশ ছিলেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। মাঝে কয়েক বছরের বিরতির পর ফের ২০১৮ সালে ফেরেন সেখানে। কেকেআরে কেন ব্রাত্য বঙ্গ ক্রিকেটাররা? এখন বাংলা ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত জয়দীপের উত্তর, “কেকেআরে সাউথ ইন্ডিয়া ক্যাম্প বা দিল্লি ক্যাম্প আছে বা ছিল কি না, সেই তর্কে যাচ্ছি না। তবে বাংলার ক্রিকেটারদের যে দেখা হচ্ছে না, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত। আমরা গতবার মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় এক পয়েন্টের জন্য ফাইনালে উঠতে পারিনি। মহারাষ্ট্রের কাছে একটা ম্যাচ হেরে গিয়েছিলাম। কুড়ি রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। বাকি সব ম্যাচ জিতেছিলাম, সব দলকে হারিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলার একটা ছেলেকেও ট্রায়ালে ডাকা হয়নি তার পর। ওদের কী ট্রায়াল হয়, কে সেখানে যায়, কোনও ধারণাই পাই না। আগে আমি সবকিছুর মধ্যে ছিলাম। নামগুলো দেখলে বলতে পারতাম যে এই ছেলেটা ২১২ রান করে কেন ট্রায়ালে, বাংলার ছেলেটা ২২৫ রান করেও ডাক পাবে না কেন। তখন সেই ছেলেটাকেও ডাকা হত। এখন বলার কেউ নেই। বাংলার কেউ সাপোর্ট স্টাফে নেই। ফলে কী হচ্ছে তা জানিই না। কাদের ট্রায়ালে ডাকা হচ্ছে, কে ডাকছে, কারা স্পট করছে, ট্রায়াল আদৌও হচ্ছে কি না— সব ব্যাপারেই নো আইডিয়া।”
আরও পড়ুন: নেমারদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে ইউরোপ সেরা সেই অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন
আইপিএলের প্রথম কয়েক বছরে বাংলার ক্রিকেটারদের দেখা যেত কেকেআরে। সেই সময় কী ভাবে চলত ক্রিকেটার নেওয়ার প্রক্রিয়া? জয়দীপ শোনালেন, “যাদবপুর ক্যাম্পাসে ট্রায়াল হত। সেখানে স্থানীয় ক্রিকেটারদের ডাকতাম। ১০-১২টা বাংলার ছেলে আসত। দেবব্রত দাসরা ওখান থেকেই নজরে পড়ে। এখন কলকাতায় ওদের কোনও স্টাফ নেই, কোনও কানেকশনই নেই কলকাতার সঙ্গে। তবে আইপিএল মানেই যে সেই রাজ্যের ক্রিকেটাররা বোঝাই থাকবে দলে, এমন কিন্তু নয়। এই তো বেঙ্গালুরুর ছেলেরা এক সময়ে কেকেআরে ছিল। রবিন উথাপ্পা, মণীশ পাণ্ডে, বিনয় কুমার। তখন কর্নাটক কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ছিল। এখন উথাপ্পা রাজস্থানে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ আবার কেকেআরে। এ দিক-ও দিক সব ছড়িয়ে গিয়েছে। তবে এটা ঠিক যে আগে কেকেআরে যে কয়েক জন বাংলার ক্রিকেটার ছিল এখন সেটা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।”
সৌরভের নেতৃত্বে প্রথম আইপিএলে কেকেআরে ছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল, ঋদ্ধিমান সাহা, রোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরাশিস লাহিড়ি, রণদেব বসুরা। রিকি পন্টিংয়ের নজর কেড়ে দলে এসেছিলেন ডিন্ডা। জয়দীপ বললেন, “ক্রিকেটার নেওয়ার ক্ষেত্রে কোচ ও অধিনায়কের বড় ভূমিকা থাকে। আমি সেখানে সাপোর্ট পেয়েছিলাম। আমি চেষ্টা করতাম বাংলার ছেলেদের পারফরম্যান্স তুলে ধরার। ফলে প্রথম পাঁচ বছরে অনেকে সুযোগ পেয়েছিল। মাঝে কয়েক বছর ছিলাম না। ২০১৮ সালে যখন এক বছরের জন্য যুক্ত হয়েছিলাম, তখন দেখলাম বাংলার ছেলেদের ডাকার রেওয়াজই নেই।”
আমিরশাহিতে ঋদ্ধি ও শামিকে দেখা যাবে যথাক্রমে সানরাইজার্স ও পঞ্জাবের জার্সিতে।
সম্বরণ এই বিষয়ে বাংলার ক্রিকেটারদের স্বার্থরক্ষায় উদ্যোগী দেখতে চান সিএবিকে। বললেন, “দাবি করা যাবে না। তবে এই ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে অন্তত অনুরোধ করা যায়। বলা যেতে পারে যে আমাদের ছেলেদের যেন দেখা হয়। উপেক্ষার শিকার হতে না হয়।” সূত্রের খবর, সিএবি-ও বাংলার ক্রিকেটারদের অবহেলিত থাকার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। কেকেআরে যে স্থানীয় এক জনও নেই, তা গভীর দুশ্চিন্তার বলেই মনে করছে তারা। আর সেই কারণেই সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া আগেই এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর আরব সাগরের তীরে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সদর দফতরে বসেছিল বার্ষিক সাধারণ সভা। সেই সভার মিনিটস-এ নথিভুক্ত রয়েছে অভিষেকের বক্তব্য। যাতে তিনি আইপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছিলেন। পাশে পেয়েছিলেন হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে। এই প্রসঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল আইপিএল চেয়ারম্যানের তরফে।
সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে অভিষেক বললেন, “আইপিএলের উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় ক্রিকেটারদের প্রমোট করা। তাঁদের বেড়ে ওঠায় সাহায্য করা। সবাই তো আর জাতীয় দলে খেলে না, খেলার সুযোগ পায় না। কিন্তু, তাঁরাও যাতে নজরে আসে সেটাই ছিল লক্ষ্য। সেই সভায় এটাই বলেছিলাম। আজহারউদ্দিন বলেছিল আইপিএলে ভারতীয় কোচদের সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে। আমার বক্তব্য ছিল ক্রিকেটারদের নিয়ে। আগে একটা লোকাল ক্যাচমেন্ট এরিয়াও ছিল। সেখান থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নিতে হত খেলোয়াড়দের। আমি চাই না আগের মতো কড়া নিয়ম ফের চালু হোক। কিন্তু একটা নিয়ম আবার করা দরকার। যাতে স্থানীয় ক্রিকেটাররা সুযোগ পায় ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। আমরা এই ইস্যু ফের তুলব। আবার এই প্রসঙ্গে বোর্ডে কথা বলব। আর তখন কিন্তু আমার বক্তব্য মেনে নেওয়া হয়েছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলার আশ্বাসও ছিল।”
অর্থাৎ, সিএবি হাল ছাড়ছে না। এই ইস্যুতে লড়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিই থাকছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অভিষেকের তরফে। এর ফলে কি নড়ে বসবে কেকেআর ম্যানেজমেন্ট? সুযোগ পাবেন স্থানীয়রা? খুলে যাবে বন্ধ দরজা? উত্তরের জন্য আপাতত অপেক্ষা পরের বছরের আইপিএলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy