উচ্ছ্বাস: জয়ের পরে দুই কিংবদন্তি। কোহালি এবং ডিভিলিয়ার্স। টুইটার
একদিকে বিরাট কোহালি এবং এবি ডিভিলিয়ার্সের মতো তারকা ব্যাটসম্যান। প্রতিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নার এবং জনি বেয়ারস্টোর মতো বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি।
দুর্দান্ত একটা ক্রিকেট-বিনোদন উপভোগ করতে সোমবার সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচটা দেখতে বসেছিলাম। কিন্তু আরসিবির ১৬৩-৫ তাড়া করতে নেমে শেষ পাঁচ ওভারে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ যে এভাবে আত্মসমর্পণ করবে, তা ভাবিনি।
এ বার আইপিএলের বিজ্ঞাপনে একটা গান বাজছে। তার একটা লাইন হল, ‘‘ইয়ে সব কা গেম হ্যায়।’’ আরসিবি-র ব্যাটিং ও বোলিং, দুই বিভাগেই এই কথাটা প্রমাণ করল তিন তরুণ তুর্কি। ব্যাটসম্যান দেবদত্ত পাড়িকল (৪২ বলে ৫৬), লেগস্পিনার যুজ়বেন্দ্র চহাল (৩-১৮) এবং পেসার নবদীপ সাইনি (২-২৫)। সঙ্গে অভিজ্ঞ এবি ডিভিলিয়ার্সের ৩০ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংসকেও রাখতে হবে এই জয়ের নেপথ্যে। সব মিলিয়ে তারুণ্যের তেজে ঝলমলে রয়্যাল পারফরম্যান্স। এটাই অধিনায়ক বিরাটের বিশেষত্ব। ও জানে আস্তিন থেকে তুরুপের তাস কখন বার করতে হয়।
দেবদত্ত জীবনের প্রথম আইপিএল খেলতে নেমে সুযোগটা দারুণ কাজে লাগিয়েছে। হাত ও চোখের সমন্বয় দুর্দান্ত। সঙ্গে রয়েছে সাহস। তাই শুরু থেকেই ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খানদের মোকাবিলা করেছে আগ্রাসী ছন্দে।
আরও পড়ুন: মিচেল মার্শের চোট নিয়ে উদ্বেগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শিবির
কাট, পুল, ড্রাইভ সব শটই ওর হাতে রয়েছে। খাটো লেংথের বল খেলতেও সমস্যা হয় না। এই বাঁ হাতি ওপেনার জীবনের প্রথম শ্রেণি, লিস্ট এ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম বার খেলতে নেমে অর্ধশতরান করেছিল। সেই ধারা অব্যাহত রাখল আইপিএল অভিষেকেও। বাঁ হাতি এই ব্যাটসম্যানের খেলায় যুবরাজ সিংহের কিছুটা ছায়া দেখলাম। আগামী দু’বছরে পর পর দু’টো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফলে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির হাতে কিন্তু নতুন অস্ত্রের সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ইডেনের গ্যাটিং হয়ে বেয়ারস্টোই বিপদ ডাকলেন
সানরাইজ়ার্স হারল চাপের মুখে। ডেভিড ওয়ার্নার শুরুতে রান আউট হলেও জনি বেয়ারস্টো এবং মণীশ পাণ্ডে ভালই খেলছিল। কিন্তু প্রাক্তন আইপিএল খেলোয়াড় হিসেবে জানি, ডাগআউটে যদি এক বার বিপক্ষ সম্পর্কে ভয় ঢুকে পড়ে, তা হলে কিন্তু চাপ বেড়ে যায়। সেটাই হয়েছে ১৬ ওভারে চাহাল বল করার সময়। জনি বেয়ারস্টোকে (৬১) দুরন্ত লেগস্পিনের ফাঁদে ফেলে বোল্ড করল। পরের বলে গুগলিতে ভাঙল বিজয় শঙ্করের উইকেট। এতেই কেঁপে যায় হায়দরাবাদ। বুঝলাম না, এ রকম ম্যাচে কেন উইলিয়ামসনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে ওয়ার্নার দলে না রাখার ঝুঁকিটা নিল কী করে! আতঙ্ক এতই প্রবল হল যে, পরের ২৫ বলে ৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই হারিয়ে গেল ওয়ার্নারের দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy