দুবাইয়ে ম্যাচ জেতার পরে উচ্ছ্বসিত ব্যাঙ্গালোর শিবির। ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া।
খারাপ সময় চলছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির। শনিবার দুবাইয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৩৭ রানে হারাল চেন্নাই সুপার কিংসকে। এ বারের টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত মাত্র দুটি ম্যাচ জিতেছে তিন বারের চ্যাম্পিয়নরা। পাঁচটা ম্যাচে ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছে চেন্নাইয়ের। এ দিন ব্যাঙ্গালোর জেতায় লিগ টেবলে চার নম্বরে পৌঁছে গেল। চেন্নাই এখন ছ' নম্বরে। টুর্নামেন্ট ক্রমশ কঠিন হচ্ছে ধোনিদের জন্য।
ব্যাঙ্গালোরের বিরাট জয়ের নেপথ্যে রয়েছে অধিনায়ক কোহালির দুরন্ত ৯০ রান। দলের যখন রান দরকার, ঠিক সেই সময়ে অধিনায়ক খেললেন দুরন্ত ইনিংস। কোহালি জ্বলে ওঠায় ২০ ওভারে ব্যাঙ্গালোর তোলে চার উইকেটে ১৬৯ রান। কোহালি রুখে না দাঁড়ালে ব্যাঙ্গালোর শিবির এই রানে পৌঁছতেই পারত না। ব্যাঙ্গালোরের রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চেন্নাই।
শেন ওয়াটসন (১৪), ফ্যাফ দু' প্লেসি (৮) ব্যর্থ। অম্বাতি রায়ুডু ও নারায়ণ ইনিংস গড়ার কাজ করছিলেন। দু' জনে ৬৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। কিন্তু রানের গতি অনেকটাই কমে যায়। বাড়তে থাকে আস্কিং রেট। চাপের মুখে নারায়ণ রান আউট হন ৩৩ রানে। ১৪.২ ওভারে চেন্নাইয়ের রান তখন ৩ উইকেটে ৮৯। এই পরিস্থিতিতে ব্যাট হাতে নামেন ধোনি। চেন্নাইয়ের ত্রাতা হতে পারতেন তিনি। আগেও বহুবার এ রকম কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে জিতিয়েছেন বিশ্ববন্দিত অধিনায়ক। এ বারের আইপিএলে ধোনি প্রথম থেকেই নিষ্প্রভ।
এ দিন যুজবেন্দ্র চহালকে ছক্কা মারতে গিয়ে ধোনি ধরা পড়লেন গুরকিরাত সিংহের হাতে। মাত্র ৬ বলে ১০ রান করলেন ধোনি। রায়ুডুকে (৪২) বোল্ড করলেন উদানা। স্যাম কারেন খাতা না খুলেই ফিরলেন। ম্যাচ অনেক আগেই হাতছাড়া হয়ে যায়। রবীন্দ্র জাদেজা (৭) ও ডোয়েন ব্রাভোর (৭) পক্ষে সেই ম্যাচ জেতানো সম্ভব হয়নি। চেন্নাই থামল ১৩২ রানে।
আরও পড়ুন: শেষ ওভারে নাটকীয় জয় কলকাতার, ২ রানে হারল পঞ্জাব
শনিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ব্যাঙ্গালোর। দীপক চহার শুরুতেই অ্যারন ফিঞ্চকে (২) ফিরিয়ে আঘাত হেনেছিলেন। পাড়িকল ও বিরাট কোহালি ৫৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। শার্দুল ঠাকুরের বলে পাড়িকলের (৩৩) ক্যাচ ধরেন ফ্যাফ দু’ প্লেসি। জমে যাওয়ার পরেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন পাড়িকল।
সেই ওভারেই শার্দুল ঠাকুর ফেরান এবি ডিভিলিয়ার্সকে(০)। দ্রুত রান তোলার জন্য পাঠানো হয়েছিল ওয়াশিংটন সুন্দরকে। স্যাম কারেনের বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়াশিংটন সুন্দর (১০)। পর পর উইকেট হারিয়ে চাপ অনুভব করতে শুরু করে ব্যাঙ্গালোর। এই পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন কোহালি। শিবম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। ৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে এবি ডিভিলিয়ার্সের মতো বেশ কিছু শট খেলেন কোহালি। শিবম দুবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ২২ রানে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দারুণ নেতৃত্বও দিলেন কোহালি। বুদ্ধি করে বোলারদের ব্যবহার করলেন। ক্রিস মরিস (৩-১৯), ওয়াশিংটন সুন্দর (২-১৬) বল হাতে সফল হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy