ছবি পিটিআই।
ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যে সব কৌশল ও নিয়েছে তা নিয়ে আলোচনায় প্রচুর সময় এবং শক্তি খরচ হয়েছে। সবাই এত অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের থেকে এখনও অনেক কিছু আশা করে, করাই উচিত। সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক হিসেবে ধোনির রেকর্ড তুলনাহীন। আমার মতে, গত বিশ্বকাপের পর থেকে আইপিএল পর্যন্ত এত দিন ছুটিতে থাকার প্রভাব পড়েছে ধোনির উপরে। যদি প্রতিযোগিতাটা এপ্রিলে হত, তা হলে চিত্রনাট্যটা অন্য রকম হতে পারত।
আমি অনেক দুরন্ত ব্যাটসম্যানকে ছন্দ হারাতে দেখেছি। যদি অসাধারণ টেকনিকের অধিকারী কেউ না হয়, তা হলে এক জন ব্যাটসম্যানের ছন্দে ফেরার সেরা উপায় হল আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা। ধোনির খেলা উচিত পুরনো ধোনির মতো ভয়ডরহীন এবং আক্রমণাত্মক ভাবে। যে সময়ে কখনও ও বোলারকে মাথায় চড়তে দেয়নি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখন ওর প্রায় প্রতিটা ইনিংসেই দাপট দেখাচ্ছে বোলাররাই।
অধিনায়ক হিসেবে ধোনির কৌশল নিয়ে আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারলাম না, কেন ও তরুণ ক্রিকেটারদের খেলাচ্ছে না। এ বারের আইপিএল শুরু হওয়ার আগেই চেন্নাই জানত, ওদের প্রথম একাদশকে পাওয়া যাবে না। প্রায় একই রকম পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কিন্তু ধোনি তরুণদের উপরে ভরসা করেই সাফল্য পেয়েছে।
নেতা ধোনির আর এক বড় জয় ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। সে বার তরুণ দলটাকে যে ভাবে ও বিশ্বের সেরা হিসেবে গড়ে তুলেছিল সেটা ওর অধিনায়ক জীবনের এক বড় সাফল্য। সেই একই সাফল্য আমি আমিরশাহিতেও আশা করেছিলাম। কিন্তু ও অন্য রকম পথ নিল। বাকি সব দল কিন্তু সাফল্য পাচ্ছে অনভিজ্ঞ বা তরুণ ভারতীয় প্রতিভাদের সুযোগ দিয়ে।
ব্যাট হাতে একেবারে অল আউট আক্রমণের কৌশল নেওয়া কিন্তু তিন বারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য খুব খারাপ হবে না। দলের দুই তৃতীয়াংশ ক্রিকেটারও যদি নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেটটা খেলতে পারে, তা হলে আমার বিশ্বাস ওরা অনেক দলকেই বিপদে ফেলে দিতে পারবে। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত যদি ওরা মরিয়া হয়ে থাকে তা হলে দারুণ হবে। ইতিমধ্যেই দারুণ ভাবে উত্তেজনায় ভরপুর লিগে সেটা আরও রসদ যোগ করবে।
(টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy