এ বারের আইপিএল বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটপ্রেমী দেখবেন বলে মনে করছেন নেস ওয়াদিয়া। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য আইপিএলে কড়া স্বাস্থ্যবিধির পক্ষে সওয়াল করলেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অন্যতম মালিক নেস ওয়াদিয়া।
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল শুরুর ঘোষণা করেছেন চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেল। দুবাই, শারজা ও আবু ধাবিতে প্রতিযোগিতা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামী সপ্তাহে বসবে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানেই চূড়ান্ত হবে সূচি। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) ঠিক হবে তখনই। তারই অপেক্ষায় রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। সংবাদ সংস্থাকে নেস ওয়াদিয়া বলেছেন, “মাঠে ও মাঠের বাইরে কড়া সেফটি প্রোটোকল রাখতে হবে। তবেই আইপিএল সফল হবে। এটাতে কোনও সমঝোতা করা চলবে না। আমি চাইব যত বেশি সম্ভব টেস্ট করা হোক প্রতি দিন। আমি যদি ক্রিকেটার হতাম, তবে প্রতি দিন টেস্ট করালে খুশি হতাম। এতে তো কোনও ক্ষতি নেই।”
ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ হচ্ছে ‘বায়ো-সিকিউর’ পরিবেশে। দুই দলকেই রাখা হচ্ছে স্টেডিয়াম সংলগ্ন হোটেলে। কিন্তু, আইপিএলে আট দলের প্রতিযোগিতায় তা কতটা করা সম্ভব, তা নিয়ে থাকছে সংশয়। নেস ওয়াদিয়া বলেছেন, “বায়ো-সিকিউর রাখার ব্যাপারটা গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। কিন্তু আট দলের প্রতিযোগিতায় তা কী ভাবে প্রয়োগ করা হবে জানি না। আমরা বোর্ডের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি।”
আরও পড়ুন: খারাপ সময় কাটাতে কোহালিকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন সচিন, রবি শাস্ত্রী?
আরও পড়ুন: বিপুল আর্থিক ক্ষতি এড়াতেই আইপিএল আয়োজনে সবুজ সঙ্কেত
মার্চের শেষে শুরু হওয়ার কথা ছিল আইপিএল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গিয়েছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিলের পর আইপিএলের সম্ভাবনা জোরালো হয়। নেস ওয়াদিয়া বলেছেন, “আমিরশাহিতেও কিন্তু টেস্টিং রেট বেশ উঁচু। সমস্ত প্রযুক্তি রয়েছে ওদের কাছে। যাতে যথাযথ টেস্টিং হয় তার জন্য বিসিসিআই সাহায্য করবে স্থানীয় প্রশাসনকে। তবে এর আগেও আমরা আমিরশাহিতে আইপিএল করেছি। আর ইপিএলের মতো ফুটবল লিগগুলো দেখে আমরা কী ভাবে কোভিডের সময় খেলা আয়োজন করা যায় তার সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করেছি।”
এ বারের আইপিএল যে দারুণ সফল হবে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই নেস ওয়াদিয়ার। তিনি বলেছেন, “এ বারের আইপিএল যদি সবচেয়ে বেশি মানুষ না দেখেন তবে আমি অবাক হব। আমি কিন্তু শুধু ভারতের কথা বলছি না। বিশ্ব জুড়ে দেখার কথা বলছি। ফলে স্পনসরদের প্রচুর লাভ হবে। আগের সংস্করণগুলোর চেয়ে এ বার অনেক বেশি মানুষ আইপিএল দেখবেন।” কিন্তু ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা হলে তো দলগুলো টিকিট বিক্রির অর্থ পাবে না। নেস ওয়াদিয়া আশাবাদী, “আমরা এখন যে হতাশার মধ্যে রয়েছি তা কাটাতে পারে আইপিএল। ইতিবাচক তরঙ্গ আমদানি করবে এই প্রতিযোগিতা। আইপিএল শুরু করার মতো উইন্ডো খুঁজে বের করার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য বোর্ডের। আমি নিশ্চিত যে গেট মানি না পেলেও বিসিসিআই ক্ষতিপূরণ দেবে সমস্ত দলকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy