ঋষভ পন্থের চোট দিল্লির কাছে বড় ধাক্কা। ছবি পিটিআই
আমরা আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে এসে পড়েছি। সাতটা করে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে, টেবলের উপরে থাকা দুটো দল প্লে অফে ওঠার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে। টেবলের শেষে থাকা দুটো দলের কাছে রাস্তাটা ক্রমে কঠিন হচ্ছে। আর প্লে অফের পরের দুটো জায়গার জন্য লড়াই করছে চারটে দল। যা আইপিএলকে আরও জমিয়ে দিয়েছে।
এই আইপিএলে একটা ব্যাপার আমার খুব ভাল লাগছে। সেটা হল, দেশের জার্সিতে এখনও পর্যন্ত না খেলা ভারতীয় ক্রিকেটারদের নজরকাড়া পারফরম্যান্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যেমন দেবদত্ত পাড়িকলের মধ্যে খুঁজে পেয়েছে এক জন ভাল ওপেনারকে। সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের টি নটরাজন প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করে চলেছে। এগুলো ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য খুবই ভাল দিক। ওরা দেখিয়ে দিচ্ছে, কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে কতটা তৈরি।
তবে সব চেয়ে ভাল লেগেছে রাজস্থান রয়্যালসের রাহুল তেওটিয়াকে। আইপিএলের মতো এ রকম চাপের প্রতিযোগিতায় একাই দুটো ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়া মুখের কথা নয়। এতেই বোঝা যায় ছেলেটার মানসিক শক্তি আর দক্ষতা কত ভাল। তেওটিয়ার অলরাউন্ড দক্ষতা বুঝিয়ে দিয়েছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য ও কতটা মানানসই। ছেলেটার সব চেয়ে যে গুণটা চোখে পড়ল, তা হল, ঠিক মতো নিজের ইনিংসকে গড়তে পারার ক্ষমতা আর ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে খেলা।
বুধবার রাজস্থান রয়্যালস মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালসের। দিল্লি দলটা খুব গোছানো। কিন্তু ঋষভ পন্থের চোট ওদের কাছে বড় ধাক্কা। ঋষভ তো শুধু ব্যাট হাতেই ঝড় তোলে, এমন নয়। পাশাপাশি কিপিংটাও করে দেয়।
অন্য দিকে, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিতে রাজস্থানের মনোবল বেড়ে থাকবে। আগের ম্যাচে তেওটিয়ার পাশে ভাল খেলেছে রিয়ান পরাগও। আস্কিং রেট বাড়তে থাকলেও পরাগ কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখেছিল। মনে হচ্ছে, তেওটিয়া-পরাগ জুটি রাজস্থানকে আরও টানবে। তবে প্রথম বারের চ্যাম্পিয়নকে এগোতে গেলে জস বাটলার, স্টিভ স্মিথ, বেন স্টোকসকে একসঙ্গে ভাল খেলতে হবে। দিল্লি কিন্তু সহজ প্রতিপক্ষ নয়। রাজস্থানকে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে। কোনও সন্দেহ নেই, আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বটাও জমে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy