বিরাট কোহালি। ছবি পিটিআই।
সপ্তাহের শুরুতেই আজ, সোমবার দুবাইয়ে ব্যাটে-বলের দুরন্ত ক্রিকেট দ্বৈরথ দেখার জন্য প্রহর গুনছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। লড়াই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের। আরও স্পষ্ট ভাবে বিরাট কোহালি বনাম কাগিসো রাবাডার দ্বৈরথ। আইপিএলের ইতিহাসে কোহালির অন্যতম প্রিয় প্রতিপক্ষ হল দিল্লি। কারণ, এই দলের বিরুদ্ধে তাঁর আটটি অর্ধশতরান রয়েছে। গড় ৬৩.৪৬। শনিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে রাজকীয় মেজাজে রানে ফিরেছেন তিনি। ৫৩ বলে অপরাজিত থাকেন ৭২ রানে। সোমবারও ফের বিরাট-ইনিংস দেখার অপেক্ষায় দর্শক।
অন্য দিকে, শারজার মাঠে কেকেআরকে হারানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আবার বড় পরীক্ষার সমানে শ্রেয়স আইয়ারের দিল্লি ক্যাপিটালস। পরিসংখ্যান বলছে, আরসিবির বিরুদ্ধে ২৩ বারের সাক্ষাতে মাত্র ৮ বার জিতেছে দিল্লি। তবে অতীত নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না দিল্লি শিবির। হুঙ্কার দিয়েছেন পেসার অ্যানরিখ নরখিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘আরসিবি খুব শক্তিশালী দল। কয়েকটি বড় নাম রয়েছে বিপক্ষে। তাই কঠিন পরীক্ষা। তবে আমরা নিজেদের দক্ষতা পুরো প্রয়োগ করলে প্রতিপক্ষকে পিছনে ফেলতে পারব।’’ যোগ করেছেন, ‘‘বিপক্ষের তারকাদের নিয়ে বেশি না ভেবে নিজেদের স্বাভাবিক দক্ষতায় শান দিচ্ছি আমরা।’’
কোহালির মতো শেষ ম্যাচে দারুণ রান পেয়েছেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। যিনি কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ৩৮ বলে ৮৮ রান করেন। সোমবারের দ্বৈরথের জন্য তিনিও তৈরি। শ্রেয়স বলেছেন, “আমার মধ্যে কোনও ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতা নেই। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছি। এই ছন্দ ধরে রাখতে হবে।” শ্রেয়স জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষ বোলারদের শক্তি এবং দুর্বলতা যাচাই করে তিনি পাল্টা আক্রমণে যেতে পছন্দ করেন। বলেছেন, “পাওয়ারপ্লে এবং স্ট্রাইক রোটেট করে স্কোরবোর্ডকে সচল রাখতে হবে। না হলে পরের দিকে চাপ বেড়ে যায়। অধিনায়ক হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করছি। তার সঙ্গে লম্বা শটেও জোর দিচ্ছি।”
আরও পড়ুন: স্পিনারদের ভূমিকা কিন্তু বড় হচ্ছে
গত ম্যাচে পায়ে চোট পাওয়া পৃথ্বীকে নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে দিল্লি শিবির। তিনি না খেললে আসতে পারেন অজিঙ্ক রাহানে। চোট পাওয়া স্পিনার অমিত মিশ্রর জায়গায় খেলতে পারেন অক্ষর পটেল। আরসিবির নতুন তারকা দেবদত্ত পাড়িকলকে রুখতে দিল্লির অস্ত্র আর অশ্বিন। বিজয় হজারে এবং মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে পাড়িকলকে স্বস্তিতে থাকতে দেননি অশ্বিন। এ বার কী হয়, সেটাও দেখার। যদিও আরসিবি-র নতুন তারা বলেছেন, “আমাকে অধিনায়ক বলে দিয়েছেন, দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যা করণীয়, সেটা করতে হবে। আমি প্রত্যেকটি বল খুব ভালভাবে দেখে কী শট নেব, তা ঠিক করি। কোহালির মতো অধিনায়ক পাশে থাকলে ব্যাটিং করতে কোনও সমস্যাই হয় না। নিজের খেলার মাধ্যমে তিনি সতীর্থকে উজ্জীবিত করতে পারেন। তাই আমিও নিজেকে অহেতুক চাপের মধ্যে ফেলতে চাই না। যে কাজ করতে বলা হয়েছে, সেটাই ধারাবাহিক ভাবে পালন করতে চাই।”
আরও পড়ুন: হালেপকে হারিয়ে চমক শিয়নটেকের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy