রাসেলের ঝড়। ছবি: এপি।
আন্দ্রে রাসেল ঝড়ে উড়ে গেল বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এই ম্যাচের আগের দিন কেকেআর-এর সহকারী কোচ সাইমন ক্যাটিচ বলেছিলেন, রাসেল ছাড়া তাঁদের দলে রয়েছেন একাধিক ম্যাচ উইনার। ক্যাটিচের কথাগুলো রাসেলের কানে গিয়েছিল কিনা জানা নেই। শুক্রবার রাতে চিন্নাস্বামীতে সেই রাসেলই ম্যাচ উইনার। তিনিই নায়ক।
‘ক্যারিবিয়ান দৈত্য’ দেখিয়ে দিলেন যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন তিনি। দিনের শেষে রাসেলের নামের পাশে লেখা ১৩ বলে ৪৮ রান। মেরেছেন একটি বাউন্ডারি ও সাতটি ওভার বাউন্ডারি। শেষ দু’ ওভারে জেতার জন্য কেকেআর-এর দরকার ছিল ৩০ রান। সাউদির ওভারে আসে ২৯ রান। তার মধ্যে শুবমান গিল নিয়েছেন মাত্র এক রান। বাকি ২৮ রানই রাসেলের। সাউদির আগের ওভারে মহম্মদ সিরাজ বড় সড় ভুল করে বসেন। কোমরের উপরে দু’ বার বল করায় সিরাজকে আর বল করতে দেননি আম্পায়ার। সিরাজের ওভার শেষ করেন স্টয়নিস। রাসেলের নির্দয় মার থেকে বাঁচেননি তিনিও। সেই ওভারে আসে ২৩ রান। ওই রকম পাওয়ার হিটিংয়ে শেষ হয়ে গেল আরসিবি-র যাবতীয় প্রতিরোধ। যদিও এদিন এক সময়ে বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল নাইটদের জয়ের সমীকরণ। যখন মনে হচ্ছে ম্যাচটা হাতছাড়া হতে চলেছে কেকেআর-এর, ঠিক তখনই ত্রাতা হয়ে অবতীর্ণ হন রাসেল। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাঁচ বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় কেকেআর।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে আরসিবি তুলেছিল ৩ উইকেটে ২০৫ রান। অধিনায়ক বিরাট কোহালি খেলেন ৮৪ রানের ইনিংস। এবিডি করেন ৩২ বলে ৬৩ রান। এই দুই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলে আরও বেশি রান করতেই পারত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। মোক্ষম সময়ে কোহালি ও ডিভিলিয়ার্স ফেরায় আরসিবি থামে ২০৫ রানে। অবশ্য কোহালি ও ডিভিলিয়ার্সকে আরও আগেই ফেরানো যেত। নাইট ফিল্ডারদের সৌজন্যে দু’জনেই জীবন ফিরে পান।
আরও পড়ুন: আইপিএল নয় মাপকাঠি, বলে দিলেন রোহিত
আরও পড়ুন: ধোনির সামনেই পাণ্ড্যর হেলিকপ্টার শট, ‘প্রত্যাশা ছিল একটু পিঠ চাপড়ানির ’
প্রসিধ কৃষ্ণার প্রথম ওভারেই ১৩ রান তোলে আরসিবি। পাঁচ ওভারের শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর তোলে বিনা উইকেটে ৪৯। আরসিবি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নীতীশ রাণা। পার্থিব পটেলকে ২৫ রানে ফেরান তিনি। তার পরে কোহালি ও এবিডি ইনিংস টেনে নিয়ে যান। বিরাট কোহালি ৩১ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ২৮ বলে পঞ্চাশ পেরোন ডিভিলিয়ার্স। তখন কি আর কোহালিরা জানতেন রাসেল অসাধ্যসাধন করে ম্যাচ নিয়ে চলে যাবেন নাইটদের ক্যাম্পে! ভাগ্য খারাপ আরসিবি-র। পাঁচ-পাঁচটা ম্যাচ হয়ে গেলেও জয়ের মুখ এখনও দেখল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy