ভরসা: মুম্বইয়ে খুদে নাইট সমর্থকরা স্বাগত জানাচ্ছে রাসেলকে। টুইটার
বিরাট কোহালিদের জয় চেয়েছিল নাইট শিবির। দীনেশ কার্তিকদের সেই প্রার্থনা বিফলে গেল না। আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে সব চেয়ে বড় লাইফলাইন পেয়ে গেল তারা। আজ, রবিবার ওয়াংখেড়েতে মুম্বইকে হারাতে পারলেই শাহরুখ খানের দল চলে যাবে প্লে-অফে।
শনিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হেরে যাওয়ায় লাভ হয়েছে কেকেআরের। তারা যদি মুম্বইকে হারায়, তা হলে ১৪ পয়েন্ট হয়ে যাবে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা সকলেই পয়েন্টে পিছিয়ে থাকবে। তখন নেট রানরেটের হিসাবও আর দরকার পড়বে না নাইটদের। ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও ১৩ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে চলে যাবে কেকেআর।
অন্য দিকে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে প্রথম দুইয়ে নিজেদের স্থান পাকা করার লড়াই। শনিবার রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে লিগ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দিল্লি ক্যাপিলাটস। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৮। নাইটদের হারালে দ্বিতীয় স্থানে চলে যাবে মুম্বই। কারণ, দিল্লির থেকে রোহিত শর্মাদের নেট রানরেট ভাল।
আরও পড়ুন: জিতলেই প্লে অফ, মুম্বই ম্যাচে দলে কি একটি পরিবর্তন করছে কেকেআর?
টেবলের প্রথম দুই দল ফাইনালে যাওয়ার দু’টো সুযোগ পায়। প্রথম ম্যাচে যারা জিতবে সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। হেরে যাওয়া দল তার পর খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার্সে, এলিমিনেটর থেকে জিতে আসা দলের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে যারা জিতবে, তারা হবে দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট।
শাহরুখ খানের শহরে ভাগ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে তাঁর দলের। আর এমন একটা মাঠে, যেখানে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে পাঁচ বছর নির্বাসিত হয়েছিলেন স্বয়ং বাজিগর। মালিকের প্রতি সেই অপমান কি জাগিয়ে তুলবে নাইটদের? পুরনো সেই অপমানের জবাব দিতে হলে আন্দ্রে রাসেলকে যে তাঁর ফর্ম চালিয়ে যেতে হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ বার এখনও পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ৫১০ রান জামাইকান অলরাউন্ডারের। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি তৃতীয় স্থানে। চলতি আইপিএলে ৫২টি ছয় মেরেছেন রাসেল। ছক্কা মারার তালিকায় তিনিই শীর্ষে। যে ছ’টি ম্যাচ কেকেআর জিতেছে, প্রত্যেকটিতেই রাসেলের অবদান তাৎপর্যপূর্ণ। তবে তর্ক হয়েছে তাঁর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। তাঁকে যে অনেক নীচে নামানো হচ্ছিল এবং কয়েকটি ম্যাচ যে সেই কারণেই কেকেআর হেরেছে, তা সকলেই মেনে নিয়েছেন। ওয়াংখেড়েতে রবিবার ফের কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকবে রাসেলের ব্যাটিং অর্ডার। ইডেনে এই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেই তিন নম্বরে নেমে ৪০ বলে ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শেষ ম্যাচে পঞ্জাবের বিরুদ্ধেও রাসেল নামেন চার নম্বরে।
তবে মুম্বইয়ের বোলিং বিভাগ যথেষ্ট চাপে রাখতে পারে শাহরুখ খানের দলকে। যশপ্রীত বুমরা, লাসিথ মালিঙ্গা, হার্দিক পাণ্ড্য, রাহুল চাহাররা ঘরের মাঠে দুরন্ত পারফর্ম করে এসেছেন। ১৩ ম্যাচে ১৫ উইকেট বুমরার। ইকনমি রেট ৬.৭। চাহারের ইকনমি রেট ৭.০৫। ইডেনে গত ম্যাচে রান পাননি রোহিত। তাই এ ম্যাচে রান করার বাড়তি তাগিদ তাঁর থাকবে। ইডেনের ম্যাচে হার্দিক ৩৪ বলে করেন বিধ্বংসী ৯১। তাঁকে নিয়ে চিন্তায় থাকবে কেকেআর।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে অতীত ইতিহাস নাইটদের বিপক্ষে। ২৪ ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে ছ’বার। মুম্বইয়ে ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। তার মধ্যে মাত্র এক বার জিতেছে কেকেআর। ৯ বারই জিতেছে মুম্বই। তবে শনিবার সন্ধ্যায় মুম্বই পৌঁছে টিভির সামনে বসে পড়া কেকেআর শিবিরে নিশ্চয়ই রাতের দিকে খুশির হাওয়া। আরসিবির জয়ের চেয়ে সুসংবাদ আর কী হতে পারত!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy