ছবি: বিসিসিআই
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা রাজত্ব করে থাকে— এ প্রবাদবাক্যকে ভুল প্রমাণ করার জন্য সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ধন্যবাদ।
ডেভিড ওয়ার্নারের দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আরও ভাল লাগছে এই কারণেই যে, একটা বোলার নির্ভর টিম আইপিএল জিতল। পুরো টুর্নামেন্টই সানরাইজার্স বোলিং দুর্দান্ত ছিল। আর সে জন্যই টস জিতে ব্যাটিং নিতে পেরেছিল ওয়ার্নার। জানত স্কোরবোর্ডে দু’শোর আশেপাশে তুলতে পারলে, ওর বোলিং ইউনিট আরসিবিকে আটকে দিতে পারবে। বিরাট কোহালিদের বিরুদ্ধে খেলা মানেই চিরাচরিত ফর্মুলাটা হল, টস জেতো, ফিল্ডিং নাও, রান তাড়া করো। কিন্তু বোলারদের উপর ভরসা ছিল বলেই ওয়ার্নার আগে ব্যাটটা নিতে পারল। আর সেটা কিন্তু ম্যাচের প্রথম বড় টার্নিং পয়েন্ট।
আইপিএলের আটটা দলের মধ্যে সানরাইজার্সের বোলিংটাই সেরা। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হল ওদের ডেথ বোলিং। ভাবতে পারেন ওদের সেরা বোলার আশিস নেহরা ছিটকে গিয়েছে। যে নেহরা দলকে প্লে অফে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁকে ছাড়াই কী অবস্থা থেকে ফাইনাল বার করে নিল সানরাইজার্স। গেইল আউট হওয়ার পর আস্কিং রেট দশের নীচে নেমে এসেছিল। বিরাট-ডে’ভিলিয়ার্স ব্যাট করছে। সেখান থেকে কি না টিমকে চ্যাম্পিয়ন করে দিল সানরাইজার্স বোলাররা।
যে কোনও টিম টার্গেট করে রাখে শেষ পাঁচ ওভারে অন্তত ৬০ রান তুলব। এই তো সানরাইজার্স ইনিংসের সময় ওরা শেষ ৫ ওভারে ৬৮ তুলল। আর বিরাটদের ইনিংসের সময় শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৫১ রান। কিন্তু ভুবনেশ্বর-মুস্তাফিজুর ওই রানটাও তুলতে দিল না। ফিজের কাটার, ইয়র্কার। ভুবির নতুন বলে সুইং আর ডেথে ইয়র্কার ব্যাটসম্যানরা সামলাতেই পারল না। মুস্তাফিজুরের অ্যাকশন দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটা কাটার, কোনটা স্লোয়ার, কোনটা জোরের উপর ইয়র্কার। ভুবি ইয়র্কার দেবে ব্যাটসম্যানরা বুঝতে পারলেও ওদের কিছু করার ছিল না। ওই সব বলে বিগ শট খেলা যায় না।
সানরাইজার্সকে দেখে আমার কেকেআরের চ্যাম্পিয়ন টিমটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। কেকেআরের বোলিং ইউনিটটাও মারাত্মক ছিল। সানরাইজার্সের মতোই। আর এ বার ওয়ার্নারদের কাছে মুস্তাফিজুর যেন হয়ে উঠেছিল কেকেআরের নারিন। আর এ বারের আইপিএলের শুরুতে এই বেঙ্গালুরুতেই আরসিবি-র হাতে বেধড়ক মার খাওয়ার পর যেন নতুন করে জন্ম নিয়েছে বোলার ভুবনেশ্বর। হায়দরাবাদকে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে এই দুটো নামই কিন্তু আগে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy