এ বারও পারলেন না লক্ষ্য সেন। অল ইংল্যান্ড ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেন। শুক্রবার চিনের লি শিন ফেংয়ের কাছে ১০-২১, ১৬-২১ গেমে হেরে গিয়েছেন তিনি। আগের ম্যাচে গত বারের ট্রফিজয়ী জোনাথন ক্রিস্টিকে হারালেও কোয়ার্টার ফাইনালের বেশি এগোতে পারলেন না লক্ষ্য। চিনের খেলোয়াড়ের নেট প্লে এবং জোরালো স্ম্যাশের কাছে হারতে হল তাঁকে।
প্রথম গেমে প্রথম পয়েন্ট পেয়েছিলেন লক্ষ্যই। প্রথম কয়েকটি পয়েন্টে বিপক্ষের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছিলেন। ৪-৩ এগিয়ে থাকার সময়ে ফেং টানা আটটি পয়েন্ট পান। ওখানেই খেলা ঘুরে যায়। গতি এবং বৈচিত্র মিশিয়ে লক্ষ্যকে বার বার বিপদে ফেলছিলেন ফেং। চাপে পড়ে লক্ষ্যর দু’টি শট কোর্টের বাইরে যায়।
৪-১১ পিছিয়ে থাকার সময় লক্ষ্য গোটা দুয়েক ‘উইনার’ মেরে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন বটে। তবে ফেংকে চাপে ফেলতে পারেননি। লক্ষ্যের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে ফেংও একের পর এক রিটার্ন করছিলেন। নেটের কাছে এসে বার বার বিপদে ফেলছিলেন লক্ষ্যকে। ভারতের খেলোয়াড় তার সঙ্গে মানাতে পারেননি। হেরে যান গেম।
দ্বিতীয় সেটে লক্ষ্য নিজের খেলার কৌশল পাল্টে ফেলেন। ফেংয়ের মতো তিনিও নেটের কাছে এসে আক্রমণ শুরু করেন। শুরুতে ফেং ৫-২ পয়েন্টে এগিয়ে গেলেও লক্ষ্য পিছু হটেননি। টানা চারটি পয়েন্ট জিতে খেলা ৯-৭ করে দেন। তার পরেই ৩৭ শটের একটি র্যালি হয়। সেটা জেতেন লক্ষ্যই। বিরতিতে ১১-৮ এগিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
তার পরেই খেলা ধরে ফেলেন ফেং। টানা চারটি পয়েন্ট পেয়ে আবার লক্ষ্যের থেকে এগিয়ে যান। ভারতীয় খেলোয়াড় এক সময় ১৪-১৪ করে ফেললেও সেখান থেকে এগিয়ে গিয়ে সেট পকেটে পুরতে পারেননি। ক্রমশই পিছিয়ে পড়তে থাকেন।
খেলা শেষ হতে যখন ফেংয়ের এক পয়েন্ট দরকার, তখন বেশ কিছুটা সময় বিরতি নেন লক্ষ্য। তাঁর ডান হাতের কড়ে আঙুল কেটে গিয়ে কোর্টে রক্ত পড়েছিল। ব্যাডমিন্টনের নিয়ম অনুযায়ী, কোর্টে রক্ত থাকলে খেলা শুরু করা যায় না। চিকিৎসককে ডাকতে হয়। চিকিৎসক এসে লক্ষ্যের আঙুলে ব্যান্ডেজ বেধে দেওয়ার পর কোর্ট পরিষ্কার করে খেলা শুরু হয়। তবে লক্ষ্যের প্রত্যাবর্তন দেখা যায়নি। তাঁর একটি রিটার্ন নেটে আছড়ে পড়তেই উল্লাস শুরু করেন ফেং।