টানা ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ ফি কমিয়ে দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা হয় পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। প্রাক্তন, বর্তমান বেশ কিছু ক্রিকেটার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চাপে আবার ম্যাচ ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলেন মহসিন নকভিরা।
এক ধাক্কায় ৭৫ শতাংশ ম্যাচ ফি কমিয়ে দিয়েছিল পিসিবি। গত বছর পাকিস্তানের জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিটি ম্যাচ খেলার জন্য ৪০ হাজার পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ১২,৪৫০ টাকা) করে পেতেন ক্রিকেটারেরা। প্রথম একাদশের বাইরের ক্রিকেটারেরা পেতেন ২০ হাজার পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৬,২২৫ টাকা) করে। এক ধাক্কায় ম্যাচ ফি কমিয়ে যথাক্রমে ১০ হাজার পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৩১১৩ টাকা) এবং ৫ হাজার পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ১৫৫৬ টাকা) করা হয়।
পিসিবির এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা হয় পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। বাবর আজ়ম-সহ বেশ কিছু ক্রিকেটার প্রতিযোগিতায় খেলবেন না বলে জানান। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, চাপের মুখে এর পর নড়েচড়ে বসেন পিসিবি কর্তারা। শেষ পর্যন্ত জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ ফি অপরিবর্তীত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে গত বছরের মতো এ বারও প্রথম একাদশে থাকা ক্রিকেটারেরা প্রতিটি ম্যাচ খেলার জন্য ৪০ হাজার পাকিস্তানি টাকা করে পাবেন। প্রথম একাদশের বাইরের ক্রিকেটারেরা পাবেন ২০ হাজার পাকিস্তানি টাকা করে।
আরও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভরাডুবির পর নিউ জ়িল্যান্ড সফরে যাবে পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় এবং তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় খেলবে দু’দল। ২০ ওভারের সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচ ১৬ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে।