যুজবেন্দ্র চহাল এবং কুলদীপ যাদব।—ফাইল চিত্র।
শিমরন হেটমায়ার ও শেই হোপের মধ্যে বড় রানের জুটিটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সাদা বলে ভারতের বোলিং আক্রমণের চেহারা আর দুর্বলতা। আমি জানি যশপ্রীত বুমরা এবং হার্দিক পাণ্ড্য ফিরলে সমস্যা অনেকাংশেই মিটে যাবে। কিন্তু তার পরেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং আক্রমণের রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।
আমার মত হল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভুবনেশ্বর কুমার ছিটকে যাওয়ার পরে ওর জায়গায় উমেশ যাদবকে নেওয়া উচিত ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে এমন বোলার দরকার হাওয়ায় যার গতিটা বেশি থাকবে। উমেশ হয়তো একটু রান দিত, কিন্তু পাশাপাশি উইকেটও তুলে নিতে পারত ওর গতির জন্য।
প্রথম একাদশে কোন বোলাররা খেলবে, তা নিয়েও ভাবার সময় এসেছে। শিবম দুবেকে এখনই অলরাউন্ডার হিসেবে দেখাটা ঠিক হবে না। বোলার হিসেবে ওকে আরও উন্নতি করতে হবে। সেটা হলে তবেই বিরাট কোহালি ওকে পঞ্চম বোলার হিসেবে ব্যবহার করার আত্মবিশ্বাস পাবে। কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চহালকে একসঙ্গে খেলালে খারাপ হবে না। আমার তো মনে হয় ঘরের মাঠে এক জন ব্যাটসম্যানকে বসিয়ে ওদের আর এক জনকে খেলানোই যায়। আর যদি বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান খেলাতেই হয়, তা হলে শিবমকে বাইরে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে আজ তাজ রক্ষার অগ্নিপরীক্ষা ভারতের
হারের মধ্য দিয়েই একটা দল প্রয়োজনীয় শিক্ষা পেতে পারে। আমি নিশ্চিত, কোচেরা সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করছে। ফিল্ডিং ভারতের খুব বড় প্লাস পয়েন্ট ছিল। কিন্তু হঠাৎই ফিল্ডিংয়ে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। সেরাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত চ্যালেঞ্জ খাড়া করতে হলে ভারতকে তিন বিভাগেই উন্নতি করতে হবে।
প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচের পরে এটা বলে দেওয়া যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালই একটা ধাক্কা দিয়েছে ভারতকে। হেটমায়ার দুরন্ত খেলেছে। হোপও নিজের ভূমিকাটা পালন করে গিয়েছে। পাওয়ার হিটারে ভরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটায় হোপ একটা শান্ত ভাব নিয়ে আসে। হোপের স্ট্রাইক রেটটা অবশ্য মাঝে মাঝে কমের দিকেই থাকে। এটা সমস্যার হয়ে দাঁড়ায় যখন ওর উল্টো দিকের পাওয়ার হিটাররা সুনাম অনুযায়ী খেলতে পারে না। হোপ যদি ওর স্ট্রাইক রেটটা একটু বাড়াতে পারে, যদি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারে, তা হলে অতীতের ডেসমন্ড হেইনসের ভূমিকাটা নিতে পারে। মনে রাখবেন, আমি কিন্তু এই দু’জন ক্রিকেটারের মধ্যে তুলনা করছি না। শুধু বলছি, আশির দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ওপেন করতে নেমে বছরের পর বছর ধরে ডেসমন্ড যে দায়িত্বটা পালন করত, সেটা হোপও করতে পারে।
আরও পড়ুন: কুল-চাকে খেলিয়ে দেখা হোক
প্রথম ম্যাচ হারলেও, আজ, বুধবারের ম্যাচে ভারতই ফেভারিট। এমনকি সিরিজ জেতার ব্যাপারেও। একটা ম্যাচ হেরেছে বলেই দারুণ কড়া কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানে নেই। বরং ঠিক এগারো নামিয়ে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলাটাই দরকার। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy