সিরিজটা যে হেতু পাঁচ ম্যাচের, তাই ঘুরে দাঁড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকছে বিরাটদের সামনে। ছবি: রয়টার্স।
শনিবার থেকে টেস্ট সিরিজের সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় নামছেন বিরাট কোহালিরা। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে সুইংয়ের সামনে যে বেহাল দশা হয়েছিল ভারতের, তার পরে ওদের সামনে এই টেস্টটা কঠিন তো বটেই, তবে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তাও ওঁদের খুঁজে নিতে হবে এই টেস্ট থেকেই। সিরিজটা যে হেতু পাঁচ ম্যাচের, তাই ঘুরে দাঁড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকছে বিরাটদের সামনে। বাজি রেখে বলতে পারি, যদি বৃষ্টি ম্যাচ নষ্ট করে না দেয়, তা হলে বাকি টেস্টগুলোর ফয়সালা হবেই।
ভারতীয় শিবিরে এখন গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের স্মৃতি ফিরিয়ে আনা উচিত। সেই সফরে প্রথম দুই টেস্ট হারার পরেও যে ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বিরাটরা, তার স্মৃতি মনে এলেই ওঁরা মানসিক ভাবে অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারেন। ভারতের ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা নিয়ে অনেক চর্চা চলছে। লর্ডসে কিন্তু জিমি অ্যান্ডারসন ও তাঁর সঙ্গী বোলারদের অসাধারণ ক্ষমতাই ম্যাচ জিতিয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে। হার নয়, সমর্থকদের বেশি যন্ত্রণা দিয়েছিল ভারতের অসহায় আত্মসমর্পণ। কারণ, আমার বিশ্বাস, এই দলটাকে যে রকম মনে হচ্ছে, ওঁরা তার চেয়ে অনেক ভাল।
তবু প্রশ্নটা রয়েই যাচ্ছে, ভারত কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? ওঁরা যদি ভেবে নেন, ওঁদের পক্ষে কাজটা খুব কঠিন হবে, তা হলে বিষয়টা উদ্বেগজনক। কঠিন হতে পারে, কিন্তু অসম্ভব নয়। এবং সেটাই মাথায় রেখে নামতে হবে বিরাটদের। অধিনায়কের প্রভাব নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু একা বিরাট তো ম্যাচ জেতাতে পারবেন না। সচিন তেন্ডুলকরও পারেননি। সেই সময়ে ভারত দুর্দান্ত খেলেছিল সচীনের সতীর্থরাও প্রচুর রান করেছিলেন বলে। মুরলী বিজয়, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্ক রাহানে, কেএল রাহুল, শিখর ধওয়নদের নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। উপলব্ধি করতে হবে, আগেও তাঁরা কঠিন পরিস্থিতিতে ভাল ব্যাট করেছেন। একমাত্র এই ভাবনাটাই এই সিরিজে তাঁদের মানসিকতায় বদল আনতে পারে।
ভারতের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভাল হওয়া দরকার। এই সিরিজে যা এখনও হয়ে ওঠেনি। ধওয়ন না বিজয়, কাকে বোলারদের পাল্টা আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হবে, সে এক প্রশ্ন বটে। তবে যিনিই এই দায়িত্ব নিন, তাঁকে মাথা উঁচু করে ক্রিজে টিকে থাকতে হবে। এটা করলে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও অনেক ভরসা পাবেন এবং পাল্টা লড়াইটা করতে পারবেন।
এই টেস্টে ধওয়ন খেলবেন কি না জানি না। খেললে তাঁকে বিশাল কভার ড্রাইভগুলো মাঠের বাইরে রেখেই নামতে হবে। ওঁর অন্য শটগুলি খেলার মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করা উচিত। বিশেষ করে ব্যাক ফুটে খেলার দিকে বেশি জোর দিলে ভাল হয়। ছ’নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে করুণ নায়ারকে দলে নেওয়া হলে তা খারাপ হবে না।
যশপ্রীত বুমরা দলে চলে এলে ভারতের বোলিংটা কিছুটা শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এখন পর্যন্ত শামিই সেরা বোলার। ইশান্তকে আরও উন্নতি করতে হবে। আর বিরাটকে ঠিকমতো ফিল্ডিংটা সাজাতে হবে। গত টেস্টে অনেক সহজ খুচরো রান দিয়েছে ভারত। বিশেষ করে ভাল বলে, পয়েন্ট অঞ্চলে। এগুলো হতে দেওয়া যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy