কলকাতা পুরসভার ১৪১ বছরের ইতিহাসে ঘটতে চলেছে নজিরবিহীন ঘটনা। পুরসভা এ বার ফুটবল টিম নামাচ্ছে শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়া আইএফএ শিল্ডে।
ইস্ট ইয়র্কশায়ারের বিরুদ্ধে ১৯১১ সালে মোহনবাগানের ঐতিহাসিক শিল্ড জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন শ্রীশ চন্দ্র সরকার। যাঁকে সবাই চেনে হাবুল সরকার নামে। তিনি ছিলেন কলকাতা পুরসভার একজন কর্মী। তাঁর নামে এস এন ব্যানার্জি রোডের দিকের একটি গেটও নামাঙ্কিত। সেখানে একটি বড় হোর্ডিংও আছে শিবদাস ভাদুড়ি, বিজয়দাস ভাদুড়ির সর্তীর্থ ফুটবলার হাবুলের ছবি-সহ। তাঁর স্মৃতিকে অমর করে রাখতেই পুরসভার এই উদ্যোগ।
শিল্ডে কলকাতা পুরসভার টিমের নাম রাখা হয়েছে কলকাতা একাদশ। কারণ সব ফুটবলারই কলকাতার ছেলে। পুরসভার মেয়র পারিষদ (ক্রীড়া) দেবাশিস কুমার বৃহস্পতিবার বললেন, ‘‘আমরা কলকাতার ফুটবলের উন্নতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত বরো কমিটির টিমকে নিয়ে মেয়রস কাপ করেছিলাম। সেখান থেকেই বাছাই করা হয়েছে টিম। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ফুটবল মাঠের লড়াই এবং শিল্ড জয়ের নায়ক কিংবদন্তি হাবুলবাবু আমাদের সংস্থার কর্মী ছিলেন। সেই স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখাও এই উদ্যোগের অন্যতম কারণ।’’ কলকাতা পুরসভা এর আগে গোথিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্ট খেলে এসেছে বিদেশে। কিন্তু তখন শিবির ডেকে ফুটবলার বাছা হত। এ বার পুরো একটি টুনার্মেন্ট থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে ছেলেদের।
আই এফ এ সূত্রের খবর, পুরসভার অনুরোধে তাদের দলকে এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় শিল্ডে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বারের শিল্ডে বিশ্বের নামী কয়েকটি ফুটবল ক্লাবের অ্যাকাডেমিকে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে আইএফএ। কারণ শিল্ড এখন অনূর্ধ্ব ১৯ টুনার্মেন্ট। ময়দানে এক সময় দাপিয়ে খেলা ডিফেন্ডার অলোক দাস কোচ হয়েছেন পুরসভা দলের। তাঁর সহকারী কোচ হচ্ছেন ইউনাইটেড স্পোর্টসকে এক সময় আই লিগের প্রথম ডিভিশনে তোলা অঞ্জন নাথ। আর এক নামী তারকা হেমন্ত ডোরাকে করা হয়েছে গোলকিপার কোচ। আঁটঘাট বেঁধেই এঁদের দিয়ে পুরসভার কর্তারা টিমও তৈরি করে ফেলেছেন। এখন চলছে শেষ পর্বের বাছাই। শ্যামবাজারের কাছের একটি মাঠে। ঠিক হয়েছে, চূড়ান্ত তিরিশ জনের দল বেছে নেওয়ার পরে মহমেডান মাঠে বা রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি সারবে কলকাতা একাদশের ফুটবলাররা। এ জন্য ময়দানে ভেঙেচুরে পড়ে থাকা আগাছা ভর্তি কলকাতা পুরসভার তাঁবুকেও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy