Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Paris Olympics 2024

এই সোনা নারীর যোগ্য সম্মানের প্রতীক, বলছেন গর্বিত খেলিফ

শনিবার সোনা জিতে সাংবাদিক বৈঠকে খেলিফ বলেছেন, ‘‘লিঙ্গ নিয়ে বিতর্ক এবং তাকে নানা দিক থেকে বিচার করার দায়িত্ব সংবাদমাধ্যমের। সেটা তারা করেছে। কিন্তু আমি স্থির ছিলাম, কারণ আমি নারী হিসেবেই জন্ম নিয়েছি।”

সোনা জয়ের পরে খেলিফা। শনিবার।

সোনা জয়ের পরে খেলিফা। শনিবার। ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৪ ১০:১৫
Share: Save:

প্যারিসে পা রাখার পর থেকেই লিঙ্গ বিতর্কের মুখে বারবার তাঁকে পড়তে হয়েছে। কিন্তু পদকের লক্ষ্য থেকে তিনি বিচ্যুত হননি। শনিবার মেয়েদের ৬৬ কেজি বক্সিং ফাইনালে চিনের ইয়াং লিয়ুকে হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত সোনা ছিনিয়ে নিয়েছেন আলজেরিয়ার বক্সার ইমানে খেলিফ। তার পরেই ২৫ বছরের বক্সার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচকরা তাঁকে যতই বিদ্রুপে বিদ্ধ করার চেষ্টা করুন, তিনি অন্য পাঁচ জনের মতোই নারী। সেই সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে দেশে ফিরবেন।

শনিবার সোনা জিতে সাংবাদিক বৈঠকে খেলিফ বলেছেন, ‘‘লিঙ্গ নিয়ে বিতর্ক এবং তাকে নানা দিক থেকে বিচার করার দায়িত্ব সংবাদমাধ্যমের। সেটা তারা করেছে। কিন্তু আমি স্থির ছিলাম, কারণ আমি নারী হিসেবেই জন্ম নিয়েছি। এখানেও পদক জিততে এসেছি আর অন্য নারীদের মতোই। কিন্তু সেই সম্মানটা কেউ দেয়নি।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘এটা নিয়ে আমার তেমন আফসোস নেই। অলিম্পিক্সে অংশ নিতে গেলে যে সমস্ত শর্তপূরণ করতে হয়, তার প্রত্যেকটিতে আমি উত্তীর্ণ হয়েছি। প্যারিসেও আমার বিভাগে ধাপে ধাপে সোনা জয়ের পথে এগিয়েছি। ফলে আমার মনে লিঙ্গ সংক্রান্ত বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। বরং বলতে পারেন, যাঁরা আমার রূপ এবং চেহারা নিয়ে বারবার কুৎসিত মন্তব্য করেছেন, তাঁদের সেই প্রত্যেকটি শব্দ আমাকে নতুন ভাবে শক্তি দিয়েছে পদক জয়ের। শেষ পর্যন্ত সাফল্যের শৃঙ্গ আমি-ই স্পর্শ করলাম। আজ তাঁদেরও সেই গল্পটা লিখতে হচ্ছে। এটাই সেরা প্রাপ্তি।’’

যদিও খেলিফ এ-ও জানিয়ে দিতে ভুলছেন না, একজন নারী হওয়ার পরেও যে ধরনের অশালীন মন্তব্য তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে, তা যেমন অনৈতিক, তেমনই এক অপরাধ। তিনি বলেছেন, ‘‘ফাইনালে প্রায় হাজার পনেরো দর্শক আমার লড়াই দেখতে এসেছিলেন। তাঁরা শুরু থেকে আমার নামে জয়ধ্বনি করে গিয়েছেন। এটা আমার কাছে বড় পাওনা। কিন্তু যে ভাবে প্রত্যেকটা দিন সমাজমাধ্যমে কুৎসিত শব্দমালা আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছে, সেটা তো কোনও ভাবেই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। অলিম্পিক্সে মহিলাদের এমন অপমান কী তবে এখন থেকে গ্রহণযোগ্য হতে চলেছে?’’ যোগ করেছেন, ‘‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলের সময় এসেছে। যাঁরা কদর্য মনোভাব পোষণ করেছেন, তাঁদের প্রতি আমার বার্তা, এই সোনা নারী হিসেবে আমার মর্যাদাকেস্বীকৃতি দিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE