ধোনি-কেদার জুটি রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ। ছবি: এপি।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও কেদার যাদবের মন্থর ব্যাটিং নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন সচিন তেন্ডুলকর। মাঝের ওভারগুলোয় ধোনি ও কেদার রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ভারতের ধীর লয়ে ব্যাটিং প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ সচিন বলেন, “কেদার আর ধোনির পার্টনারশিপ নিয়ে আমি একদমই সন্তুষ্ট নই। অত্যন্ত ধীর ব্যাটিং করেছে ওরা।”
বিরাট কোহালি আউট হওয়ার পরে ভারতের রানের গতি বাড়াবেন ধোনি, এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু ধোনি ও কেদার যাদব সমর্থকদের সঙ্গে সঙ্গে হতাশ করেছেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’কেও। স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেননি ধোনি-কেদার। বল নষ্ট করেছেন প্রচুর। বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারিও দেখা যায়নি সে ভাবে। ফলে এক সময় নিজেরাই নিজেদের উপরে চাপ বাড়িয়ে ফেলেন। বাড়তে থাকা চাপ প্রশমিত করার জন্য রশিদ খানকে ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন ধোনি।
তার আগে গ্যালারি থেকে ‘ফিনিশার’ ধোনির জন্য উড়ে আসে বিদ্রুপ। সচিন বলেন, ‘‘বিরাট আউট হওয়ার পর থেকে ৪৫ ওভার পর্যন্ত আমরা বেশি রান করতেই পারিনি। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা অবশ্য এ বারের বিশ্বকাপে বেশি সুযোগও পায়নি ব্যাট করার। এই কারণেই হয়ত চাপে পড়ে গিয়েছিল ওরা। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আরও ইতিবাচক হতেই পারত।’’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক শামির, তালিকায় আর কারা দেখে নিন
আরও পড়ুন: জিতলেও আফগানরা বিরাটদের যে ত্রুটিগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল
ভুল কিছু বলেননি সচিন। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচগুলোয় দেখা গিয়েছে রোহিত শর্মা বা শিখর ধওয়ন মাঝের ওভার পর্যন্ত একদিকের ক্রিজ কামড়ে পড়েছিলেন। দ্রুত রান তোলার জন্য হার্দিক পাণ্ড্যকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে পাঠিয়ে দেন কোহালি। ফলে কেদার যাদব বা ধোনি বিশেষ সুযোগ পাননি ব্যাট করার। আফগানদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং অর্ডারে সামান্য বদল আনেন কোহালি। ধোনি ও কেদার যাদবকে আগে পাঠান ব্যাট করতে। তাঁরা কিন্তু নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy