সচিনের দলে জায়গা পেলেন না মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।—ছবি এএফপি।
গত দেড় মাস ধরে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ধারাভাষ্য দেওয়ার পাশাপাশি মন দিয়ে প্রায় সব খেলাই দেখেছেন তিনি। তার নিরিখেই নিজের পছন্দের একটা বিশ্ব একাদশ বাছলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। যে দলে তিনি রেখেছেন পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটারকে। দলের অধিনায়ক নিউজ়িল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু সচিনের এই দলে জায়গা হয়নি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির!
এ বারের বিশ্বকাপে ধোনির ব্যাটিং নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সচিন। গ্রুপ লিগে মন্থর ব্যাটিং নিয়ে সচিন মন্তব্য করেছিলেন, ধোনিকে আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। সচিনের দলে যে পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন, তাঁরা হলেন— রোহিত শর্মা, বিরাট কোহালি, হার্দিক পাণ্ড্য, রবীন্দ্র জাডেজা ও যশপ্রীত বুমরা। সচিনের এই দলে ওপেনার রোহিত শর্মা ও জনি বেয়ারস্টো। তিন নম্বরে ব্যাট করবেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, চার নম্বরে বিরাট কোহালি। এর পরে তিনি পর্যায়ক্রমে রেখেছেন চার অলরাউন্ডারকে। শাকিব আল হাসান, বেন স্টোকস, হার্দিক পাণ্ড্য ও রবীন্দ্র জাডেজা। সচিনের বোলিং বিভাগে জায়গা পেয়েছেন তিন পেসার। তাঁরা হলেন, মিচেল স্টার্ক, জোফ্রা আর্চার, ও যশপ্রীত বুমরা। এর আগে বিশ্বকাপ শেষ হতেই আইসিসি যে বিশ্ব একাদশ প্রকাশ করেছিল, সে দলে জায়গা পেয়েছিলেন দুই ভারতীয়। রোহিত শর্মা ও যশপ্রীত বুমরা।
সচিন অবশ্য শুধু বিশ্বকাপের সেরা একাদশ বেছেই থেমে যাননি। ম্যাচ এবং সুপার ওভার টাই হয়ে গেলে কী করা উচিত, তা নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন আইসিসিকে। বিশ্বকাপ ফাইনালে সব চেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারার ভিত্তিতে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নিয়ম মনঃপূত হয়নি সচিনের। তিনি বলেছেন, সুপার ওভারে ইংল্যান্ড বনাম নিউজ়িল্যান্ডের ফাইনাল ‘টাই’ হওয়ার পরে আরও একটা সুপার ওভারের সাহায্য নেওয়া যেত।
সচিনের কথায়, ‘‘বিশ্বকাপ কোন দেশের হাতে যাবে, ঠিক করতে গিয়ে কোন দল কত বেশি বাউন্ডারি মেরেছে, তার ভিত্তিতে জয়-পরাজয়ের নিষ্পত্তি হল। আমার মতে আরও একটি সুপার ওভারের সাহায্য নেওয়াই যেত। শুধু বিশ্বকাপের ফাইনাল বলেই নয়। সব ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ।’’
লর্ডসে এ বারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে বাউন্ডারি মেরেছিল ২৪টি। সেখানে নিউজ়িল্যান্ড বাউন্ডারি মেরেছিল ১৬টি। ঠিক এর ভিত্তিতেই ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ক্রিকেটের অনেক মহল থেকেই ইতিমধ্যেই প্রশ্ন ধেয়ে এসেছে। এ বার ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার এই নিয়ে মুখ খোলায়, বিতর্ক আরও জোরদার হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সচিন ছাড়াও আইসিসি-র এই নিয়ম নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন রোহিত শর্মা, গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিংহরা। তাঁরা এই নিয়মের সমালোচনাও করেন।
শুধু ক্রিকেটাররাই নন, অমিতাভ বচ্চনের মতো ক্রিকেট ভক্তও এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি ব্যঙ্গাত্মক টুইট করেন, ‘‘আপনার কাছে একটি দু’হাজার টাকার নোট রয়েছে। আর আমার কাছে চারটি পাঁচশো টাকার নোট রয়েছে। বলুন তো আমাদের মধ্যে কে ধনী? আইসিসি: যার কাছে পাঁচশোর চারটি নোট রয়েছে সে-ই বেশি বড়লোক।’’ সচিন শুধু এই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নিয়ম নিয়েই ক্ষোভ ব্যক্ত করেননি। তিনি মনে করেন লিগ পর্যায়ের সেরা দুই দলের কিছু সুবিধা পাওয়া উচিত। তাঁর কথায়, ‘‘যে দুই দল লিগ পর্যায়ের শেষে প্রথম দুইয়ে রয়েছে, তাদের জন্য কিছু ভাবা উচিত। কারণ, সেই দুই দল প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকতা দেখিয়ে ভাল পারফরম্যান্স করেছে।’’ এর আগে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিও বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের কাছে হারের পরে দাবি তুলেছিলেন, নকআউটের বদলে আইপিএলের মতো প্লে অফ চালু করা উচিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে।
সচিন তেন্ডুলকরের বিশ্বকাপ পরবর্তী বিশ্ব একাদশ: রোহিত শর্মা, জনি বেয়ারস্টো (উইকেটকিপার), কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), বিরাট কোহালি, শাকিব আল হাসান, বেন স্টোকস, হার্দিক পাণ্ড্য, রবীন্দ্র জাডেজা, মিচেল স্টার্ক, জোফ্রা আর্চার, যশপ্রীত বুমরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy