বিশ্বকাপ চলাকালীন সব কিছু ঠিকঠাক ছিল না ভারতীয় শিবিরে।
বিশ্বকাপ চলাকালীন ভারতীয় দল দুটো গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। একটি দল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির পক্ষে, অন্য দলটি রোহিত শর্মার ঘনিষ্ঠ। একটি সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিকে এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে ভারতের হৃদয়বিদারক হারের পরে কেটে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টা। এর মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল। ভারতের সাজঘরের ভিতরের খবর বেরিয়ে পড়ছে সবার সামনে। দৈনিক জাগরণের সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দলের অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতামতকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না অধিনায়ক কোহালি ও হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। বিশ্বকাপ চলাকালীন অধিনায়ক ও কোচ মিলে নাকি একতরফা সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে দলের মধ্যেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, শাস্ত্রীদের এমন বাড়বাড়ন্তের পিছনে রয়েছে বোর্ডের ক্রিকেট প্রশাসনিক কমিটির প্রধান বিনোদ রাইয়ের সমর্থন।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও কোহালি ও শাস্ত্রীর বক্তব্যকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। অম্বাতী রায়ুডুকে ইংল্যান্ডের বিমানে ওঠার টিকিট দেননি নির্বাচকরা। তাঁর পরিবর্তে বিজয় শঙ্করকে সুযোগ দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল, শঙ্কর ক্রিকেটের তিনটি বিভাগেই (ফিল্ডিং, বোলিং ও ব্যাটিং) ভাল। অথচ বিশ্বকাপে শঙ্কর নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলার পরে চোটের জন্য ছিটকে যেতে হয় তাঁকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শঙ্করকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোহালি ও শাস্ত্রী একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতের হারের জন্য ধোনিকে তীব্র কটাক্ষ প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের
রোহিত এবং যশপ্রীত বুমরা ভারতীয় দলে অপরিহার্য। বাকিদের এই দলে জায়গা দোদুল্যমান। কোহালি-ঘনিষ্ঠ হলে তবেই মিলবে দলে সুযোগ। রোহিত-পন্থীদের দলে জায়গা পাওয়া আবার কঠিন। রিপোর্ট অনুযায়ী, লোকেশ রাহুলের মাথায় ছিল শাস্ত্রী-কোহালির আশীর্বাদের হাত। সেই কারণে গোটা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতা দেখাতে না পারলেও দলে থেকে গিয়েছেন তিনি।
বিলেতের মাঠে এই দৃশ্য বারবার দেখা গেলেও, বিশ্বকাপ শেষ হতেই উঠে এল অন্য তথ্য।
একই কারণে এক জন স্পিনারকে খেলানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে যুজবেন্দ্র চহালই ছিলেন এক নম্বর পছন্দ। সেখানে কুলদীপ যাদবের জায়গা হবে ডাগ আউটে।কারণ ভারত অধিনায়কের সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলেন চহাল। প্রতিবেদন অনুযায়ী,দলের অনেকেরই আস্থা হারিয়েছেন শাস্ত্রী ও বোলিং কোচ ভরত অরুণ। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, এক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, ‘‘বিরাট তো ভালই খেলেছে। কিন্তু শাস্ত্রী আর অরুণ কবে পদত্যাগ করবে?’’
দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি হলেও, তা অবশ্য বড় সড় আকার ধারণ করেনি বলেও বলা হয়েছে রিপোর্টে। ক্রিকেটারদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ এমন পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই রিপোর্টে। তবে বিশ্বকাপ চলাকালীন দলের মধ্যেই যে দুটো দল তৈরি হয়ে গিয়েছিল তা পরিষ্কার। দেশে ফিরলে কোহালির দিকে এ নিয়ে প্রশ্ন উড়ে আসবে, তা বলাইবাহুল্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy