কাপ জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা—ছবি এপি
এমন নাটকীয় ফাইনাল এর আগে দেখেনি ক্রিকেটবিশ্ব। একশো ওভারের শেষে ম্যাচ টাই। সুপার ওভারেও ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়নি। শেষ মেশ বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হল ইংল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের ২৪১ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের ওভারের প্রথম দুটো বলে রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। পরের বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। তার পরের বলটি মিড উইকেটে পাঠিয়ে দু’ রান নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে দৌড়ন স্টোকস। গাপ্তিলের ছোড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চার হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল ম্যাচ। দু’ বলে ১২ রান পাওয়ায় জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে ইংল্যান্ড। শেষ দু’ বলে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার তখন তিন রান।
বোল্টের পরের বলে রান আউট হয়ে যান রশিদ। ফলে শেষ বলে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২ রান। বোল্টের বল মেরেই দু’ রান নেওয়ার জন্য দৌড়ন স্টোকস। কিন্তু মার্ক উড রান আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৫ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমেও নাটক। শেষ বলে জেতার জন্য কিউয়িদের দরকার ছিল ২ রান। দু’ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন গাপ্তিল। ফলে সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই। এরকম পরিস্থিতিতে নিয়ম অনুযায়ী যে দল বেশি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে, সেই দলকেই বিজয়ী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ইংল্যান্ড বেশি বাউন্ডারি মারায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন স্টোকসরাই। আগের কোনও বিশ্বকাপ সুপার ওভারে গড়ায়নি। এমনকি কোনও দল বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হয়নি। সব দিক থেকে ব্যতিক্রমী এ বারের বিশ্বকাপ।
দুর্ভাগ্য কিউয়িদের। গত বারও ফাইনালে পৌঁছেছিল তারা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়। এ বারও ফাইনালে পৌঁছে ইংল্যান্ডের কাছে হার মানতে হয়। কিউয়ি ক্রিকেটারদের ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এরকম নাটকে মোড়া বিশ্বকাপ ফাইনাল যে হবে, তা আগে কেউই বুঝতে পারেননি।
ফাইনালে শুরু থেকেই দাপট দেখান ইংল্যান্ড-বোলাররা। জোফ্রা আর্চার, প্ল্যাঙ্কেট, ওকসরা শুরু থেকেই চাপ তৈরি করেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের উপরে। সেই চাপ আর সামলে উঠতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ৫০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করে আট উইকেটে ২৪১ রান। রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারিয়ে একসময়ে চাপ অনুভব করতে শুরু করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জেসন রয় (১৭) ও জো রুট (৭), বেয়ারস্টো (৩৬) ও মর্গ্যান (৯) রানে ফিরে গিয়েছেন। তার পরে ইংল্যান্ডকে স্বপ্ন দেখায় স্টোকস ও বাটলারের ব্যাট। স্টোকস দুরন্ত ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন। বাটলারও করেন ৫৯ রান। সেই ম্যাচ যে এমন নাটকীয় ভাবে শেষ হবে, তখন কি আর কেউ জানতেন!
আরও পড়ুন: ফাইনালের ৪১ শতাংশ টিকিটই ভারতীয় সমর্থকদের দখলে!
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪৮ না শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৮৩, ধোনির কেরিয়ারের সেরা ওয়ান ডে ইনিংস কোনটা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy