মুগ্ধ: পাণ্ড্য-ঝড় আটকানো কঠিন, মানছেন স্টিভ। ফাইল চিত্র
তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়ে আসা শট আটকাতে সমস্যায় পড়বেন বিপক্ষ দলের অধিনায়কেরা। তাই ১৯৯৯ বিশ্বকাপে লান্স ক্লুজনার যে ভাবে দাপট দেখিয়েছিলেন, একই ভাবে চলতি বিশ্বকাপ শাসন করতে পারেন হার্দিক পাণ্ড্য। মনে করছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ ওয়।
রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওভালে হার্দিক ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ভারতের রান ৩৫২-তে পৌঁছতে সাহায্য করেন। এর পরে ভারত ৩১৬ রানে অস্ট্রেলিয়াকে থামিয়ে দিয়ে ৩৬ রানে জিতে যায়। হার্দিকের এই ইনিংস নিয়ে স্টিভ আইসিসির ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘‘হার্দিকের ইনিংস প্রতিপক্ষের শিড়দাঁড়ায় ঠান্ডা স্রোত বাইয়ে দেবে। এই ছেলেটা ১৯৯৯ বিশ্বকাপের লান্স ক্লুজনার হয়ে উঠতে পারে। নিজের ইনিংসের শুরু এবং বেশির ভাগ সময়েই শেষটায় যে ভাবে ব্যাটে দাপট দেখাতে পারে হার্দিক, কোনও দলের অধিনায়ক সেটা আটকাতে পারবে না।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ক্লুজনার ২০ বছর আগে ইংল্যান্ডেই বিশ্বকাপে লোয়ার অর্ডারে নেমে ধ্বংসাত্মক ইনিংসে বিপক্ষ শিবিরে আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছিলেন। মোট ২৮১ রান করেছিলেন ক্লুজনার। স্ট্রাইক রেট ছিল ১২২.১৭। যাকে টি-টোয়েন্টি যুগ শুরুর আগে দুরন্ত বলে মনে করা হয়। ক্লুজনার সে বার দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। নাটকীয় ভাবে শেষ চারের লড়াইয়ে এক রান করলেই ফাইনালে উঠতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ম্যাচটা টাই হয়ে যায়। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে স্টিভ ওয়র অস্ট্রেলিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতে নেয়। ‘‘ভারত যখন ওপেনিং জুটিতে বড় রান তুলে ফেলে, যে রকম অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওরা করেছিল, এর পরে ওদের বিরাট কোহালি বাকি ইনিংসটা সাজিয়ে নেয়,’’ লিখেছেন দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ। পাশাপাশি অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৪ বলে ২৭ করেন) প্রশংসা করে স্টিভ বলেছেন, ‘‘ধোনির কখনই দক্ষতা দেখানোর সুযোগ থাকলে ব্যর্থ হয় না। রবিবারের ম্যাচেও ধোনি সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। যে জন্য ভারতের মোট রান ৩৫০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।’’
ভারতের পাশাপাশি ডেভিড ওয়ার্নারদের নিয়ে স্টিভের মত, ‘‘অস্ট্রেলিয়া ফিল্ডিংয়ে কয়েকটা মোক্ষম সুযোগ নষ্ট করার জন্য হয়তো হতাশ হয়েছে। তা ছাড়া দলের বোলিংয়েও অটুট শৃঙ্খলা ছিল না। কিছু কিছু সময়ে ছন্নছাড়া দেখিয়েছে। রান তাড়া করতে নেমেও অস্ট্রেলিয়াকে দেখেও রেকর্ড গড়তে পারে বলে মনে হয়নি। কারণ ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভ স্মিথকে সে ভাবে ছন্দে আসতে পারেনি।’’ স্টিভ মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের রান আউটই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল ম্যাচের। ‘‘কঠিন পরিস্থিতিতে জিততে গেলে সব কিছু ঠিকঠাক রেখে এগোনোটা জরুরি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্টটা আগেই চলে আসে। ফিঞ্চ রান আউট হয়ে যাওয়ায়। ওকে দেখে মনে হচ্ছিল বড় একটা শতরান করার দিকে এগোচ্ছে।’’
এই জয় ভারতকে যে প্রচুর আত্মবিশ্বাস জোগাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত স্টিভ। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচের পরে ভারত প্রচুর আত্মবিশ্বাস পাবে। ওদের বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরাই চাপের মধ্যেও যেটা দরকার ছিল, সেটাই করে দেখিয়েছে। তা ছাড়া ওরা যে রকম পরিকল্পনা করেছিল, সেটা একেবারে খেটে গিয়েছে।’’ তবে অস্ট্রেলিয়া হারলেও এখনও তাঁদের বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে এবং তার জন্য খুব বেশি দলে পরিবর্তনেরও প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন স্টিভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy