Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

কেনের কাছে ক্ষমা চাইলেন স্টোকস

নিউজ়িল্যান্ডেই স্কুল জীবনের শুরুটা কাটিয়েছেন বেন স্টোকস। এখনও তাঁদের বাড়ি রয়েছে সেখানে। সে কথা উঠতেই কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।

এই সেই মুহূর্ত।—ছবি এএফপি।

এই সেই মুহূর্ত।—ছবি এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯ ০৫:০৯
Share: Save:

নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ম্যাচ টাই। তার পরে সুপার ওভারও টাই। কিন্তু ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারার জন্যই রুদ্ধশ্বাস বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে জয়ী ইংল্যান্ড। প্রথম বার বিশ্বকাপ ট্রফি ইংল্যান্ডের ঘরে এল বেন স্টোকসের হাত ধরে।

নিউজ়িল্যান্ডেই স্কুল জীবনের শুরুটা কাটিয়েছেন বেন স্টোকস। এখনও তাঁদের বাড়ি রয়েছে সেখানে। সে কথা উঠতেই কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। বলেন, ‘‘দুর্দান্ত দল এই নিউজ়িল্যান্ড। ওদের বিরুদ্ধে এই ফাইনাল ম্যাচটা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নিউজ়িল্যান্ড দলের বেশির ভাগ সদস্যই আমার বন্ধু। ওদের জন্য খারাপ লাগছে। আমি ওদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে বলে এলাম, আমি সারা জীবনের জন্য ওর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে থাকব। শেষ ওভারে যখন চার মারলাম, তখনই কেনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিই।’’

ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাসের বন্যা ইংল্যান্ড শিবিরে। ম্যাচের সেরা সেই বেন স্টোকস দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে আবেগাপ্লুত। স্বপ্নের ফাইনাল খেলে উঠে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। চার বছর ধরে পরিশ্রমের জন্যই এই জায়গায় আসতে পেরেছি। আমরা এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এই অনুভূতিটাই আলাদা।’’ তবে বিপক্ষ নিউজ়িল্যান্ডকে হারিয়েও তাদের জন্য পাল্টা শ্রদ্ধা বেন স্টোকসের গলায়। বলছিলেন, ‘‘নিউজ়িল্যান্ড যে লড়াইটা আজ করল, তার জন্য ওদের প্রতি শ্রদ্ধা অটুট থাকবে।’’ যোগ করেন, ‘‘সকলের সমান অবদান রয়েছে এই জয়ে। ব্যাট করার সময়ে শেষের দিকে কম বলে বেশি রান করতে হত। সতীর্থ জস বাটলারকে বার বার বলছিলাম, শেষ পর্যন্ত খেলতে হবে আমাদের একজনকে। সেই পরিকল্পনা সফল হওয়ায় আরও আনন্দ হচ্ছে।’’

ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মর্গ্যানও বিশ্বকাপ জিতে সবার প্রথমেই নিউজ়িল্যান্ডের এই লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কেন উইলিয়ামসন ও তার দলের প্রতিটি সদস্যের জন্য আমার সহানুভূতি রয়েছে। ক্রিকেট মাঠে লড়াইয়ের দারুণ দৃষ্টান্ত আজ স্থাপন করেছে ওরা।’’

ইংল্যান্ড অধিনায়ক সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘উইকেট সহজ ছিল না। তাই দ্রুত রান তোলাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাটলার ও স্টোকস জুটি তৈরি করে য়খন রানটাকে এগিয়ে নিয়ে য়াচ্ছিল, তখন একটা আশা ছিল, ম্যাচটায় শেষ পর্যন্ত লড়াই হবে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। এটা চার বছরের একটা লম্বা রাস্তা। সেই পথের শেষে পৌঁছে দেখলাম আমরাই ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ওয়ান ডে দল।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy