মহম্মদ মুইজ়্জ়ু। —ফাইল চিত্র।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ়্জ়ুকে উৎখাত করতে (ইমপিচ) সেখানের প্রধান বিরোধী দল এমডিপি নাকি ষড়যন্ত্র করেছিল। সেই ষড়যন্ত্রে মদত ছিল ভারতের। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ছক ব্যর্থ হয়। সম্প্রতি আমেরিকার একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রে প্রকাশিত এমন একটি রিপোর্ট উড়িয়ে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তাঁর সাপ্তাহিক বৈঠকে বলেন, ‘‘ওই সংবাদপত্র এবং তার সাংবাদিকেরা ভারত সম্পর্কে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। ওদের লেখালিখির ধরন একটু নজর করলেই তা বুঝতে পারবেন। এ বার আপনিই ঠিক করুন ওদের কতটা বিশ্বাস করা যায় । আমাদের কাছে ওদের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।’’
ঠিক এখনই মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা খালিল নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সমুদ্র নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়ে কথা হয়েছে। তার মধ্যে আমেরিকার সংবাদপত্রে এমন রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ায় জলঘোলা শুরু হয়েছে। ‘ডেমোক্র্যাটিক রিনিউয়াল ইনিশিয়েটিভ’ নামে আন্তর্জাতিক কিছু তথ্যসূত্রের ভিত্তিতে তৈরি ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মুইজ়্জ়ুকে পদচ্যুত করতে ভারতের কাছে ৬০ লক্ষ ডলার অর্থ সাহায্য চেয়েছিল এমডিপি। বিরোধীদের পরিকল্পনা ছিল, ৪০ জন এমপিকে ঘুষ দিয়ে মুইজ়্জ়ুকে ইমপিচ করার প্রক্রিয়ায় রাজি করানো। তার মধ্যে কিছু এমপি মুইজ়্জ়ুর নিজের দলেরও। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
অভিযোগ, ‘ভারতবিরোধী’ প্রচারে ভর করে মলদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছিলেন মহম্মদ মুইজ়্জ়ু। স্পষ্টতই চিনপন্থী মুইজ়্জ়ু তাঁর দেশে সামরিক সহায়তার জন্য ঐতিহ্যগত ভাবে রাখা শেষ ভারতীয় সেনাটিকেও ফেরত পাঠিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর লক্ষদ্বীপের ছবি পোস্ট করা নিয়ে মুইজ়্জ়ু-র তিন মন্ত্রী কুমন্তব্য করায় মলদ্বীপে পর্যটন বয়কটের ঢেউ ওঠে ভারতে। দু’দেশের কূটনৈতিক টানাপড়েনও প্রকাশ্যে চলে আসে। পরে সেই সংঘাত খানিকটা স্তিমিত হয়ে আসে। ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারত-মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঘিরে এক দল অপপ্রচার চালানোর
চেষ্টা করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy