প্র্যাকটিসে মগ্ন ফিঞ্চ ও স্মিথ।—ছবি এপি।
জেসন রয় দলে ফিরে আসার পরে ইংলিশ মিডিয়া দেখছি বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে খুব চেঁচামেচি করছে। বিশ্বকাপ জিততে গেলে আগে ওদের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিততে হবে। যেটা খুব সহজ কাজ হবে না এজবাস্টনে। অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড মানে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো। দুটো দেশই এই ম্যাচটা হারতে ঘৃণা করে। ওরা পরস্পরকে ঘৃণা করতে ভালবাসে আর ভালবাসতে ঘৃণা করে।
এই রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে আবার যোগ হয়েছে স্টিভ স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নার বিতর্ক। যে ভাবে মাঠে ওয়ার্নার আর স্মিথকে বিদ্রুপ করা হয়েছে, সেটা ভালভাবে নেয়নি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা। আবার অ্যারন ফিঞ্চদের দলের কাছে ইংল্যান্ডের হারের পরে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তনরা যে সব কথা বলেছে, তাও নিশ্চয়ই ভালভাবে নেয়নি অইন মর্গ্যানের দল। যে কারণে জেসন রয়ের ফিরে আসাটাকে অনেকে ইংল্যান্ডের ‘ত্রাতা’র প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখছে। এজবাস্টনের ছোট বাউন্ডারির কথা ভেবে বলা হচ্ছে, এই মাঠে জেসন রয় এবং জনি বেয়ারস্টো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
তবে ওরা ভুলে গিয়েছে, উল্টো দিকে আজ, বৃহস্পতিবার নতুন বল হাতে কারা থাকবে। মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্স। এই দুই জুটির লড়াই কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দিতে পারে। রয়ের ফিরে আসাটা অবশ্যই সাহায্য করেছে বেয়ারস্টোকে। ওর সাধারণত ১৫-২০ বল লাগে উইকেটে থিতু হতে। তার পরে পুরো আক্রমণে যায়। কিন্তু আমার সন্দেহ আছে, স্টার্ক বা কামিন্স ওদের শট খেলার জায়গা দেবে কি না। তাই এই ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি বনাম অস্ট্রেলিয়ার নতুন বলের বোলারদের লড়াইটা দারুণ চিত্তাকর্ষক হতে চলেছে।
৫০ ওভারের ম্যাচে এখনও ক্রিকেটের ক্লাসিকাল দিকটা দেখা যায়। যে কারণে আমার মতো সনাতনীরা এখনও বিশ্বাস করে বেসবল আর ক্রিকেটের মধ্যে একটা পার্থক্য ঠিকই আছে। এটা টি-টোয়েন্টির মতো ‘ধরো আর মারো’ ক্রিকেট নয়। যে কারণে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঠিক মতো মানিয়ে নিতে পারেনি। যে কারণে আমি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্য নিয়ে আশাবাদী। কারণ দু’দলের ক্রিকেটারদের দাঁড়িপাল্লায় বসালে অস্ট্রেলিয়া সামান্য হলেও এগিয়ে থাকবে।
অস্ট্রেলিয়ার দুর্বলতা হল, ছয় নম্বরে মার্কাস স্টোয়নিস। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে খুবই সাধারণ বোলিং করেছে স্টোয়নিস। আর এমন কিছু ব্যাটিং করেনি যাতে ওকে বিনা দ্বিধায় দলে নেওয়া যায়। যাই হোক, উসমান খোয়াজা আর স্টোয়নিসের চোট এখন নানা সম্ভাবনা তৈরি করে দিয়েছে। আমি হলে যে কোনও দিন স্টোয়নিসের জায়গায় মার্শকে খেলিয়ে দিতাম। কিন্তু ওরও চোট সমস্যা রয়েছে।
ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়, ম্যাথু ওয়েডকে শুরুর দিকে ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ হিসেবে নামানো যেতে পারে। পাশাপাশি অ্যালেক্স ক্যারিকে তুলে আনা উচিত ব্যাটিং অর্ডারে। কারণ স্মিথ ওর সেরা ফর্মে নেই। এই ভাবে ওয়েড এবং পিটার হ্যান্ডসকম্ব— দু’জনকেই প্রথম এগারোয় রাখা যায়। এতে করে ব্যাটিং গভীরতা অনেক বাড়বে। উল্টো দিকের দলটার ব্যাটিং শক্তির সঙ্গেও পাল্লা টানা যাবে। ভুললে চলবে না, গত চার বছরে ইংল্যান্ড যে রান রেট (৬.০৪) তুলেছে, তা আর কোনও দল তুলতে পারেনি। তবে অস্ট্রেলিয়া এই দলটা নামালে এক জন বোলার কম হবে। চার বিশেষজ্ঞ বোলার হবে— স্টার্ক, কামিন্স, জেসন বেহরেনডর্ফ ও নেথান লায়ন। বাকি ১০ ওভার করতে হবে স্মিথ, ম্যাক্সওয়েল এবং ফিঞ্চকে। হতে পারে ব্যাপারটা একটু ঝুঁকির। কিন্তু এজবাস্টনের মাঠ এবং ব্যাটিং উইকেটের কথা মাথায় রাখলে ধরে নিতে হবে, অস্ট্রেলিয়া যে বোলিং আক্রমণই নামাক না কেন, তিনশোর ওপর রান তাড়া করতে হবে বা তুলতে হবে ফিঞ্চদের। সে ক্ষেত্রে ব্যাটিং শক্তিশালী করাই ঠিক হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy