মহম্মদ আলি তাঁর প্রেরণা। ছোটবেলা থেকেই মহম্মদ আলির জীবনী উল্টেপাল্টে পড়েছেন। আলির সিনেমা,ভিডিও এবং ছোট ছোট ক্লিপিং দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ভারতের একমাত্র পেশাদার বক্সার বিজেন্দ্র সিংহ।
তাঁরই অনুপ্রেরণা নিয়ে প্রো-বক্সিংয়ে আসা বি়জেন্দ্রর।
প্রো-বক্সিংয়ে উল্কার গতিতে প্রবেশ বিজেন্দ্র সিংহের। ইতিমধ্যেই তিনি ডব্লুবিও এশিয়া বেল্ট খেতাবের জন্য সম্ভবত ২০জুন দিল্লির ইন্দিরা গাঁধি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দেশবাসীর সমক্ষে তাঁর প্রথম লড়াইটা লডবেন ।
সেই বিষয় নিয়ে কথা বলতে রবিবার রাতে যখন মোবাইলে ম্যাঞ্চেস্টারে বিজেন্দরকে ধরা হল, তখন তিনি ব্যস্ত ছিলেন নিজের সন্তানকে আদর করতে। কোল থেকে তাকে কোন রকমে নামিয়ে দিয়ে আনন্দবাজারকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন ‘‘নিজের দেশের সমথর্কদের সামনে সম্ভাবত ১১ বা ২০ জুন লড়ব। সেটা ভেবেই আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে। জানি দেশবাসী আমার ওই লডাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। প্রতিজ্ঞা করছি, আমি তাঁদের নিরাশ করব না। আর মনে রাখবেন বিশ্বে আমি অন্য এক মহম্মদ আলি না হতে পারলেও এশিয়ার মহম্মদ আলি অবশ্যই হতে চাই’’।
হরিয়ানার এই বক্সারের পরবতী লড়াই ১২ মার্চ লিভারপুলে। সেই লড়াই নিয়ে অবশ্য মোটেই চিন্তিত নন বিজেন্দ্র। তাঁর সব কিছু চিন্তা আপাতত ডব্লুবিও এশিয়া টাইটেল নিয়ে।
পাশাপাশি বিজেন্দ্র চিন্তিত সংরক্ষণ নিয়ে তোলপাড় হরিয়ানার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। আনন্দবাজারের মাধ্যমে তিনি হরিয়ানাবাসির কাছে আবেদন করলেন ‘‘ খেয়াল রাখবেন আপনাদের দাবি সাধারণ মানুষের যেন কোনও ক্ষতি না করে। মনে রাখবেন সবার আগে আমাদের এই প্রিয় দেশ। সেই কথাটা ভুলে যাবেন না। শান্তি বজায় রেখে আপনারা আপনাদের আন্দোলন করুন তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই।’’
রিও অলিম্পিকে ভারতীয় বক্সারদের ভবিষ্যত্ নিয়েও বিজেন্দর খুব চিন্তিত। ‘‘শিবা থাপা, বিকাশ কিষণদের কথা কেউ ভাবে না। রিও অলিম্পিকের আর বেশি দেরি নেই। অথচ তা নিয়ে আমাদের বিভক্ত ফেডারেশনের কোন হেলদোল নেই। ভাগ্যিস আমি পেশদার বক্সার হয়েছি। তা না হলেতো আমারও হাল শিবা থাপাদের মত হত। বক্সিংয়ে ভারতের ফেডারেশনের কবে চৈতন্য হবে তা কেবল ভগবানই জানেন। না, না, এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। আর তা না হলে বক্সাররা আমারই মতন প্রো-বক্সিংয়ে চলে আসবে। তাহলে অলিম্পিক পদক আর আসবে না। সেটা সরকারের ভেবে দেখা দরকার।’’ মন্তব্য ডাকাবুকো বিজেন্দ্র সিংহের।
এশিয়া বেল্ট বক্সিংয়ের কথা আর একবার তুলে বিজেন্দ্র বললেন ‘‘জানেন দিল্লিতে আমার শেষ লড়াইটা ছিল ২০১০ কমনওয়েল্থ গেমসে। আজ থেকে ছ’বছর আগে। তারপর আমার জীবনে সব কিছু বদলে গেছে। তাই দিল্লির লড়াইটার দিকে আমি চাতক পাখির মত তাকিয়ে আছি। তাহলে এবার রাখি…….আস্তে করে ফোনটা কেটে দিলেন ভারতের এই সিংহ।’’
আরও পড়ুন-অবসর প্রশ্নে ফের ধৈর্য হারালেন ক্যাপ্টেন কুল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy