ডং কো পকড় না...
দিনের সেরা ছড়া
ইস্টবেঙ্গল কা ঘর মে ফির হেক্সা হ্যায়/ডং কো পকড় না মুশকিল হি নেহি নামুমকিন হ্যায়। রবিবার থেকে যার সঙ্গে ভাল মতো পরিচিত হল কলকাতা ময়দান।
জন্মদিন ১৯ নভেম্বর। ইন্দিরা গাঁধীর জন্মদিনের দিন। আর সালটা? যে বছর তুষার রক্ষিত, কুমারেশ ভাওয়ালরা এএফসি কাপ উইনার্স কাপে ইরাকের আল জাওরা ক্লাবকে ৬-২ হারিয়ে ইতিহাস গড়লেন, সেই ১৯৯৩-এ।
বয়স ২১ প্লাস। ইস্টবেঙ্গলে তাঁর জার্সি নম্বরও ২১।
উচ্চতা ৫ ফুট আট ইঞ্চি।
রাশি বৃশ্চিক।
পরিবার বাবা ডো হোয়াং হোয়ে একজন সফল ব্যবসায়ী। মা কম মি জং স্কুলে পড়ান। দিদির বেকারির ব্যবসা।
ভারতে আবিষ্কর্তা আইএসএলে গুয়াহাটির টিম নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কিউয়ি বিশ্বকাপার কোচ রিকি হারবার্ট।
ইস্টবেঙ্গলে আবির্ভাব আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের ম্যানেজার হয়ে মুম্বইয়ে টিম নিয়ে গিয়ে অ্যালভিটো ডি’কুনহা জানতে পারেন ভারতে ও তাইল্যান্ডে ক্লাব খুঁজছেন ডং। কলকাতা ফিরে ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যর সঙ্গে কথা বলে লাল-হলুদের সর্বময় কর্তা দেবব্রত সরকারের অনুমোদন পেতেই সই।
কলকাতায় থাকেন বাইপাসের ধারে সিলভার স্প্রিংয়ে অপর্ণা সেন, র্যান্টি মার্টিন্সের প্রতিবেশী।
প্রিয় খাবার সোগোগি-গুই (কোরিয়ান গ্রিলড বিফ), বুলগোগি (কোরিয়ান বিফ বার্বিকিউ)। কল্যাণীর আবাসিক শিবির থেকে স্মোকড হিলসায় (ভাপা ইলিশ) মজেছেন।
প্রিয় গ্যাজেটস ট্যাব, আই ফোন। মোবাইল কভারের রং লাল-হলুদ। তাতে লেখা ডু ডং-৭।
ইস্টবেঙ্গলে আসার আগে অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগে ম্যাথু হেডেন, ইয়ান হিলিদের শহর ব্রিসবেনের টিম ব্রিসবেন রোর-এর জার্সি গায়ে এক মরসুম। কিন্তু হ্যামস্ট্রিং, গোড়ালির চোটে মরসুম দীর্ঘায়িত হয়নি।
তারপর জে লিগে দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব এফসি গিফু। তার পর আইএসএল।
জীবনের খেদ স্কুলে পড়ার সময়েই রুদ খুলিতের দেশের ক্লাব ন্যাক ব্রেডায় ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু ভিসা পাননি। লাল-হলুদের ‘মেসি’র অভিযোগ, এশীয় বলেই এই অবস্থা হয়েছিল তাঁর।
ঈশ্বরে বিশ্বাস অগাধ। প্রতিদিন নিয়ম করে প্রার্থনা করেন। ডান হাতে লেখা রয়েছে ‘গড উইল টেস্ট ইউ থ্রু পেইন অ্যান্ড ফিয়ার’।
প্রেম একদম সানিয়া-শোয়েবের মতো। সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকেই জাপান-কোরিয়ার সম্পর্ক সাপে-নেউলে। এফসি গিফুতে খেলতে গিয়ে জাপ কন্যা হারুকার সঙ্গে প্রেম। হারুকা অবশ্য তাঁকে জাপানি ভেবেই প্রথম ডেটে গিয়েছিলেন। তাঁকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত। আশির দশকে বলিউডে কমল হাসান-রতি অগ্নিহোত্রী অভিনীত ‘এক দুজে কে লিয়ে’-র চিত্রনাট্যের মতো কেউ কারও ভাষা বুঝতেন না। তবে লাল-হলুদের ২১ নম্বর, লেডি লাভকে সামলাতে পরে জাপানি ভাষা শিখে নিয়েছেন।
ফুটবল মাঠে গোপন অস্ত্র ফ্রি কিক। তার জন্য প্রতিদিন অনুশীলন করেন সাংবাদিকদের অলক্ষ্যে।
অবসর গ্যাংনাম নাচতে ভালবাসেন। রবিবার যেমন দ্বিতীয় গোলের পর নাচলেন মেহতাবের সঙ্গে।
ডার্বি: মাঠে, মাঠের বাইরে
ম্যাচে...
৮২ সেকেন্ড: ডংয়ের ফ্রি-কিক থেকে প্রথম গোল।
৫০ মিনিট: ডুডুর লাল কার্ড। ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে টানেলের সিড়িতে ও কনফারেন্স রুমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ড্রেসিংরুমে গিয়েও কান্না থামেনি।
ম্যাচ শেষে....
লালকমলের লাল কার্ড। রেফারির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। রেফারির দাবি, তাঁকে ধাক্কা মেরেছেন লালকমল।
কর্তাদের হাতাহাতি। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে দুই ক্লাবের কর্তারা একে অপরকে অকথ্য গালিগালাজ করেন। হাতাহাতিও হয়। তবে ঝামেলা বেশি দূর গড়ায়নি।
কাতসুমি রাগ। ড্রেসিংরুমে ফিরে মোহনবাগানের জাপানি তারকা জলের বোতলে লাথি মারেন। বোতল ছুড়ে ফেলেন। ড্রেসিংরুম দেখা যায় জলে ভেসে যাচ্ছে।
সংকলন দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, ছবি উৎপল সরকার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy