নেমে পড়লেন ওয়েডসন। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে। -বিশ্বরূপ বসাক
ওয়েডসন অ্যানসেলেমের প্রথম ম্যাচ দেখেই খুশি ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। না, এঁরা কোনও বিদেশি দলের ফুটবলার বা কোচ নন। আসলে শিলিগুড়িতে এসে ইস্টবেঙ্গলের আই লিগের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ফরোয়ার্ড ওয়েডসনের পারফরম্যান্স তৃপ্তি দিয়েছে লাল-হলুদ কোচ মর্গ্যানকে।
অনুশীলনের নামার মাত্র তিন দিন পরেই এ দিন বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের বিরুদ্ধে এক প্রদর্শনী ম্যাচে লাল-হলুদ জার্সিতে প্রথম খেললেন হাইতি জাতীয় দলের ফুটবলার ওয়েডসন। যিনি দু’টো গোল সতীর্থ জিতেন মুর্মু এবং প্রহ্লাদ রায়কে দিয়ে করালেনই না, নিজেও একটি গোল করলেন।
ওয়েডসন এ দিন তাঁকে মুগ্ধ করলেও মোহনবাগানের সনি নর্ডির সঙ্গে ওয়েডসনের কোনও তুলনায় যেতে চাইছেন না মর্গ্যান। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘‘ওয়েডসনও হাইতি জাতীয় দলের ফুটবলার হলেও ওর সঙ্গে সনির তুলনায় যেতে চাই না। সনি খেলে লেফট উইংয়ে। ওয়েডসন সেখানে মূলত অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ওয়েডসন আজ ধাপে ধাপে নিজের খেলা তুলে ধরেছে। গোল করেছে। গোল করিওছে। সব মিলিয়ে দারুণ খেলেছে বলব।’’
এ দিন প্রথমার্ধটা পুরো খেলানোর পর দ্বিতীয়ার্ধের এগারো মিনিটে ওয়েডসনকে তুলে নেন মর্গ্যান। তার মধ্যেই অবশ্য বাংলাদেশের শেখ জামাল ধানমন্ডির প্রাক্তন বিদেশি নিজের খেলা কাঞ্চনজঙ্ঘার স্টেডিয়ামের দর্শকদের সামনে চমৎকার তুলে ধরেন। যিনি আই লিগের আগে এ দিনের প্রদর্শনী ম্যাচে মাঠে ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র বিদেশিও।
শুরুতে মাঠের বাউন্স বুঝতে মিনিট দশেক সময় নেন ওয়েডসন। তার পরেই প্রহ্লাদ, জিতেন, নারায়ণ দাসদের নিয়ে আক্রমণে উঠতে থাকেন। কুড়ি মিনিটে নিজেদের পেনাল্টি বক্সের বাইরে বল ধরে বাঁ প্রান্ত ধরে একের পর এক বিপক্ষ ফুটবলারকে ড্রিবলিংয়ে ছিটকে দিয়ে যে ভাবে স্থানীয় টিমের গোলের সামনে হানা দেন ওয়েডসন, তাতে এই নতুন বিদেশিকে নিয়ে লাল-হলুদ সমর্থকেরা নতুন স্বপ্ন দেখতেই পারেন। তবে বিপক্ষ গোলের কাছে পৌঁছে শট নিলেও সেটা ধরে ফেলেন কিপার। প্রথমার্ধে দু’মিনিটের ব্যবধানে দু’টো গোল করানোর পর দ্বিতীয়ার্ধের গোড়ায় নিজে গোল করেন ওয়েডসন। বাঘাযতীনের গোলকিপার জয় দত্ত এগিয়ে এসেছিলেন। সামনে ছিলেন এক ডিফেন্ডারও। ওয়েডসন বাঁ পায়ের স্কিলে বলটা মুহূর্তে ডান দিক থেকে টেনে নেন বাঁ দিকে। এবং চকিত লব করে দেন গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে। এ দিনই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে বারো কিলোমিটার দূরে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে অতিথি হয়ে এসেছিলেন মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন। ওয়েডসন-ঝাঁঝ অত দূর না পৌঁছলেও শিলিগুড়ির লাল-হলুদ সমর্থকদের মাতিয়ে দিল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy