নেমেই দু’গোল করার আনন্দ। আবার চোট পাওয়ার যন্ত্রণা। টিমের স্বপ্ন, আবার আশঙ্কাও।
দ্বিতীয় গোল করেই যে ভাবে মাঠে শুয়ে ছিলেন, যে ভাবে তাঁকে স্ট্রেচারে করে বাইরে নিয়ে যেতে হল, সে দৃশ্য যে কোনও আটলেটিকো দে কলকাতা সমর্থকের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেবে। ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কারটাও নিতে পারলেন না হেল্ডার পস্টিগা। বোরহা ফার্নান্দেজকে এসে নিয়ে যেতে হল। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে হাবাসের মুখে হাসিও ছিল উধাও। বলে দিলেন, ‘‘আমি জানি না পস্টিগার কী হয়েছে। ওকে হাসপাতালে নিয়ে স্ক্যান না করা অবধি কিছুই বোঝা যাবে না। আশা করছি গুরুতর কিছু নয়। ও খুব ভাল খেলেছে।’’ বলবেন নাই বা কেন। প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত অনেকটা চিনিয়ে দিলেন পর্তুগাল ফরোয়ার্ড। এমন নয় চোখ ধাঁধানো ফুটবল খেললেন বা অনেক সুযোগ তৈরি করলেন। কিন্তু যে দুটো পেলেন, তাতে ‘পোচার্স’ গোল করে গেলেন। মানে গোল চুরি আর কী।
দলের সেরা অস্ত্রের হ্যামস্ট্রিং চোটের জন্য চেন্নাই মাঠের ঘাসকেই দায়ী করছেন হাবাস। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বললেন, ‘‘ঘাসের অবস্থা জঘন্য ছিল। খেলতে অসুবিধা হল যার জন্য। আমার ফুটবলার সেই কারণেই চোট পেল।’’ তবে কোচকে একটু হলেও স্বস্তি দিয়ে পস্টিগা মিক্সড জোনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হাঁটতে হাঁটতে হাসপাতাল যাওয়ার গাড়িতে গিয়ে উঠলেন। সাংবািদকরা প্রশ্ন করতে চাইলেও মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। যদিও সতীর্থ ও আটলেটিকোর আর এক ফরোয়ার্ড ইয়ান হিউম বলছেন, ‘‘চিন্তা করতে হবে না। পস্টিগার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। চোট মারাত্মক নয়। ও হয়তো পরের ম্যাচেই ফিরবে।’’ রাতে এক আটলেটিকো কর্তা বললেন, ‘‘ডাক্তাররা পস্টিগার চোট পরীক্ষা করে বলেছেন, মারাত্মক কিছু নয়। চোট সামান্য। কয়েক দিনের বিশ্রাম দরকার।’’ তবে গোয়া ম্যাচে পস্টিগা ফিরবেন কি না, এখনও পরিষ্কার নয়।
শুধু পস্টিগার চোটই নয়। চেন্নাই ম্যাচে রেফারিং নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিলেন হাবাস। অর্ণব মণ্ডলের হ্যান্ডবল দেওয়া কি ঠিক হয়েছে? আটলেটিকো কোচ বলেন, ‘‘রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমার মনোভাব বলার দরকার নেই।’’ অর্ণব অবশ্য বলেই দিচ্ছেন, এটা রেফারির ভুল সিদ্ধান্তই ছিল। মাঠ ছাড়ার আগে বলে গেলেন, ‘‘আপনারা তো দেখলেন। ওটা আমার হাতে লাগেনি।’’
ম্যাচ চলাকালীন আবার চেন্নাইয়ানের গোলকিপার কোচ ফ্রান্সেস্কো ফ্রান্সেস আটলেটিকোর বিরুদ্ধে আইএসএল সংগঠকদের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। আটলেটিকো নাকি সময় নষ্ট করছিল। যে কারণে দুই রিজার্ভ বেঞ্চের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটিও হয়।
এ দিন লড়াইটা আবার ছিল হাবাস বনাম ফিকরুরও। প্রাক্তন ছাত্র অনেক সুযোগ পেয়েও গোলটা করতে পারলেন না তাঁর পুরনো দলের বিরুদ্ধে। তবে চেন্নাইয়ানকে আশ্বস্ত করে হাবাস বলে গেলেন, ‘‘ফিকরুকে সময় দিতে হবে। ও খুব ভাল প্লেয়ার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy