আল আমনা।
আল আমনাকে আটকাতে পারলেই ইস্টবেঙ্গল আটকে যাবে, মনে করেন গোকুলম কোচ বিনো জর্জ।
শনিবার কালিকট স্টেডিয়ামে আই লিগের খেতাবের লড়াইতে টিকে থাকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের। খালিদ জামিলের টিম সেখানে বৃহস্পতিবার অনুশীলনে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাই পারদ চড়ছে। কলকাতায় মোহনবাগানকে এবং পরে শিলং লাজংকে হারিয়ে হঠাৎ-ই চাঙ্গা দেখাচ্ছে কেরলের নতুন টিমকে। তাদের কোচ বিনো দেশের অন্যতম শিক্ষিত কোচ। মহমেডানে খেলেছেন। কোচিং করিয়েছেন ইউনাউটেড স্পোর্টসেও। কলকাতার খবর সব রাখেন। সেই বিনো কেরল থেকে ফোনে বললেন, ‘‘আমনাকে আমরা খেলতে দেব না। ও-ই ইস্টবেঙ্গলের সেরা অস্ত্র। ডুডু ফর্মে নেই। কাতসুমিকেও আমরা সামলে দেব। কেভিন লোবো হঠাৎ ফর্মে ফিরেছে। সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।’’ কথা বলার সময়ই বোঝা যাচ্ছিল, খালিদের ড্রেসিংরুমের সব খবর রাখেন। সরাসরিই বললেন, ‘‘আমনাকে আটকানোর দায়িত্ব মুসাকে দেব ভেবেছি। উগান্ডার এই নতুন ছেলেটা ভাল মার্কার। কিন্তু ওঁর সামান্য চোট আছে। দেখা যাক।’’
ইস্টবেঙ্গল যেমন উগান্ডার খালিদ এচো-কে আনছে, তেমনই গোকুলমও চেষ্টা চালাচ্ছে লেভেন্তান নামে ভিয়েতনামের এক উইঙ্গারকে এই ম্যাচে খেলাতে। শুক্রবার তাঁর কোজিকোড় এসে পৌঁছনোর কথা। রাতের খবর, ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি খালিদের শনিবার লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলা হচ্ছে না।
আই লিগের যা সূচি তাতে গোকুলম ওবং চেন্নাই সিটি এফসি—লিগ টেবলের নীচের দিকের এই দুটি টিমই খেতাবের লড়াইতে বড় ফ্যাক্টর। কারণ ইস্টবেঙ্গলের মতোই হেনরি কিসেক্কাদের খেলা বাকি আছে মিনার্ভা পঞ্জাবের সঙ্গেও। সেটা মনে করিয়ে দিয়ে গোকুলমের কোচ হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারব না। কিন্তু চ্যাম্পিয়নদের ভাগ্য নির্ধারণ অনেকটাই নির্ভর করছে আমাদের উপর।’’
কালিকটে এখন প্রচণ্ড গরম। তাপমাত্রা প্রায় ৩৩-৩৪ ডিগ্রি। তার উপর খেলা দুপুর দুটোয়। চড়া রোদে। তাতে গোকুলম কোচ বিনো যেমন ফেডারেশনের উপর ক্ষিপ্ত তেমনই চিন্তায় খালিদ জামিলও। কিন্তু শাস্তির ভয়ে কেউ সরাসরি মুখ খুলছেন না। মূল স্টেডিয়ামে নয়, এ দিন দু’দলই দুপুরে অনুশীলন করল আলাদা মাঠে। সেখান থেকে ফিরে খালিদ ফোনে বললেন, ‘‘আর একটা ফাইনাল পরীক্ষা দিতে নামছি, প্রশ্নপত্র নিয়ে ভেবে লাভ নেই। গরম রয়েছে। কিন্তু সব কিছু মানিয়ে নিয়ে খেলতে হবে। জেতা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই।’’ বোঝাই যায়, সব বাধাই উপেক্ষা করতে চান লাল-হলুদ কোচ। বুধবার রাত এগারোটায় কেরল পৌঁছেছেন আল আমনারা। তার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুশীলন। সে জন্যই গোকুলম টিমের খারাপ-ভাল দিক নিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে কাঁটাছেড়া করতে বসেননি বদলে যাওয়া খালিদ। বলছিলেন, ‘‘ওদের স্ট্রাইকার হেনরি কেসেক্কা ভাল ফর্মে। রক্ষণও বেশ জমাট। টিমটা হঠাৎ-ই খুব ভাল খেলছে। পরপর দুটো ম্যাচ জিতেছে। আরও একটা কঠিন ম্যাচ খেলতে নামছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy