নিজস্বী: সাংবাদিক বৈঠকের আগে ভক্তদের মাঝে বুফন। ছবি: রয়টার্স।
আশঙ্কা ছিল ফুটবলকে বিদায় জানাবেন জানলুইজি বুফন। কিন্তু অবসর নয়, টানা ১৭ বছর খেলার পরে জুভেন্তাসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিলেন ইতালির কিংবদন্তি গোলরক্ষক।
ভেরোনার বিরুদ্ধে সেরি আ-তে শনিবার শেষ ম্যাচ খেলবে জুভেন্তাস। সেই ম্যাচেই শেষ বারের মতো প্রিয় ক্লাবের জার্সি পরে মাঠে নামবেন বুফন। বৃহস্পতিবার তুরিনে সাংবাদিক বৈঠকে ২০০৬ সালে বিশ্বকাপজয়ী ইতালি গোলরক্ষক বললেন, ‘‘জুভেন্তাসের হয়ে শনিবারই শেষ ম্যাচ খেলব। আমার মনে হয় এই ক্লাবে অভিযান শেষ করার এটাই সেরা সময়।’’
২০০১ সালে পারমা থেকে জুভেন্তাসে যোগ দেন বুফন। তার পর থেকেই জুভেন্তাস ও বুফন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। ২০০৫-০৬ মরসুমে গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত থাকায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও দ্বিতীয় ডিভিশনে নামিয়ে দেওয়া হয় জুভেন্তাসকে। অধিকাংশ ফুটবলারই ক্লাব ছেড়েছিলেন। কিন্তু চরম দুর্দিনেও জুভেন্তাস ছাড়েননি বুফন। বিশ্বের একাধিক সেরা ক্লাবের প্রস্তাব উপেক্ষা করে দ্বিতীয় ডিভিশনে শুধু খেলেননি, দলকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ন’বার সেরি আ জিতেছেন বুফন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে তাঁর। এই মরসুমে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে হারের পরে রেফারি মাইকেল অলিভারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিতর্কে জড়িয়েছেন। উয়েফা কড়া শাস্তি দিতে পারে জুভেন্তাস গোলরক্ষককে। এই কারণেই ২৪ ঘণ্টা আগে যখন সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন বুফন, মনে করা হয়েছিল অবসরের সিদ্ধান্তই ঘোষণা করবেন তিনি।
তা হলে? ইংল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ও লিভারপুলের আকর্ষণীয় প্রস্তাবই নাকি তাঁর মত বদলের নেপথ্যে। সাংবাদিক বৈঠকে বুফন তা মেনেও নিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘‘১৫ দিন আগেই তো আমি প্রাক্তন ফুটবলার হয়ে গিয়েছিলাম। অবসরের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু বেশ কয়েকটা ক্লাবের প্রস্তাব পেয়েছি। যা আমাকে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উদ্বুদ্ধ করছে। তা ছাড়া জুভেন্তাস চেয়ারম্যান আমাকে খেলা না ছাড়ার অনুরোধ করেছেন। যা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ ৪০ বছর বয়সি বুফন আরও বলেছেন, ‘‘দু’-তিন দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। তবে দ্বিতীয় সারির কোনও লিগে খেলব না। আমি এখনও ফুরিয়ে যাইনি।’’
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচের রেফারিং প্রসঙ্গ উঠেছিল। বুফন বললেন, ‘‘তাৎক্ষণিক উত্তেজিত হয়েই রেফারির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলাম। তবে আবার যদি দেখা হয়, তা হলে ওকে জড়িয়ে ধরব। বলব, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু ভাবনা-চিন্তা করুন। সময় নিন। তাড়াহুড়ো করবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy