Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Sofia Kenin

মেলবোর্ন পার্কে অঘটনের দুই রানির ফাইনাল কাল

স্পেনীয় মুগুরুজা এর আগে দু’বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম মোটেও ভাল যাচ্ছিল না।

আকর্ষণ: ছন্দে মুগুরুজা। (ডান দিকে) সেরা চমক কেনিন। গেটি ইমেজেস

আকর্ষণ: ছন্দে মুগুরুজা। (ডান দিকে) সেরা চমক কেনিন। গেটি ইমেজেস

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৩৩
Share: Save:

অঘটন ঘটিয়ে তাঁরা দু’জনে শনিবার মুখোমুখি হচ্ছেন অস্ট্রেলীয় ওপেনের ফাইনালে। অবাছাই গারবিনে মুগুরুজা পিছিয়ে পড়েও হারিয়ে দিলেন চতুর্থ বাছাই সিমোনা হালেপকে। ফাইনালে টুর্নামেন্টের সেরা চমক সোফিয়া কেনিনের মুখোমুখি তিনি।

স্পেনীয় মুগুরুজা এর আগে দু’বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম মোটেও ভাল যাচ্ছিল না। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রড লেভার এরিনায় বৃহস্পতিবার তিনি প্রবল লড়াই করেই ফেভারিট হালেপকে হারান ৭-৬ (১০-৮), ৭-৫ ফলে। ২৬ বছরের মুগুরুজা গত বছর থেকে ফর্ম হারাতে শুরু করেন। কিন্তু প্রথম বার অস্ট্রেলীয় ওপেনের ফাইনালে উঠে বড় রকমের প্রত্যাবর্তনই ঘটালেন তিনি।

বেলজিয়ামের জাস্টিন হেনিনের পরে (২০১০) তিনিই প্রথম খেলোয়াড়, যিনি অবাছাই হিসেবে মেয়েদের ফাইনালে উঠলেন। ‘‘ফাইনালে উঠতে পেরে আমি খুবই উত্তেজিত। অনেকটা পথ আমাকে অতিক্রম করতে হয়েছে। তবে আরও একটা ম্যাচ এখনও বাকি,’’ বলেছেন নাদালের দেশের মেয়ে। ফেভারিট নাদাল হেরে গেলেও তিনি অবাছাই হিসেবে স্পেনে ট্রফি নিয়ে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখলেন। ‘‘আমি ভাবছিলামই না যে, পিছিয়ে রয়েছি। শুধু নিজেকে বলছিলাম, খেলে যাও। সুযোগ ঠিক আসবে,’’ বলে চলেন মুগুরুজা, ‘‘ভাগ্য ভাল যে, এখন আমি ৪৮ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে ফিরতে পারব ফাইনালের জন্য। সারা জীবন ট্রেনিং করি তো এই ধরনের ম্যাচ, এই ধরনের দর্শকের সামনে খেলার জন্য।’’ হালেপ এবং মুগুরুজা দু’জনেই ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডন জিতেছেন। ২০১৪-র পরে এই প্রথম কোনও প্রতিযোগিতায় মুগুরুজা অবাছাই ছিলেন। প্রথম সেটে হারের পরে র‌্যাকেটই আছড়ে ভেঙে ফেলেন হালেপ।

যদিও অস্ট্রেলীয় ওপেনে আরও এক বার শিরোনামে সোফিয়া কেনিন। মস্কোতে জন্ম তাঁর। ২১ বছরের কেনিন যদিও আমেরিকান এবং ১৪ নম্বর বাছাই এই টুর্নামেন্টের জায়ান্ট কিলার। এক নম্বর বাছাই এবং অস্ট্রেলীয় অ্যাশলে বার্টিকে তিনি হারিয়ে দিলেন ৭-৬ (৮-৬), ৭-৫ ফলে। এর আগে ১৫ বছরের কোকো গফের সোনার দৌড়ও তিনি থামিয়ে দিয়েছিলেন। প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে তিনি একের পর এক প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে চলেছেন। বার্টিকে হারিয়ে যেন নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কেনিন। বললেন, ‘‘এত সুন্দর খেলছিল ও। খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। আমি বাগ্‌রুদ্ধ। সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছি না। পাঁচ বছর বয়স থেকে এই মুহূর্তটার স্বপ্ন দেখছি। ভাবতে পারিনি, সত্যিই সেই স্বপ্ন সফল হবে।’’ যোগ করেন, ‘‘এই জায়গাটায় আসার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি আমি। আজ অনেক লড়তে হয়েছে আমাকে। বোঝাই যাচ্ছে, কেন বার্টি এক নম্বর বাছাই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE