নীরজ চোপড়া। —ফাইল ছবি।
গরম পড়লেই বাড়ছে ছারপোকার উপদ্রব। গত কয়েক বছর ধরেই ছারপোকা ফ্রান্সবাসীর মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেহাই নেই রাজধানী প্যারিসেরও। আগামী বছর অলিম্পিক্সের আগে এটাই সব থেকে বড় উদ্বেগ আয়োজকদের।
টাকার অভাব নেই। পরিকাঠামোয় কমতি নেই। আগামী বছরের অলিম্পিক্স আয়োজনের প্রস্তুতি জোরকদমে এগোচ্ছে প্যারিসে। তবু একটি বিষয় নিয়ে চিন্তিত প্যারিস অলিম্পিক্সের আয়োজকেরা। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। ছারপোকার উপদ্রবে রাতে একটু শান্তিতে ঘুমোতেও পারছেন না ফরাসিরা। ছারপোকা তাড়ানোর কম চেষ্টা করছেন না তাঁরা। কিটনাশক ব্যবহার করেও সুফল পাচ্ছেন না তাঁরা। বাড়িতে, অফিসে সর্বত্র ছারপোকার দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পায় ছারপোকার সংখ্যা। গত কয়েক বছর ধরেই এই সমস্যায় জর্জরিত ফরাসিরা।
উদ্বেগ শুধু অলিম্পিক্স আয়োজকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। চিন্তিত সে দেশের সরকারও। শুক্রবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী-সহ বেশ কয়েক জন মন্ত্রী এবং সরকারি আধিকারিক। বৈঠকের মূল আলোচ্য ছিল ছারপোকা। পরিবহণ মন্ত্রী ক্লেমেন্ট বিউনকে বলা হয়েছে, অবিলম্বে পরিবহণ সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করার। যানবাহনে ছারপোকা নিয়ন্ত্রণে তৎপর করতে বলা হয়েছে তাঁকে। বাস এবং মেট্রো থেকে ছারপোকা সংক্রান্ত ৩৭টি অভিযোগ পাওয়ার পরেই তৎপর হয়েছে সরকার। যদিও বৈঠকে বিউন বলেছেন, ‘‘ছারপোকার উপদ্রব নতুন করে বেড়েছে, এমন কোনও নতুন তথ্য নেই। অভিযোগ পাওয়ার পরই পরিবহণ সংস্থাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছিল। যথাযথ পদক্ষেপও করা হয়েছে।’’ ফ্রান্সের সরকারি তথ্যই বলছে প্রতি ১০টি বাড়ির একটিতে ছারপোকার উপদ্রবে বসবাস করাই কঠিন হয়ে উঠেছে। ছারপোকার আক্রমণে তিতিবিরক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালগুলির কর্তৃপক্ষও। বাদ নেই হোটেলও।
আগামী বছর ২৬ জুলাই থেকে ১১ অগস্ট পর্যন্ত প্যারিসে হবে অলিম্পিক্স। বিশ্বের সব দেশের ক্রীড়াবিদ, কর্তারা আসবেন। সাড়ে ১০ হাজার ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করবেন। সে সময় ছারপোকার উপদ্রব বাড়লে গোটা বিশ্বের সামনে মান খোয়াতে হবে ফ্রান্সকে। নীরজ চোপড়াদের যাতে সমস্যা না হয় তাই এখন থেকেই সতর্ক প্রশাসন। ছারপোকা মারতে ধারাবাহিক কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অলিম্পিক্সকে লক্ষ্য রেখেই ফ্রান্সকে ছারপোকা মুক্ত করতে চায় সরকার।
ছারপোকার জন্য স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকলেও অত্যন্ত অস্বস্তিকর- এমনই জানিয়েছে ফ্রান্সের জনস্বাস্থ্য দফতর। যা আগামী বছর অলিম্পিক্সেও ফ্রান্সের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই ছারপোকাকে কোনওরকম ছাড় দিতে নারাজ ফ্রান্স সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy